![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
৭১-এর গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের সামনে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আবার সজীব হয়েছে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নৃশংসতম হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ধ্বংসের বিস্মৃতমলিন দৃশ্যাবলী। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী এবং এই দলের রাজনীতি ও দর্শন সমানভাবে দায়ী, বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করবার পূর্বশর্ত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিসহ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভীত ধ্বংস করা। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে মুক্ত না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়া যাবে না। এ কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ’৭১-এর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার জরুরি হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর মতো গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট দলকে নিষিদ্ধকরণের কথা বলি তখন পশ্চিম ইউরোপ ও আমেরিকা বলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না, নিষিদ্ধ হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আরও জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হবে, তাদের ওপর নজরদারি করা যাবে না। পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে এতটা অজ্ঞ মনে করবার কোন কারণ নেই যে, জামায়াতের প্রকাশ্য-গোপন জঙ্গী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তারা জানে না। আমরা যতটুকু জানি আমেরিকার সিআইএ ও এফবিআই তার চেয়ে বেশি জানে। এতদিন বহির্বিশ্বে জামায়াতের সংযোগ ছিল ‘আল কায়দা’ ও ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’-এর সঙ্গে, এখন যুক্ত হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ার ‘ইসলামিক স্টেটস’ (আইএস)। ইউরোপ আমেরিকা থেকে যেসব তরুণ ‘আইএস’-এর জিহাদে অংশ নিয়েছে তাদের চেতনায় আধিপত্য বিস্তার করেছে মওদুদী, হাসান বান্না ও সাঈদ কুতব-এর দর্শন ও প্রেরণা। বাংলাদেশের জামায়াত তাদের সাংগঠনিক ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে বিস্তৃত করেছে তা দ্রুত প্রতিহত করা না হলে দুই দেশের জাতীয় ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করবে। জামায়াত নিছক একটি রাজনৈতিক দল নয়। কিংবা মাফিয়াদের মতো নিছক সন্ত্রাসী সংগঠনও নয়। জামায়াতের সাহিত্য ও দর্শন তরুণদের মনোজগতে যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করে, যেভাবে তারা ধর্মের নামে যাবতীয় সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেয়, তা মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বিনষ্ট করে, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে গ্রাস করে, মৌলবাদী বর্বরতা ও জিঘাংসা।
©somewhere in net ltd.