![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
স্বাধীনতার ইতিহাস, প্রথম রাষ্ট্রপতি ও নিজ জন্ম তারিখ নিয়ে প্রতারণার দায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। বেগম জিয়া ও তার দল রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণা, প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং ন্যক্কারজনক ভুয়া জন্মদিন উদযাপন বিষয়ে মিথ্যাচারের ডালপালা ছড়াচ্ছে। এসব প্রচারণা জঘন্য প্রতারণার শামিল। এই তিন মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে তারা খুব কৌশলে বাংলাদেশের মৌলভিত্তির সঙ্গে তামাশা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড উদযাপন করছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করতে না পারায় খালেদা জিয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে তা উদযাপন করছে। কারণ এই হত্যাকান্ডই তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার পথ করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ প্রলম্বিত মামলার রায় কার্যকরের পর বেগম জিয়ার নিশ্চুপ থাকার মধ্য দিয়ে আবারও এর সত্যতা প্রমাণিত হলো। এর আগে জিয়ার শাসনামলে বিচারের পরিবর্তে এসব খুনীকে বিদেশে বিভিন্ন কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ভুয়া জন্মদিন পালনের মাধ্যমে তিনি জাতির পাশাপাশি নিজ বাবা মায়ের সঙ্গেও প্রতারণা করছেন, যা খুবই ন্যক্কারজনক। বেগম জিয়ার ১৫ আগস্টের জন্মদিনের উল্লেখ কোন সরকারী নথিতেই নেই, বরং তার মূল জন্ম তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ বিভিন্ন সরকারী তথ্যে তার পাঁচটি ভিন্ন জন্ম তারিখের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথের পর সরকারীভাবে খালেদা জিয়ার জীবনী তথ্যে তার জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্ট উল্লেখ করা হয়। আর তার প্রথম পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ১৯ আগস্ট। শিক্ষা বোর্ডের রেকর্ড অনুসারে তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। যদিও তার বিয়ের সার্টিফিকেটে ১৯৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের উল্লেখ রয়েছে। মূলত এই তিন মিথ্যা দিয়ে তারা বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাকে বিতর্কিত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশের স্থাপতিকে অবমাননা করার চেষ্টা করছে।
©somewhere in net ltd.