![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
উত্তরাঞ্চলে ১০ টি চিনিকল রয়েছে । এ অঞ্চলের মাটি যে কোন ফসলের জন্য উপযুক্ত। এ অঞ্চলের মাটির উর্বরতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক হারে সুগারবিট চাষ করে চিনিকলগুলোর লোকসান কমিয়ে আনার পাশাপাশি দেশের চিনি ঘাটতি মোকাবেলায় এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের দেশের চিনিকলগুলো প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আখ মাড়াইয়ের মাধ্যমে চিনি উৎপাদন হয়ে আসছে। উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওসহ বেশকটি জেলায় সুগারবিট চাষের সাফল্য প্রমানিত হয়েছে। আখের অভাবে প্রতি বছরই চিনি কলগুলো নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ হয়ে যায়। সুগারবিটের মাধ্যমে সারা বছর মিলগুলো চালু রাখার পাশাপাশি চিনি সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই সুগার বিট। মিল এলাকায় অনেকেই বিকল্প ফসলের আবাদ করছে। কৃষকদের পুনরায় চিনি কলমুখি করতে সুগারবিট আবাদের বিকল্প নেই। সারা দেশে প্রতি বছর চিনির চাহদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। চিনি কলগুলো উৎপাদন করতে পারে সর্বোচ্চ দেড় লাখ মেট্রিক টন। চিনির এ ঘাটতি পুরুন করতে পারে সুগার বিট। সুগারবিট এমন একটি ফসল যা আলুর মত প্রায় সার বছর কোল্ড স্টোরেজ করা যায়। সুগার বিটও স্টোরেজে সংরক্ষনের মাধ্যমে সারা বছরই চিনিকলগুলো চালু রাখা সম্ভব। বিশ্বে উৎপাদিত চিনির ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আসে সুগারবিট থেকে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এ সম্ভবনা আরো উজ্জ্বল।
©somewhere in net ltd.