![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রমজান মাস জুড়ে বিএনপি এককভাবে ৬০০০ ইফতার পার্টি দিচ্ছে। জামায়াতে ইসলাম দিচ্ছে দেড় লাখ ইফতার পার্টি। উদ্দেশ্য হচ্ছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত না করতে পারা কর্মীদের হতাশা কাটানো, মনোবল চাঙ্গা করা, ঈদের পর আবার মাঠে নামানোর মন্ত্রে উজ্জীবিত করা। তবে বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ে কর্মীদের চাঙ্গা করতে এসব ইফতার পার্টির আয়োজন হলে বাজারে অর্থ সরবরাহ ভালই হবে। তবে জামায়াতে ইসলাম কিভাবে লক্ষাধিক ইফতারের আয়োজন করতে যাচ্ছে তা নিয়ে অনেকে হয়ত বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে এসব আয়োজন জামায়াত করতেই পারে। সে ধরনের পরিকল্পনা জামায়াতের থাকলে তা তারা কিভাবে বাস্তবায়ন করবে তা আমাদের মতো অনভিজ্ঞ মানুষ হয়ত হিসাব মেলাতে মাথা চুলকাবে, কিন্তু জামায়াতের কাছে এটি হয়ত তেমন কোন কঠিন ব্যাপারই নয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন ইফতার পার্টির ভাষণে যে বিষয়গুলো প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসে তা হচ্ছে, এ সরকার অবৈধ, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ, দেশ ধ্বংসকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী ইত্যাদি। এ সরকারের পেছনে দেশের জনগণ নেই। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ১৯ দলীয় জোটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষই এখন সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ অংশ নেয়নি এবং এই ৯৫ শতাংশ মানুষ তার দল বা জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীর জানা আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার জন্য যে ধরনের তান্ডব, ধ্বংসলীলা, হত্যাকান্ড ও জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল তা থেকে ভোটে অংশগ্রহণের সংখ্যা ব্যাপক না হলেও যা তিনি দাবি করেছেন তা বাস্তবের সঙ্গে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিএনপি যদি সত্যি সত্যিই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বর্জনের আহ্বান জানিয়ে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি বা প্রতিহত করার কাজে অংশ না নিত, ভোটারদের ভোটদানে বাধা না দিত, তাদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়টি জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে বোঝাত, তা হলে নির্বাচন শেষে একটা চিত্র ফুটে উঠত। তারপর নানা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিএনপি সেই নির্বাচনের অসম্পূর্ণ দিকগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরলে এর একটি গ্রহণযোগ্যতা পেত। অনেক তর্কের বিতর্কে তাদের একটি মাত্র লক্ষ্য ক্ষমতা তাদের চাই। তাই তারা নতুন সুরে, ইস্যু একটাই ঈদের পরে আন্দোলনে সরকারকে উৎখাত করা। তবে দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ শেষে ভালভাবে কাজে ফিরে আসা, রুটি-রুজির ব্যবস্থা করা, পরবর্তী ঈদ-পূজা-পার্বণের প্রস্তুতি নেয়ার মতো পরিবেশ ছাড়া অন্য কোন বিষয় আলোচনায় আছে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে চাপিয়ে দেয়া আন্দোলনের পরিণতি আবারও গণমানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছাড়াই হতে পারে।
©somewhere in net ltd.