![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে তথাকথিত ভারত বিরোধিতার মুখোশ খুলে গিয়েছে বিএনপির। মোদী সরকারের আনুকূল্য পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল বিএনপি। তাদের ধারণা ছিল,ক্ষমতায় এসেই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর সবরকম ব্যবস্থা করবে মোদির বিজেপি সরকার। বিএনপির এমন নতজানু রাজনৈতিক অবস্থা দেখে আশ্চয্যই হতে হয়। আসলেই তারা বিশ্বাস করে ভারতের আনুকূল্য না পেলে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। বিএনপির এমন বিশ্বাস দেশের মানুষের উপর আস্থাহীনতার চরম বহিপ্রকাশ। অথচ জয়পুরহাটের জনসভায়ও দেশের মানুষের উপর আস্থাহীন খালেদা জিয়া নিজেকে পুনরায় ৯৫ শতাংশ জনগণের নেত্রী দাবি করেছেন। এবারের বগুড়া-জয়পুরহাট যাত্রায় রাস্তার দু-পাশে কত মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন খালেদা জিয়া? জয়পুরহাট, যেখানে খালেদা জিয়ার বিএনপি বার বার নির্বাচনে বিজয়ী হন, সেখানে কত মানুষের জনসমাগম হয়েছিল? বলতে পারেন, বৃষ্টি ছিল, তাই রাস্তার পাশে মানুষ দেখা যায়নি, বৃষ্টিতে ভিজে মানুষ জনসভায় আসতে চায়নি। এসব বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন, তবে আসল ঘটনা খালেদা জিয়া ও তার নেতারা ঠিকই বুঝেছেন। জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়ে গেছে বিএনপির। যদি আনুকূল্য লাভ করতেও পারেন, তবে কি বলবেন বিএনপি। আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দাও! যদি এমন বলেন, তবে কি বিজেপি তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে? এমন অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই বিএনপি ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, আবার ঘোষণা দিচ্ছে, ঈদের পর থেকে তারা সরকার পতনের আন্দোলন করবে। সরকারের উচিত, তাদের আন্দোলন করতে দেয়া। তবে তারা যদি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ভাড়া করে সন্ত্রাস করে, তা কঠোর হাতে দমন করতে হবে। বিএনপিকে আন্দোলন করতে দিলে তারা মাঠে আন্দোলনের কোন কর্মী পাবে বলে মনে হয় না। জয়পুরহাটের জনসভা থেকে সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.