![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ৫ বছর পর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার জন্য সংবিধানের বাধ্যবাধকতা আছে। সেই বাধ্যবাধকতায় গত ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বার বার আলোচনা, সংলাপ, সমঝোতার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছেন। খালেদা জিয়ার উত্তর ছিল, “কোন সংলাপ নয়, কোন সমঝোতা নয়; আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।” খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ডাকে বিএনপির নেতারাই আত্মগোপনে চলে গিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচিয়েছেন, আর রাস্তার সন্ত্রাসী ভাড়া করে সাধারন মানুষকে প্রতিটি পেট্রলবোমা দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরেছেন। নির্বাচন বানচাল করার জন্য আইন-শৃঙখলাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছেন, স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আন্দোলনে জনগণের কোন সাড়া ছিল না। তাই খালেদা জিয়ার আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সেকারণে ১৫৪ আসনে প্রতিনিধিরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে, যেটাকে বিএনপি বলার চেষ্টা করছে, মানুষ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। এসব বলার মাধ্যমে আসলে বিএনপি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুযায়ী, কোন আসনে কোন প্রার্থীর বিপরীতে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল না করলে সেই একক প্রার্থীকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। এটাই গণতন্ত্রের রীতি। গায়ের জোরে বিএনপি সেই গণতন্ত্রের রীতি-নীতিকেও অবজ্ঞা করার অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যাহোক, এটা নিয়ে হাইকোর্টে একটা মামলাও হয়েছিল, সেই মামলার রায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বৈধতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যেহেতু আইন-কানুন, গনতন্ত্রের রীতি-নীতির তোয়াক্কা করে না, তাই তারা এখনও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। চক্রান্তকারী, ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করুন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে থাকুন।
©somewhere in net ltd.