![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দুই দশকের মধ্যে দেশে খাদ্যশস্যের চাহিদা সাড়ে ৪ কোটি টন ছাড়াবে। সামনের দিনের এ বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রকট হয়ে উঠবে কৃষিজমি ও শ্রমিক সংকট। তবে আশার বিষয়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে প্রযুক্তির ব্যবহার। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে ৯ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে অপচয়ও নেমে আসছে অর্ধেকে। উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে নির্দিষ্ট এলাকায় ফসলের ফলন বেড়েছে ১২ থেকে ৫৪ শতাংশ। এছাড়া প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে ৫৯ থেকে ৮৮ শতাংশ আর মত্স্য সম্পদের ক্ষেত্রে ৬৪ থেকে ৯৮ শতাংশ। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির হার হয়েছে বিভিন্ন মাত্রায়। কৃষক রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে উৎপাদন, কাটা, মাড়াই সব পর্যায়ে সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারছেন প্রযুক্তির কল্যাণে। এতে অপচয় কম হচ্ছে। পরিশ্রমও কমে আসছে তাদের। সেই সঙ্গে কমছে উৎপাদন খরচ ও বাড়ছে ফসলের উৎপাদনশীলতা।
সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এখন এক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কৃষক সরাসরি সুফল পাওয়ায় তা ব্যবহারে আগ্রহীও হচ্ছেন তারা। খামার যান্ত্রিকীকরণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ক্রয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। দেশের সার্বিক কৃষি ব্যবস্থায় বেশকিছু খাতে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। এ খাতে এখন বড় ধরনের সম্ভাবনাময় ব্যবসার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি যন্ত্রাংশের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারকারী ও অব্যবহারকারী কৃষকদের মধ্যে উৎপাদন ব্যয় এবং ফলন পর্যায়ে ব্যাপক পার্থক্য দেখা গেছে। ফলে কৃষকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন, কমছে ব্যয় এবং শ্রম।
©somewhere in net ltd.