নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমুদ্র অঞ্চল সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১১





ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলা বিজয়ের পরে বঙ্গোপসাগর এলাকার দুই শ’ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের আয়তন এখন এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের ভূভাগের আয়তন এখন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। সে অনুযায়ী সমুদ্র অঞ্চলের আয়তন প্রায় আরেকটি বাংলাদেশের সমান। তবে এই সমুদ্র অঞ্চলের সম্ভাবনাকে অতীতের কোন সরকারই কাজে লাগাতে পারেনি। জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এখন সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার এখন সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

বঙ্গোপসাগর দেশের সম্পদের বিশাল উৎস। এই সমুদ্র সীমানার মধ্যে শুধু বিশাল মৎস্য ভাণ্ডার নয়, রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের ভাণ্ডারও। বিশেষ গঠন-প্রকৃতির কারণেই তেল-গ্যাসসহ নানা খনিজ সম্পদ সঞ্চিত রয়েছে এর তলদেশে। এছাড়া সারাবিশ্বে এখন সমুদ্র সম্পদ বিশেষ আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ তাদের সমুদ্রসীমায় সম্পদের জরিপ, গবেষণা, অনুসন্ধান ও সম্পদ আহরণে ব্যাপক তৎপরতা গ্রহণ করে চলেছে। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশও তার সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়।

প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেষ দিগন্ত হিসেবে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের মতো একটি উপকূলীয় দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে সমুদ্র পরিবহন ও বন্দর সহযোগিতা বৃদ্ধি, মৎস্য আহরণ, মৎস্য রফতানি, পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ সর্বোপরি জীববিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলা জয়ের পরে এসব সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে। অতীতের সরকারগুলোও সমুদ্র নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করেনি। তবে দুই বছরের ব্যবধানে দুটি সমুদ্র মামলা বিজয়ের পরে বাংলাদেশে নতুন করে এখন সমুদ্র সম্পদ নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর তারই অংশ হিসেবে সরকার এখন সমুদ্র সম্পদ নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের আমলে সর্বপ্রথম দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। তখন দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে আলোচনাও হয়। পরে এ বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বিরোধ থেকেই যায়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০১২ সালের ১৪ মার্চ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলায় জয়লাভ করে। আর ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ মামলার রায় প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার। মিয়ানমারের পরে ভারতের সঙ্গেও সমুদ্রসীমা মামলায় বিজয়ী হয় বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.