![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
গণতন্ত্র নেই বলে বৃহৎ দলের নেত্রী যা বলেছেন তা কতোটা বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত। সর্বদাই শুনছি সংসদ অবৈধ, সরকার অবৈধ এমনটা কেন! গণতন্ত্র বাঁচানোর স্বার্থে? তাদের চিরন্তন ভারত বিরোধিতার রাজনীতি কতোটা গণতান্ত্রিক? বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের লেজুড়বৃত্তি বা আস্থাজ্ঞাপন কতোটা যুক্তিসঙ্গত? তাহলে কী বাংলাদেশের রাজনীতি কোনো অদৃশ্য সুতায় আটকানো! কোনোটাই কী এদেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক! বা তা কতোটা রাজনৈতিক সংস্কৃতিসম্পন্ন? ভারত বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। একমুখী বিশ্বে দেশটি এখন বিরাট অর্থনৈতিক পরাশক্তি। তাদের মূল এজেন্ডা প্রতিবেশী দেশ এবং দেশের জনগণ। তীক্ষ কূটনৈতিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে তারা প্রতিবেশী দেশগুলো সফর করছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার বলয় সৃষ্টি, অর্থনীতিক প্রক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব তৈরি ইত্যাদির জন্য তাদের নিরাপত্তা দরকার। বাংলাদেশের চতুর্দিকে অনেকাংশই তাদের স্থলসীমানা। যে কারণে কূটনীতিকভাবে 'চমত্কার সূচনা'র কথা বলছেন তারা। গণতন্ত্র নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিশেষ করে জঙ্গী দমনে কার্যকর পদক্ষেপ, সন্ত্রাস ও চোরাচালান মোকাবেলা এসব এ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সুষমা স্বরাজ কার্যত সে লক্ষ্যেই কাজ করতে এসেছিলেন। বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সরকার চলছে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে, জঙ্গী ক্যাডারদের দমনে যথাযথ উন্নতি হয়েছে, সন্ত্রাস ও চোরাচালান বন্ধের পদক্ষেপসমূহও লক্ষণীয়। এসব কোনোটাই ভারত বা বাইরের যে কোনো দেশের বিরূপ বলার কোনো কারণ নেই। উপায়ও নেই। কে না জানে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন মৌলবাদী সংগঠনগুলো কোণঠাসা। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকায় তারা ধরা পড়ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের বোমা হামলার রায় হয়েছে একযুগেরও বেশি সময় পর। তাছাড়া এ ধরনের অন্যান্য মামলার শুনানিও চলছে। জঙ্গীদের সমূলে উত্পাটন প্রয়োজন এটা কেউ অস্বীকার করবে না। দেশবাসীর এ কাঙ্ক্ষিত দাবি যেন নির্বাসিত না হয় সেজন্য সবরকম বোমাবাজির বিচার দরকার। সরকার তা করছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা কিংবা এরকম নানা মাপের নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন সবাই চায়। আর এ বিচার সম্পন্ন হলেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে। দুর্বৃত্তদের কাছেও যে মেসেজটি যাবে তা কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক। নিশ্চয়ই এ সমস্ত বিষয়ে কারোই দ্বিমত নেই এবং কোনোটাই গণতন্ত্র বহির্ভূত বিষয় নয়। এরূপ শাসনের ভেতর দিয়েই সত্যিকারের গণতন্ত্রের ভিত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
©somewhere in net ltd.