![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের উগ্র ডানপন্থী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-যুদ্ধাপরাধী অধ্যুষিত জামায়াতে ইসলামীর হৃদ্যতা এ দুটি দলের জন্ম ও পুনর্জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের ইতিহাসের অনস্বীকার্য সত্য হচ্ছে, জিন্নাহর ধর্মীয় দ্বিজাতি তত্ত্বের ফসল তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের জন্ম জামায়াতে ইসলামী কখনও মেনে নেয়নি। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের অখন্ডতা ইসলাম রক্ষার কথা বলে জামায়াতে ইসলামী শুধু দখলদার পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে সহযোগিতা করেনি,নিজেরা উদ্যোগী হয়ে ‘শান্তি কমিটি’, ‘রাজাকার’, ‘আল বদর’, ‘আল শামস’ প্রভৃতি ঘাতক বাহিনী গঠন করে যাবতীয় গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছে। ইসলামের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতির প্রতি এখনও অবিচল রয়েছে জামায়াত। ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে প্রথমে বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ মুছে ফেলেছেন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত ও অন্যান্য মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জেনারেল জিয়া ও তার সুযোগ্য সহধর্মিণী খালেদা জিয়ার বিএনপির গোপন ও প্রকাশ্য আঁতাত এবং সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক জোট গঠন এই দলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখন জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপির কোন কর্মসূচী সফল হয় না। গত দু’মাসে প্রথমে সারদা কাণ্ড এবং পরে বর্ধমান কাণ্ডের অর্থ ও অস্ত্র পাচার তদন্তের যতটুকু তথ্যপ্রমাণ ভারত ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে,পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁধে ভর করে জামায়াতে ইসলামী সেখানে শক্তিশালী জঙ্গী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে।
©somewhere in net ltd.