![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
গত ঈদুল ফিতরের আগে খালেদা জিয়া প্রায় প্রতিদিন “ঈদের পর আন্দোলন” বক্তব্য দিয়েছিলেন, যদিও এ পর্যন্ত কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। লন্ডনে খাম্বা তারেক হঠাৎ জিয়ার উদৃতি টেনে বক্তব্য দিলেন, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয় না”, যদিও জিয়ার এই বক্তব্য বাস্তবে ছিল অর্থহীন। কিন্তু খাম্বা তারেকের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত। তাদের চাপে খালেদা জিয়া বিশেষ দুত হিসাবে লন্ডনে পাঠিয়েছে রিজভী আহমেদকে। খালেদা জিয়া খাম্বা তারেককে এই মুহুতে ধর্ম নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় মির্জা আব্বাস বলেছে, সরকার ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছে, আমরা ৫০ হাজার পুলিশকে মোকাবেলা করতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবো। নোয়াখালীতে বিএনপির হান্নান শাহ জামায়াত নেতাদের সাথে নিয়ে ২০১৪ সালের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে তালেবান নেতা জাওয়াহিরি ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার পর্যন্ত তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার কথা বলেছে। কলকাতায় বাংলাদেশে আসার পথে ৪ জন আইএস সদস্য ধরা পড়েছে। গত নির্বাচনের আগে ভারতের সারদা গ্রুপ জামায়াতকে সহিংসতা সৃষ্টির জন্য অর্থ প্রদান করেছে। আর গতকাল বিমানবন্দরে ৯৫ লাখ ভারতীয় মুদ্রাসহ একজন পাকিস্তানী নাগরিক ধরা পড়েছে। উল্লেখিত ঘটনাগুলো রাজপথের বক্তব্য এবং কিছু রাজনৈতিক ঘটনা। এগুলোর অন্তরালে কি ঘটছে? জনসমর্থনহীন বিএনপি দৃশ্যতঃ আন্দোলন করার শক্তি-সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে, ক্রমাগত তাদের নেতা-কর্মীদের সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। নেতা-কর্মীর সংকটে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেবার মতো সামর্থ্য হারিয় ঘরোয়া পর্যায়ের বৈঠকে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবুও তারা যখন লক্ষাধিক কর্মী নিয়োগের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করে, সেগুলো কি শুধুই মেঠো বক্তব্য, নাকি অন্তরালে বড় ধরণের চক্রান্ত কাজ করছে? হান্নান শাহ ২০১৪ সালের মধ্যে সরকার পতনের কথা বলে কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে চাচ্ছে, নাকি এসব বক্তব্য কোন চক্রান্তের অংশ হিসাবে আসছে? বলার অপেক্ষা রাখে না, বিএনপি এখন একটি মেরুদন্ডহীন রাজনৈতিক দল, কিন্তু জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বাঁচাতে পিছনে থেকে জামায়াত বিএনপির মেরুদন্ড সোজা রাখতে সহায়তা দান করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রাজপথের শক্তি হারিয়ে চক্রান্তের রাজনীতির সাথে যুক্ত হবে, একটু চিন্তা করলে সেটাই বোঝা যায়। আর সেই চক্রান্তে রাজনৈতিক শর্ত না থাকার কারণে সহজেই তারা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের কজ্বায় চলে যাবে, সেটাও সহজে বোঝা যায়। বিএনপি-জামায়াত জনগণের শক্তিতে রাজনীতি করেনি কখনো, তারা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের ক্রীড়ানায়ক হিসাবে সবসময় দেশে অপরাজনীতি করে এসেছে। এখনও তারা তাই করবে। তাই জনসমর্থনহীন হলেও বিএনপি এখনো নিচিহ্ন হয়ে যায়নি, চক্রান্তকারীরাই অস্তিত্বহীন বিএনপিকে তাদের প্রয়োজনে আবার রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠিত রাখার চেষ্টা করবে। তাই সজাগ থাকতে হবে অন্তরালের চক্রান্তকারীদের সম্পর্কে।
©somewhere in net ltd.