![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ফাঁসির মঞ্চ থেকে বেঁচে গেল ঘাতক। দুঃখ-বেদনা-ক্ষোভ নিয়ে কয়েকদিন থেকে শুধু ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আশাহত হবার বেদনা দেখলাম সারাদেশে। বার বার একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মনের ভিতরে, কেন? কেন? কেন এমন হলো? নানামুখী উত্তর চারদিকে। যুদ্ধাপরাধী দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে বৃহস্পতি ও রোববার ২৪ ঘন্টা করে হরতাল পালন করল জামায়াতে ইসলামী, যদিও এই হরতালেও বিএনপির মৌন সমর্থন ছিল। তারপরও সে হরতাল শেষ হতে না হতেই দেশের ধর্মপ্রান মুসলমানেরা যখন পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একের পর এক ঢাকামূখী রওনা দিচ্ছে ঠিক তখনি আবারো দেশকে অস্থিতিশীল এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হওয়া ধর্মপ্রান মুসলমানদের দুর্ভোগ বাড়াতে সোমবার হরতালের ডাক দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। উপর্যুপরি হরতালে দেশের ব্যাপক ক্ষতি ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি হজ্জে গমনকৃত হজ্জ যাত্রীদের কষ্ট দেওয়াই ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলিয় জোটের উদ্দেশ্য। তাদের এরকম অসংবেদনশীল আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। গ্রামগঞ্জ থেকে সহস্রাধিক হাজী গত ৩ দিন বিমানবন্দরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। যদিও তাদের অনৈতিক হরতাল উপেক্ষা করে দেশে বাস, ট্রেন সবকিছু চলছে স্বাভাবিক ভাবে। তবুও চলার পথে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা ভেবে অনেকে এ্যাম্বুলেন্স অথবা সিএনজিতে করে বিমানবন্দরে আসার চেষ্টা করেছেন। এ সুযোগে এ্যাম্বুলেন্স এবং সিএনজি মালিকরা বড় অংকের ভাড়া হাঁকিয়েছেন হজ্জ যাত্রীদের কাছ থেকে। ফলে তারা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন তেমনি তাদের আত্মীয়স্বজনরাও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বিনা কারনে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে সৃষ্ট এমন হিংসাত্মক রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন ক্ষতিকর তেমনি দুঃখজনক। স্বাধীন দেশের মাটিতে তাদের আর এভাবে চলতে দেওয়া উচিত নয়। বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে এসব অশুভ রাজনৈতিক দলের উপর আরও কঠোর হতে হবে এবং সেই সাথে হরতাল ও সবার জন্য ক্ষতিকর এমন কর্মসূচি পরিহারে বিএনপি- জামায়াতকে কঠোর হস্তে বাধ্য করতে হবে।
©somewhere in net ltd.