নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা জিয়ার হিংস্র থাবায় যেমন জ্বলেছিল, ক্ষমতায় না থেকেও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে দেশ ও জনগণকে। আবার মুখে ফেনা তুলছে গণতন্ত্র রক্ষার, এ যেন “ভুতের মুখে রাম নাম”

১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শহরের ছায়াবানী, অজন্তা, অলকা ও পূরবী সিনেমা হলে বোমা হামলা করে বিএনপি মদদ পুষ্ট জেএমবিরা। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের সমাবেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিত ও ঘৃন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বীভৎস মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছিল খুনীর দল বিএনপি। এই পৈশাচিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান সহ চব্বিশ জন। আর আহত হয়েছিলেন প্রায় ৪০০ নেতা কর্মী। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারান স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এ.এস কিবরিয়া সহ ৫জন। আর এগুলোই ছিল কি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের গণতান্ত্রিক দেশে শাসন ব্যবস্থা? ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট। সারা দেশেই স্বাভাবিক জীবন যাপন চলছিল। সকাল ১১ টাথেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে দেশের ৩৫০টি স্থানে পাঁচ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলায় প্রকম্পিত হয়ে উঠে সারা দেশ। এরপর ধারাবাহিকভাবে একেক এলাকায় বোমা হামলা চলতে থাকে। জামায়াত-বিএনপি জোট বিগত আন্দোলনে শিশুদের ব্যবহার করে ৩৭ টিনিষ্পাপ শিশুর জীবনের করুণ পরিণতি ঘটায়। শিশুদের রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবহারের বিষয়টি দেশের মানুষের পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও জোর প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও বন্ধ করেনি তাদের এই অপকর্ম। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যারা নিবেদিত প্রাণ সেই পুলিশ বাহিনীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারছে জামায়াত-বিএনপি জোটের ক্যাডাররা। বিএনপি-জামায়াত এর ক্যাডারদের বর্বর আক্রমনে দাউ দাউ করে জ্বলেছে যাত্রীবাহী বাস ও সবজিবাহী ট্রাক। আবার তারা মুখে বলে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করছে। এটাই কি তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নমুনা? স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী বলেছে, প্রয়োজন হলে আগামীতে নাকি তারা দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দেবে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেকটা একই সুরে ইদানিং বিভিন্ন সভায় বলছেন, প্রয়োজনে তিনি নাকি দেশকে অচল করে দেবেন। দেশ অচল কাদের জন্য করবেন? জনগণের জন্য নাকি ক্ষমতা দখলের জন্য? হুমকিগুলো মূলত পরোক্ষভাবে জনগণকেই দেয়া হয়েছে বলা যায়। কারণ তারা যদি আগামীতে সত্যি সত্যি দেশের পরিস্থিতি জ্বালাও-পোড়াও এর পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় তাহলে সরকারের চেয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতি ও জনগণেরই ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। বেগম খালেদা জিয়া দেশ বাঁচানোর স্লোগান মুখে মুখে বললেও আসলে তিনি পরোক্ষভাবে দেশের ক্ষতি করার পরিকল্পনায়ই করছেন। অতীতে কোন এক সভায় তিনি সেনাবাহিনীকে দেশের হাল ধরার ইঙ্গিত পর্যন্ত দিয়েছিলেন। একদিকে নিজেকে আপোসহীন গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করবেন আর অন্যদিকে একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আসার ডাক দেবেন এ কি করে হয়? তার মানে একটি বৈধ নির্বাচিত সরকারকে হটাতে প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া দেশে সেনাশাসনকে সমর্থন দিতেও রাজি আছেন। একই মুখে দুরকম বক্তব্য। এসবের নেপথ্যের কাহিনী এমন দাঁড়ায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে এবং কিছু সংবাদপত্র আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতিও ঠিকই একই পন্থায় হত্যাকান্ড, গুমের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে, পাশাপাশি মুখে ফেনা তুলছে গণতন্ত্র রক্ষার। এত দেখছি “ভূতের মুখে রাম নাম”।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.