![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দক্ষিণাঞ্চলের কাঁচা পাট ও চিংড়ি ভিয়েতনামে পাঁচ বছর ধরে সুনাম কুড়িয়েছে। সে দেশে খুলনার তিলের নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন ইতালি, চীন ও ইরাকে তিল রফতানি হয়েছে। এবার মংলা বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন তিল ভিয়েতনামে রফতানি হবে। রফতানিকৃত পণ্যের মূল্য দেশীয় মুদ্রায় ৩০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর এ অঞ্চলের কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পাননি। ভাইরাস ও নানাবিধ রোগের কারণে কাঙ্ক্ষিত চিংড়িও উৎপাদিত হয়নি। এছাড়া ধানের চেয়ে তিল চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষক সেদিকে ঝুঁকে পড়েন। এতে রোগবালাই নেই এবং সেচের খুব একটা প্রয়োজন হয় না; পাশাপাশি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারি জাতের তিল চাষে এ অঞ্চলের কৃষককে উদ্বুদ্ধ করেছে। খুবির পরামর্শের পর জেলার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ব্যাপক তিল চাষ শুরু হয়। এ মৌসুমে মংলা বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন তিল ভিয়েতনামে রফতানি করা হবে। সে দেশের শহরগুলোতে সাদা জাতের তিলের চাহিদা বেশি। প্রতি মেট্রিক টন তিলের গড় মূল্য ৮৬০ ডলার। সে হিসাবে রফতানিকৃত এ পণ্যের মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৩১ কোটি টাকা। গত বছর চারটি দেশে ২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন তিল রফতানি হয়। এ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিল চাষে কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চাষিদের মাঝে বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। জমিতে তিল চাষ করে ধানের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এতে ধানের তুলনায় সেচ কম লাগে; পাশাপাশি রোগবালাইয়ের আক্রমণ তুলনামূলক অনেক কম।
©somewhere in net ltd.