![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতে বিএনপির অর্জন শূন্য। বহু চেষ্টা-তদবির করে হোটেলে গিয়ে সাক্ষাত করলেও এতে কোন রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করা তো সম্ভব হয়ইনি, উল্টো দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে। সাক্ষাতকালে খালেদা জিয়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করেও কোন কাজ না হওয়ায় বিএনপি হতাশ হয়েছে। আর তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও খালেদা জিয়া তাঁর চাইতে নিচের প্রোফাইলের ভারতীয় মন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে গিয়ে কেন দেখা করলেন- এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টির পাশাপাশি তাঁদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে চরম নাজুক পরিস্থিতির শিকার বিএনপি চেয়েছিল ভারতের প্রভাবশালী মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু একদিকে হোটেলে গিয়ে সাক্ষাৎ ও অপরদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে তাড়াতাড়ি পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের সহানুভূতি অর্জন করতে না পারায় দলের ইমেজ ফিরিয়ে আনার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করলেও সুষমা স্বরাজ প্রত্যুত্তরে সব কথাই বলেছেন কূটনৈতিক ভাষায়। সরকার পরিবর্তন হলেও ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন হয় না- সুষমা তাঁর কথায় খালেদা জিয়াকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া সুষমা স্বরাজ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে তাঁর অফিসে গিয়ে সাক্ষাতের পাশাপাশি তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানাননি। উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের তিন দিনের ঢাকা সফর কর্মসূচীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত কোন কর্মসূচী ছিল না। তবে সুষমা স্বরাজ আসার বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে জোরেশোরে চেষ্টা-তদবির শুরু করা হয় যাতে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচী রাখেন। খালেদা জিয়া এখন সরকার কিংবা জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতার পদে না থাকায় ভারত প্রথমে রাজিই হয়নি। এক পর্যায়ে বিএনপির পীড়াপীড়িতে ভারত সুষমা স্বরাজের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের বিষয়ে রাজি হয়। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হয় যাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানটি করা যায়। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানানো হয়। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দলের মান বাঁচাতে সোনারগাঁও হোটেলে গিয়েই সাক্ষাতের বিষয়টি ভারতকে জানানো হয়। কিন্তু এভাবে মাথা হেট করে অপেক্ষাকৃত নিচের প্রোফাইলের ভারতীয় মন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে গিয়ে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাক্ষাত দলের ইমেজ ফিরিয়ে আনার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে প্রমানিত হয় বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে কোন পন্থা গ্রহনে আপত্তি করছে না। এতে বিএনপির নীতি হীনতার পরিচয় পাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.