![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বঙ্গোপসাগরে ডেটারেন্স বৃদ্ধির জন্য নৌবাহিনীতে সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের জলসীমার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রথম বছরেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবেলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দুষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে সরকার। এজন্য দেশের জলসীমার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রথম বছরেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে ত্রিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন হেলিকপ্টারবাহী মিসাইল ফ্রিগেট, দ্বিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতা সম্পন্ন করভেট, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, অল্প গভীরতায় চলাচলযোগ্য দ্রুতগামী প্যাট্রোল ক্রাফট, যুদ্ধকালীন মাইন ওয়ার ফেয়ার এর জন্য মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল যুক্ত করার পরিল্পনা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সাহায্যকারী ভেসেল, যথা ল্যান্ডিং ক্রাফট, সাপোর্ট শিপ, টাগ, সার্ভে ও রিসার্চ ভেসেল ইত্যাদি সংযোগ করা হবে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক গান, মিসাইল, টর্পেডো, মাইনস, এসএএম ব্যাটারি ইত্যাদি ছাড়াও সার্বভৌম সমুদ্র এলাকা ( টেরিটরিয়াল ওয়াটারস) ও একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ও টহল সহ যুদ্ধকালীন ব্যবহারের জন্য আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত করতে এই বাহিনীতে ২০১৫ সালের মধ্যে দুটি সাবমেরিন সংযোজন করা হবে৷ যা নৌবাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও চলমান কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে সক্ষম হবে।
©somewhere in net ltd.