![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দল গুছিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়র নেতারা বার বার বললেও এতে কোন কাজ হচ্ছে না। কোনভাবেই সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে পারছে না বিএনপি। এ কারণে আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচী পালন করা নিয়ে দলীয় হাইকমান্ড দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। বিএনপি নেতারা আগামী ঈদের পর আন্দোলনের কথা যখন জোরেশোরে বলতে শুরু করেছেন তখন আবার নতুন করে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেই আলোচনায় উঠে আসছে। দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা মনে করছেন যেখানে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এত কঠোর অবস্থানে গিয়েও সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করা যায়নি, সেখানে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা না কাটিয়েই এখন কি করে আন্দোলন সফল হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আবারও দীর্ঘদিনের জন্য ক্ষমতার বাইরে চলে আসায় বিএনপির সর্বস্তরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। দলে কেউ কারও নির্দেশনা মানছেন না। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বত্র নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এ কারণে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি হাইকমান্ড। যেখানেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে হাত দিচ্ছেন সেখানেই নানামুখী সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দফায় দফায় চেষ্টা করেও বিভিন্ন স্তরে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে নির্বাচনের পর পরই তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় বিএনপি হাইকমান্ড। এ জন্য সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার জন্য সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ৫৬টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এসব কমিটির সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সফর করে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তৃণমূল পর্যায় থেকে এ নিয়ে তুমুল আপত্তি ওঠে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিএনপি হাইকমান্ডের কাছে অভিযোগ পাঠান, যে নেতারা দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে আত্মরক্ষার্থে সময় নষ্ট করেন তারা তৃণমূল পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠনের অধিকার রাখেন না। কারণ তৃণমূল নেতাকর্মীরা র্যা ব-পুলিশের মারমুখী অবস্থানকে উপেক্ষা করেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত রাখে। আর কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকার রাজপথে একটি মিছিল বের করারও সাহস দেখাতে পারেনি। এমনকি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে একটি সফল কর্মসূচী পালন করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। এই অবস্থায় ঈদের পর আন্দোলনের যে কথা বলা হচ্ছে তা কিভাবে সফল হবে এ প্রশ্ন এখন সকল স্তরের নেতাকর্মীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.