![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বহুল আলোচিত সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের জের ধরে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জঙ্গী সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে কিভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব খবর মিলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য আহমেদ হাসান ইমরান সম্পর্কে বলা হয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশের জামায়াতের সঙ্গে সারদা গ্রুপের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার আগে ইমরান ‘কলম’ নামক একটি মুসলিম মৌলবাদী দৈনিকের মালিক-সম্পাদক ছিলেন। ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন ২০০৫ সাল থেকে লিখছেন কিভাবে ‘সিমি’ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনে যুক্ত হয়ে আল কায়েদার নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করেছে। সিমি মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত। পূর্বভারতে এই ব্যাংকের প্রধান যোগসূত্র হচ্ছেন ইমরান, যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচালক হচ্ছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন প্রধান গোলাম আযমের পুত্র আবদুল্লাহ হিল মামুন আল আযমী, যিনি ইমরানের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইমরান বাংলাদেশী জামায়াতের সমর্থক দৈনিক ‘নয়াদিগন্ত’র ভারতীয় প্রতিনিধি। দৈনিক ‘সমকাল’-এর প্রথম পাতায় সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘জামায়াতকে টাকা দিয়েছে ভারতের সারদা গ্রুপ।’ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। সারদার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশন এ সত্যকে আরও স্পষ্ট করেছে। প্রয়োজন হচ্ছে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাস প্রতিরোধে সরকার ও নাগরিক সমাজের সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম।
©somewhere in net ltd.