![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে বিটিসিএল বিভিন্ন মেয়াদে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে টেলিযোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তখন বাংলাদেশের তরুণ সমাজও তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে পারবে। আউট সোর্সিংয়ে পার্শবর্তী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক কাজ করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সার্ভিস এখন গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বর্তমানে এক শ’ ইউনিয়নে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সার্ভিসের মাধ্যমে ই-তথ্য কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে এক হাজার ইউনিয়নে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সার্ভিস পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট সার্ভিস নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য সারাদেশে এক হাজার ৬শ’ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সার্ভিস দেশের ৫০০টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ২ শ’র বেশি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক রয়েছে। আইএসপিরা ১০ মেগাবাইট থেকে শুরু করে চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথ নিতে পারছে। বিটিসিএলের ইন্টারনেট সার্ভিস উচ্চগতি সম্পন্ন। এই ব্যান্ডউইথ দিয়ে টেলিভিশন পর্যন্ত দেখা যায়। বিটিসিএলের ইন্টারনেট ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ে তোলার জন্য বড় ভূমিকা পালন করছে। দেশে ইন্টারনেটের কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য ৪ হাজার ৮শ’ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে ব্যান্ডউইথের দামও কমানো হচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী এবং ডাটা কানেকটিভিটি, ইন্টারনেট ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.