![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিএনপি এখন গণতন্ত্রের লেবাসে নিজেদের কুকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছে। ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে রাস্তার সন্ত্রাসীরা যখন পেট্রলবোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল, সেটা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিল? আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতা-কর্মীরা লুকিয়ে থাকেন, আর সন্ত্রাসী ভাড়া করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে জিম্মি করা কি কোন রাজনৈতিক আন্দোলন হতে পারে? দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন বলেন, আর সরকার পরিচালনায় বলেন, বিএনপি সামান্যতম ত্যাগ স্বীকার করার নজির রাখতে পারেনি। তাদের মুখে এখন আবার শুনতে হচ্ছে গণতন্ত্রের বানী! ২০০১ সালে ভোটে জেতার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সারাদেশে বিএনপি-জামাত কি নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, সেটা কি আমরা ভুলে গিয়েছি। তখন বিএনপির নেতারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো করে বলেছিল, ‘মানুষের মনে অনেক ক্ষোভ জমা ছিল, তার একটু আধটু তো বহিপ্রকাশ ঘটবেই।’ সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যকে উস্কে দেয়ার এ ধরণের প্রকাশ্য বক্তব্য কি গণতান্ত্রিক আচরণ ছিল? বিএনপি-জামাত আমলে সারাদেশে জঙ্গীবাদী বাংলাভাই-ইংরাজীভাই-জেএমবি-হুজি-হিজবুতদের হাতে কত প্রাণ গেছে, কতোগুলো বোমাহামলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের উস্কে দেয়ার জন্য কতো ট্রাক অস্ত্র আমদানী করা হয়েছে, আহসানউল্লাহ মাস্টার-শাহ এসএম কিবরিয়াসহ কতোজন রাজনীতিবিদকে হত্যা করা হয়েছে? গ্রেণেড হামলায় দেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এগুলো কি গণতান্ত্রিক আচরণ ছিল? ২০১৩ সালে সারাদেশে পেট্রলবোমা সন্ত্রাসীদের এখন গ্রেফতার করা হচ্ছে। আইনের হাতে সোপর্দ করা হচ্ছে। আর বিএনপি বলা শুরু করেছে, ‘সরকার গণতান্ত্রিক চর্চা সহ্য করতে পারে না।’ বিএনপি এখন গণতন্ত্রের লেবাস পরছে। সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদী, ভন্ডদের প্রত্যাখ্যান করুন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে থাকুন।
©somewhere in net ltd.