![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আমাদের সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী পাশ হয়েছে। সামরিক ফরমান বলে সংবিধানের এই ধারাটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। সামরিক ফরমান বলে জেনারেল জিয়া সংবিধানের অনেক পরিবর্তন করেছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিচারপতিদের অভিশংসন এর ক্ষমতা জুডিশিয়াল কাউন্সিল এর নিকট অর্পণ, যার প্রধান থাকবেন রাষ্ট্রপতি। ঐ সময় জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের উপর আস্থাহীনতা, সংবিধানের উপরে আস্থাহীনতা, বিএনপির আজন্ম পাপ। সেই পাপের পঙ্কিলতা থেকে বিএনপি বের হতে পারেনি পারবেও না কোন দিন। মীর্জা ফখরুলকে তাই বলতে শোনা যায় ক্ষমতায় গেলে তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিবে। বিএনপির অতীত ইতিহাস ছুড়ে ফেলে দেয়ার ইতিহাস। জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে আমাদের পবিত্র সংবিধানের মূলনীতি-ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। সে জন্য মীর্জা ফখরুলকে দম্ভ করে বলতে শুনি ক্ষমতায় গেলে তারা সব পাল্টে দিবে। কিন্ত মানুষের ভাগ্য বদলে দিবে এ কথা বলতে শুনি না। তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাবে, আর জন মানুষের পিঞ্জর খালি করে প্রান পাখি নিয়ে যাবে ভূতলে। কেননা বিএনপি জামাতের রাজনীতি ভুতলের আর স্বর্গ পাওয়ার লোভ দেখানো শুনানো ছাড়া অন্য কিছু নয়। এশিয়া যখন উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে, বাংলাদেশ উন্নয়ন মডেল ২০২১, ২০৪১ ঘোষণা করছে এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়া শতাব্দী ঘোষণা করছে। সেই সময়ে বিএনপি মধ্যযুগে ফিরে যাওয়ার নানান কর্মসূচি প্রদান করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, হুমকি প্রদান করছে। কথায় আছে ‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হউক ভালো’ বিএনপির জন্ম সামরিক ঘরে, এর প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার পিতা আমাদের রাজনীতি সমাজ নীতিতে তেমন বিখ্যাত ছিলেন না, বলা যায় অজ্ঞাত কুলশীল। অন্যদিকে প্রাচীন মনীষী কৌটিল্য দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে নিজ কর্মগুনে ভারতের রাজনীতিতে, কূটনীতিতে বর্তমান সময়ে তুলনীয়। কেননা তার দর্শন সময়কে ছাপিয়ে যুগকে অতিক্রম করেছিল। জেনারেল জিয়ার সাথে দার্শনিক বা অর্থনীতিবিদ চাণৈক্যর তুলনা করা বাতুলতা মাত্র। তবে তার দল বিএনপি এখন যা করছে যে দিকে হাঁটছে, সেই কথা বলতেই চাণৈক্যর অবতারনা।
©somewhere in net ltd.