নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেল খাতকে আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১









পৃথিবীর অনেক দেশে পরিবহন ও যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো রেল। জনপ্রিয় তো বটেই। রেল অর্থনীতির চাকাকে বদলে দেয়। নিরাপদ, আরামদায়ক স্থল পরিবহন, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বহুকাল থেকে রেল তার অবস্থান ধরে রেখেছে। মূলত গণপরিবহন হিসেবে রেলের গ্রহণযোগ্যতা সব মহলে স্বীকৃত। মানুষ তাদের নিরাপদ বাহন হিসেবে রেলকে বেছে নিয়েছে। আমাদের দেশেও রেল যোগাযোগ এর আধুনিকায়নে আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছে সরকার। বর্তমান সরকার সম্প্রতি রেল যোগাযোগ খাতের আধুনিকায়ন ও এর সার্বিক উন্নয়নে এক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিসহ নানাক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সরকার বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেল খাতকে আধুনিক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। আর এ কারণে রেলকে ঘিরে ২০ বছর মেয়াদী একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই মহাপরিকল্পনা ৪ ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সরকার চায় রেল তার দক্ষতা-নৈপুণ্য ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যোগাযোগ খাতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নিজের অবস্থান সংহত করুক। প্রধান স্থল গণপরিবহন হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করার সুযোগও রয়েছে রেলের। সরকার রেলকে শক্তিশালী ও আধুনিক গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। রেল যোগাযোগের সুবিধাকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনসহ সর্বমোট ৮৪টি নতুন ট্রেন দেশের বিভিন্ন রুটে চালু করা হয়েছে। পুরনো ২৪টি ট্রেনের সার্ভিস আগের তুলনায় বর্ধিত করা হয়েছে। এ ছাড়া এনালগ পদ্ধতি বাদ দিয়ে ডিজিটাল রেলওয়ে তৈরিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এখন আর যাত্রীদের সময় ও কর্মঘণ্টা ব্যয় করে লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনতে হয় না, তারা ঘরে বসে ই-টিকেটিং এর মাধ্যমে পছন্দমাফিক টিকেট কিনে নিতে পারে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ট্রেনের অভিমুখ, ট্রেন ছাড়ার সময়, ট্রেনের অবস্থান, পরবর্তী স্টপেজ, রিয়েল টাইম ভিত্তিতে ট্রেনের বিলম্ব সম্পর্কে জানতে পারে। গণপরিবহন হিসেবে রেলকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে রেল আর লোকসানী প্রতিষ্ঠান থাকবে না বরং রেল লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। রেল যোগাযোগ যত সহজ, নিরাপদ আর সাশ্রয়ী হবে ততই মানুষের মঙ্গল, দেশের মঙ্গল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.