![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের অপরাধ প্রবণ মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ভেহিক্যাল থেফট অ্যান্ড রিকভারি ডাটাবেজ, মেটাল ডিটেক্টর, ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা, ডিএনএ টেস্ট, কলটেকিং, ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক্স ট্রাফিক সাইনবোর্ড, মোবাইল ট্র্যাকিং ইত্যাদি প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। এসব সেবা বাস্তবায়নের জন্য কয়েক দফায় পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে অপরাধী শনাক্ত, অপরাধপ্রবণতা কমানো, চুরি হওয়া গাড়ি শনাক্ত ও উদ্ধারসহ যানজট কমানো সহজ হয়ে যাবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে এসব সেবা বাস্তবায়ন করার জন্য ইতিমধ্যে ৩০ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)তে নতুনভাবে সংযোজন হওয়া প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরীর সাতটি প্রবেশপথসহ ১৭টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে ৫৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করেছে নগর পুলিশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো নগরীকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সিএমপির। দ্রুত সেবা দেয়া ও অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণসহ যানজটের ভোগান্তি কমাতে নগর পুলিশের এই প্রযুক্তিগত উদ্যোগ নগরবাসীকে সেবা প্রদানে সহায়ক হবে। তিন ধরনের ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে পিটিজেড ক্যামেরা যেটা গাড়ির নম্বর সংরক্ষণ করবে। ফেস ডিটেক্টর ক্যামেরা আছে যেগুলো মিটিং-মিছিল, সমাবেশসহ জনসমাগমের চিত্র নিখুঁতভাবে ধারণ করবে। ১২০০ টিবিএল ক্যামেরা আছে যেগুলো আশপাশের সব চিত্র ধারণ করবে। অপরাধী শনাক্ত করতে বাংলাদেশের পুলিশ ক্রমশ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে। ডিএনএ টেস্টসহ প্রযুক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার পরও সুফল মেলেনি চাঞ্চল্যকর অনেক মামলার তদন্তে। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.