![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দশ পনের দিন ধরে খালেদা জিয়া ডান, বাম, স্বাধীনতাবিরোধী (জামায়াতে ইসলামী-রাজাকার, আলবদর, আলশামস) সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিচ্ছেন। কিন্তু কেন? কিসের জন্য সবাই ঐক্য গড়ে তুলবে? সেটা স্পষ্ট করে বলছেন না। খালেদা জিয়ার ভাষায়, জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসাতে হবে। এটা হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হবার ডাক দেবার একটা কারণ। মূল কারণটা আসলে আরও গভীরে।
খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে দেশে পুনরায় জঙ্গীবাদী, স্বাধীনতাবিরোধীদের পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করা। যে সংগ্রাম স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবির গংরা স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে। এখন তারা সেটা মুক্তিযুদ্ধের অংশীদারিত্বের লেবাস পড়া বিএনপির কাঁধে চেপে সেটা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে এবং বিএনপিও জেনে বুঝেই শুধু ক্ষমতার লোভে স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিয়ে যারা চিন্তা করেন, তাদের এই রাজনৈতিক বিষয়গুলো অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। জোট গঠনের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক জোট গঠন করা হয়না, যা বিএনপি করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলে যারা আছেন, তাদের এসব বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট যখন ক্ষমতায় এসে দেশকে জঙ্গীবাদী তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল, তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল মহাজোট। শুধুমাত্র বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসানোই মহাজোটের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। মহাজোটের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গীবাদী মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা, যে সংগ্রাম আজও চলছে। এর বিপরীতে খালেদা জিয়া আজ ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, অর্থাৎ তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গীবাদীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী তালেবানী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্য গড়ে তুলতে বলছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে স্পষ্ট। ইতিহাস গড়ে ওঠে এভাবেই। আগামীদিনের ইতিহাসে আপনি মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথার অংশীদার হবেন, নাকি জামাতী রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের মতো স্বাধীনতাবিরোধী তালেবানী জঙ্গীবাদের ধিকৃত ইতিহাসের অংশীদার হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া সময় এসেছে এখন। বিএনপি-জামাতের অপরাজনীতি প্রত্যাখ্যান করুন, জঙ্গীবাদী, স্বাধীনতাবিরোধীদের বর্জন করুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হোন।
©somewhere in net ltd.