নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন দশকের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সমুদ্রসীমা বিরোধ মামলায় বাংলাদেশের বিশাল জয়

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫









দীর্ঘ চার বছর নয় মাস আইনি লড়াইয়ের পর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় জয়ী হল বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের (পিসিএ) রায়ে ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ ১৯ হাজার চারশ ৬৭ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক ভূখন্ড পেল। মহীসোপানে চিত্রিত হলো নতুন মানচিত্র। সমুদ্রসীমায় ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হল বাংলাদেশের। মায়ানমারের পর এবার ভারতের সাথেও সমুদ্র বিরোধে জয়ী হল বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং এর বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলায় রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়, বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ মানুষের বিজয়। রায়ের ফলে শেষ পর্যন্ত এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সবধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর সালিসি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মামলা করেছিল। ২০১২ সালের ১৫ মার্চ ইটলস বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়। এই রায়ের ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ঊপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপান এলাকার প্রাণীজ ও অপ্রাণীজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। এ সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ফলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.