![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মাঠের আন্দোলনে দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর জামায়াত-শিবির এখন অন্য পরিকল্পনা শুরু করেছে। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সক্রিয় করতে ছক অনুযায়ী এবার নানা কৌশল নিয়েছে তারা। বিশেষ করে দুষ্কৃতকারী তকমা মুছে ফেলতে সামাজিক কার্যকলাপে জোর দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে গোপনে এগুচ্ছে জামায়াত-শিবির চক্র। মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সরকারী সম্পত্তির বিনাশ ও সহিংসতার পর শিবির মূলত জনগণের কাছে দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর সামাজিকভাবেও কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ কারণে মানুষের কাছে নতুন করে বিশ্বস্ততা অর্জনে এখন সামাজিক কার্যকলাপ শুরু করেছে। সম্প্রতি জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা রাজশাহী অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ ও পুকুর-ডোবায় মাছ ছাড়ার কর্মসূচী গ্রহণ করে। হঠাৎ করে পুকুর-দীঘি, খাল-বিলের পাশে ব্যানার টানিয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়কের পাশে বৃক্ষ রোপণও করে তারা। মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন দুষ্কৃতকারী সংগঠন হিসেবে পরিচিত পাওয়ার পর এখন মানুষের কাছে ফিরতে এসব লোক দেখানো কর্মসূচী নিয়েছে তারা। সর্বশেষ এবারের কোরবানির ঈদে মাংস বিতরণ করার পাশাপাশি রাজশাহী অঞ্চলে রান্না করা মাংস বিতরণ করেছে জামায়াত-শিবির চক্র। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে না আসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরাই প্রচার করেছে। লোক দেখানো কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে নিজেদের ধোয়া তুলসি পাতা করার চেষ্টায় তারা এখন এ ধরণের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে।
©somewhere in net ltd.