নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মীর কাসেম আলীর সম্পদের আকার আলাদিদেন চেরাগকে হার মানায়

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫





স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৭ সময়ে তার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ এসে যায়। ব্যাংক, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম ও শিক্ষা সেক্টরে তার নেতৃত্বে জামায়াতীরা গড়ে তুলেছে মজবুত ভিত। গণমাধ্যম জগতেও তার বিচরণ ঘটেছে। তিনি হয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের বোর্ড অব ডিরেক্টর সদস্য। ইবনে সিনা ট্রাস্টের রয়েছে ৮টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ইমেজিং সেন্টার, একটি মেডিক্যাল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, একটি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, একটি ইসলামী ব্যাংক স্কুল ও কলেজ। এ ছাড়া দিগন্ত পেপার মিলের একক মালিক মীর কাশেম আলী। এ ছাড়া সে ফুয়াদ আল খতিব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানও সে। মীর কাশেম আলীর ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক গ্রুপের নাম কেয়ারি। সে কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইন্সের চেয়ারম্যান। কেয়ারি নামের দশটি কোম্পানির পরিচালক সে । এগুলো হলো কেয়ারি লিমিটেড, কেয়ারি পোল্ট্রি হ্যাচারি এ্যান্ড প্রসেস, কেয়ারি স্প্রিং, কেয়ারি শান, কেয়ারি ট্যুরস এ্যান্ড সার্ভিসেস, কেয়ারি তাজ, কেয়ারি কালার সেন্টার, কেয়ারি ঝর্ণা, কেয়ারি রিয়েল এস্টেট ও কেয়ারি টেলিকম লিমিটেড। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের জন্য তার মালিকানায় রয়েছে বিলাসবহুল ৫টি প্রমোদ তরি। এগুলো হচ্ছে কেয়ারি ক্রুজ, কেয়ারি ডাইন, কেয়ারি সিন্দবাদ, কেয়ারি কর্ণফুলী ও কেয়ারি তরঙ্গ। কেয়ারি গ্রুপের মালিকানায় রয়েছে সহস্র্রাধিক এ্যাপার্টমেন্ট ও বিপণি বিতান। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলোর অবস্থান। চট্টগ্রামে ভয়ঙ্কর এক খুনী হিসেবে পরিচিত মীর কাশেম আলী তার জামায়াতী চেলাচামুন্ডাদের নিয়ে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড-পরিচালনা করে আসছিল বছরের পর বছর। চট্টগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি যাতে উঠে আসতে না পারে এ জন্য তার পক্ষে চেষ্টা চলেছে নজিরবিহীন। বিভিন্নভাবে লবিংয়ের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থ ঢেলেছেন স্রোতের মতো। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিচারের কাঠগড়ায় তাকে দাঁড়াতে হয়েছে। আজ বহুল প্রতীক্ষিত সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। চট্টগ্রামে তার নির্মম বর্বরতার শিকার যারা হয়েছেন তাঁরা এবং যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বজনরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মীর কাশেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণাটি শোনার জন্য।






মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.