![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ভারতের চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির প্রধান সন্দেহভাজন সারদা গ্রুপ চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেন, যিনি বর্তমানে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য, শুধু ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলোকেই নয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী মৌলবাদী দলগুলোকেও টাকা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দেশে সহিংস আন্দোলন জোরদারে তিনি ভারতের প্রভাবশালী একজন রাজনীতিকের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে কয়েক শ কোটি টাকা জোগান দেন। ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ওই দেশটির নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ‘সারদা মানি ফ্যান্ড বাংলা ফ্লেইমস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সারদার চিট ফান্ড স্কিমের আওতায় জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ কেন্দ্রীয়ভাবে কলকাতার সল্ট লেকে সারদা গ্রুপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা করা হতো। এরপর হিসাব-নিকাশের পর কয়েক শ কোটি টাকা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। নগদ টাকা বড় আকারের ব্যাগে ভরে সারদা গ্রুপের অ্যাম্বুল্যান্সে করে সরানো হতো। সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপনে ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) বাংলাদেশি মুদ্রা (টাকা) ও ইউরোপীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করা হতো। মুদ্রা পরিবর্তনের কাজটি করা হতো কলকাতার এক ব্যক্তির বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়কেন্দ্রে। এরপর রাতের আঁধারে ওই টাকা ও মুদ্রা কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা পাচার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসত। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হলে দলটি ব্যাপক নাশকতা ও সহিংসতা ঘটায়। এ সময় উত্থান ঘটে আরেকটি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের। এসব সহিংসতায় ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল, যার একটা বড় অংশ সারদা গ্রুপের। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমেও বাংলাদেশে সারদা গ্রুপের টাকা লগ্নি হয়েছে। জামায়াতের পরিচালনায় বাংলাদেশের বেশ কিছু হাসপাতাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে সারদা গ্রুপ টাকা বিনিয়োগ করেছে, আর এই অর্থ জামায়াত সহিংস আন্দোলন সংঘটনের কাজে খরচ করেছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের সহিংসতার সময় আফগান জিয়া ও তার বাহিনী এপারে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ভারতের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা কেউ পুলিশের গুলিতে আহত হলেও স্থানীয় কোথাও চিকিৎসা করাত না, ভারতের তৃণমূলের আশ্রয়ে চিকিৎসা করাত। সবার আগে দেশ, নিজেদের স্বার্থ হাছিলে জামায়াত এই নীতি ভুলে গেছে। দেশের স্বার্থ রক্ষায় সাধারণ জনগণ জামায়াতের এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে সহিংস আন্দোলন আর মেনে নিবেনা।
©somewhere in net ltd.