![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ অভিজ্ঞ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন। আন্তরিকতার সঙ্গে যদি তাঁরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন তবে চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এমনকি সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়াকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে। চিকিৎসকরা যদি তাঁদের ব্রত যথাযথভাবে পালন করেন তবে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ থেকে কোন রোগী বিদেশে যাবে না। সকল রোগী দেশেই চিকিৎসাসেবা নেবেন। দেশের জনগণের সেবা ছাড়া বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অপারেশনে জন্মগত হৃদরোগে অতি দরিদ্র শিশুদের বিনা অপারেশনের জন্য বিভিন্ন ডিভাইস, স্ট্যান্ট লাগানোসহ এই ধরনের চিকিৎসা সচল রাখার স্বার্থে বাৎসরিক ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু সার্জারি কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেয়া হয়েছে। গ্রামের গরিব মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের গ্রামে রাখাই এখন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। মাঠপর্যায়ে কাজ করলে চিকিৎসকদের গাড়ি দেয়া হবে। বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব চালু হওয়ায় রোগীরা স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় অত্যন্ত সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং চালু হয়েছে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক ল্যাব। পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবের মাধ্যমে যে কোন বয়সের নবজাতক অথবা শিশুদের জন্মগত হার্টের কিংবা শরীরের যে কোন রক্তনালীর গঠনগত ত্রুটি থাকলে তা কার্ডিয়াক বা পেরিফেরাল এনজিওগ্রামের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা যায়। আবার জন্মগতভাবে হার্টের বাড়তি ছিদ্র থাকলে তা কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই বন্ধ করা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক ল্যাব চালুর ফলে দেশের চিকিৎসা সেবা আরও এগিয়ে গেল বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.