![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় অর্থনৈতিক পরাশক্তির দৌড়ে জাপানের সাথে পাল্লা দেয়া দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাংলাদেশি বৈধ জনশক্তি। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘টেকনিক্যাল ট্রেনিং এন্ড লেংগুয়েজ ইনস্টিটিউট’-এর অপ্রতুলতার কারণে কোরিয়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে পারছে না বাংলাদেশ। বৈধভাবে যারা কোরিয়াতে বসবাস করছেন তাদের বেশির ভাগই কাজ করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঝারি সব শিল্পকারখানায়। ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার, টেক্সটাইল ও কটন প্রোডাকশন জগতে বাংলাদেশিদের বহুদিনের সুনাম দেশটিতে। থাকা-খাওয়া ফ্রি হবার সুবাদে তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি টাকায় মাসে প্রায় ১ লাখের মতো সঞ্চয় করছেন। অর্থনৈতিক সংকটমুক্ত এই দেশটিতে সঙ্গত কারণেই সব মিলিয়ে ভালো আছেন পরিশ্রমী বাংলাদেশিরা। ২০১৩ সালে জব ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে গিয়েছেন ২০৪৮ জন। আগের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১৩৬৩জন। জনশক্তির ক্রমবর্ধমান এই ধারা অব্যাহত রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। উচ্চশিক্ষার জন্যও বাংলাদেশিদের কাছে কোরিয়া একটি আদর্শ দেশ। প্রায় সাড়ে ৬শ’ মেধাবী বাংলাদেশি বর্তমানে দেশটিতে আছেন, যারা ইতিমধ্যে কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং ‘পোস্ট-ডক্টরাল’ পর্যায়ে গবেষণাধর্মী কাজে নিয়োজিত আছেন। ৩ থেকে ৪ হাজার ইউএস ডলারও বেতন পাচ্ছেন তাদের অনেকে। খুবই সীমিত সংখ্যক বাংলাদেশি ব্যবসা-বানিজ্যে নিজেদেরকে মেলে ধরেছেন দেশটিতে। গত অর্থবছরে ৩৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পন্য বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে কোরিয়াতে, যার মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস পন্যসামগ্রী, হিমায়িত মাছ, চামড়া, ইলেকট্রিক তার, কিছু ফুড আইটেম এবং মেডিসিন। অন্যদিকে গত অর্থবছরে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৪২৭ মিলিয়ন তথা প্রায় দেড় বিলিয়ন ইউএস ডলারের পন্য। কোরিয় ইলেকট্রনিক চিপস ও গাড়ির পার্টসের বিশাল বাজার বাংলাদেশে। টেলিকমিউনিকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন সেক্টরের কোরিয় টেকনোলজিকে গুরুত্বের সাথে কাজে লাগানো যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়নে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোরিয় প্রতিষ্ঠানের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকলে বন্ধুরাষ্ট্র কোরিয়া থেকে ব্যাপক বিনিয়োগ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিশেষ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.