নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি প্রণোদনায় বগুড়ায় আবাদ হচ্ছে বর্ষালি ধান, শুরু হয়েছে কৃষিতে যান্ত্রিক ব্যবস্থা, আর পতিত থাকছে না জমি

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

কৃষি প্রধান উত্তরাঞ্চলে এখন আর এক মুহূর্তের জন্য আবাদী জমি পড়ে থাকে না। দিনে দিনে জন বিস্ফোরণে অধিক খাবারের প্রয়োজনে খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষকের আর একদন্ড ফুরসত নেই। বোরো আবাদ ঘরে তুলতে না তুলতেই আউশ আবাদে নেমে পড়েছে তারা। বছর কয়েক আগেও আউশ আবাদ প্রায় হতো না। অনেকটা উঠেই গিয়েছিল। বর্তমানে এই আবাদটি আউশ ও বর্ষালি দুই নামেই ফিরে এসেছে। সরকারের কৃষি বিভাগ আউশ আবাদ করতে কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মধ্যম সারির কৃষককে বীজ সারের যোগান দিয়ে সেচের জন্য অর্থ দিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমেও এই আবাদটি হয় বলে কৃষকের কাছে বর্ষালি নামেও পরিচিতি পেয়েছে। বর্ষার পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে গাছ পানির ওপর বেঁচে থাকে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউিট বছর কয়েক আগে বর্ষালি নামেই এই বীজ অবমুক্ত করে। এটি আউশ নামেও পরিচিত। সারাদেশে এই আবাদটি হয় এবং উত্তরাঞ্চলে এই আবাদটি বেশি হয়। বিশেষ করে বগুড়া অঞ্চলের কৃষকের কাছে এই আবাদ বেশি পরিচিত। প্রবীণ কৃষকরা আউশ আবাদ করত। মধ্যে আউশ আবাদ বন্ধ হয়ে যায়। তরুণ কৃষকের কাছে আউশ অনেকটা অচেনা ছিল। পূর্বসূরীদের কাছ থেকে তারা জেনে বর্তমানে আউশ আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। সরকার প্রতিটি অঞ্চলে আউশ আবাদের প্রণোদনায় কৃষককে প্রতিবিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি করে ডাই এ্যামেনিয়াম ফসফেট, ১০ কেজি করে মিউরেট অব পটাশ সার দিচ্ছে। প্রতিবিঘায় সেচের জন্য দেয়া হচ্ছে ৩শ’ টাকা করে। কৃষি কার্ডের মাধ্যমে এই টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। গত বছর যে পরিমাণ জমিতে বর্ষালি বা আউশ আবাদ হয়েছে এবার তার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ হচ্ছে। যা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের টার্গেটের চেয়েও বেশি। আবাদ উদ্বৃত্ত বগুড়া অঞ্চলে এবার আউশ আবাদের টার্গেট করা হয় ২০ হাজার হেক্টর জমি। আবাদ হচ্ছে ২১ হাজার ৩শ’ ৩৩ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের টার্গেট করা হয় ৫১ হাজার মেট্রিক টন। তবে এই মাত্রা ৬০ হাজার মে.টনে পৌঁছবে এমনটি আশা করা হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আউশ (বর্ষালি) ধানের আবাদ হচ্ছে। যা থেকে উৎপাদন হতে পারে ৬ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। এই আবাদ খাদ্য চাহিদা মেটাতে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। উত্তরাঞ্চলে কৃষিতে যান্ত্রিক ব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়ায় এখন আর ফসলের মাঠে পড়ে থাকেই না। একটা ফসল তুলে আরেকটায় নেমে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষকও এই আবাদ করে। এবার প্রতিটি এলাকার কৃষক এই আবাদে নেমে পড়েছে। যারা সরকারী প্রণোদনা পায়নি তারাও এই আবাদ করছে খাদ্য চাহিদা মেটাতে নিজেদের গরজেই। কৃষির উন্নয়নে সরকারের এ প্রচেষ্টা কৃষি খাতকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.