![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পছন্দ করি। উনি হাসিখুশী মানুষ। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে জনগণের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর উত্তর অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে ঘণ্টা দুয়েক উনাকে কাছ থেকে দেখি। এই দুইঘন্টা আমি উনার মনোজগত সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে চেষ্টা করি। উনার মেধা বেশ ভালো। কারণ দুইঘন্টা কোন রকম সেন্সরশীপ বা ডিলে সুবিধা ছাড়া লাইভ অনুষ্ঠানে ফায়ারিং স্কোয়াডে বসে হাসিমুখে কথা বলার যে ক্ষমতা আমি দেখেছি, তাতে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্তের দীপ্তি সুস্পষ্ট। স্টুডিওতে ঢোকার আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিরকম টেনশন হচ্ছে। উনি বললেন ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে ঠিক এইরকম লেগেছিল। তার সেন্স অব হিউমার ভালো। সবমিলিয়ে মহিলা আর যাই হোক গম্ভীর এলিট আন্টিদের মতো বোরিং না।
উনি গতকাল ইউনুস সম্পর্কে যখন বললেন, গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হবে, তখন তাকে ত্রিকাল দর্শী টিরেসিয়াস মনে হয়েছে। উনি এই কথাটা শুধু ইউনুস স্যার সম্পর্কে একথা বলেননি। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক বিপর্যয় দেখে উনি নিশ্চিত হয়েছেন হাওয়া ভবনের গরীবের রক্ত চোষার কারণে বিএনপি গত নির্বাচনে ধরা খেয়েছে। সুতরাং এটা একটা অটো সাজেশন। আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি-ব্যবসায়ী-কর্মীদের গরীবের রক্তচোষার পরিমাত্রার ওপর ২০১৩ র নির্বাচনের ফল নির্ভর করছে। দুর্নীতিবাজ প্রতিটি মানুষের সামনে বাঁধিয়ে রাখার মতো বাণী চিরন্তনী। গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হবে।
ইউনুস স্যার গোলকের সামাজিক ব্যবসায় সফল হবেন আমি নিশ্চিত। কারণ অর্থনীতি বুড়ো হয়ে গেছে। সাহিত্য আর বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা সময়ের চেয়ে এগিয়ে। আর অর্থনীতির একশো দুশো বছর আগের পান্ডুলিপি শোষণ ছাড়া নতুন কিছু নিয়ে আসেনি। গ্রোথ উইদ ইকুইটি আর সোশ্যাল বিজনেস এছাড়া কোন দিকনির্দেশনা নেই। জিডিপি গ্রোথ দিয়ে গোলকের উন্নয়ন মাপার যে আউটডেটেট পদ্ধতি অর্থনীতির চিকিতসকরা প্রেসক্রাইব করেছেন তা বাংলাদেশে সম্পদের আকাশ পাতাল ব্যবধান তৈরী করেছে।
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-ট্রান্সকম পুঁজিপতির সঙ্গে তাদের খোলা মিডিয়ার সাবএডিটরের বিত্তের ব্যবধান, শেখ হাসিনার সঙ্গে তার এলাকার ভোটার অনাহারী ফাহমিদা খাতুনের অর্থনৈতিক সামর্থ্য (কমপক্ষে শাড়ীর সংখ্যা),খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাস্তুহারা মারিনা বেগমের বিত্তের পার্থক্য (কমপক্ষে কসমেটিকসের মান কারণ শফিক রেহমান ফেয়ার এন্ড লাভলী হবার জন্য খালেদার কসমেটিকস আওয়ামী লীজের বাদামী মন্ত্রীরা চুরি করেছেন জানিয়ে ঘেউ ঘেউ করেছেন) আকাশ পাতাল। একিভাবে ইউনুস স্যারের অর্থনৈতিক সামর্থের সঙ্গে জোবরা গ্রামের গ্রামীণ ব্যংকের প্রথম সদস্যের কোন তুলনাই হয়না। আবেদ স্যারের মেয়েটির ক্রেডিট কার্ডের সামর্থ্যের সঙ্গে কাঁথা সেলাইয়ের মার রেশন কার্ডের পার্থক্য ভয়ংকর। গরীবের রক্ত না চুষলে এরকম গ্রোথ উইদাউট ইক্যুইটি সম্ভব হতো না। জয়তু উন্নয়নের রসট্রো মডেল।
হৃদয়হীন অর্থনীতির উপজাত আজকের ঢাকা শহরের গজদন্তের মিনার। বাংলাদেশে দুই শতাংশ হ্যাভস আর আটানব্বুই শতাংশ হাভ নটস অর্থনীতির রূপকার অর্থনীতিবিদ সাইফুর রহমানের সলিল সমাধির পরে এতোদিন গরীবের রক্তচুষে পার পেয়ে যাওয়া মানুষেরা ধরা খেতে শুরু করলেন। অধ্যাপক ইউনুসের কথিত ধরা খাওয়ার সমান্তরালে তার গবেষণা বান্ধবী হিলারী উইকীলিক্সের ফাঁদে ধরা খেলেন। খালেদা জিয়া আগেই ধরা খেয়েছেন তদীয় পুত্রের উন্নয়নের হাওয়া মডেল বাস্তবায়ন করতে গিয়ে। হাসিনা তদীয় পুত্রের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে এখন প্রতিদিন আওয়ামী লীগের আদিম শাসন-অনাচার ধরা খাচ্ছে। তাই শেখ হাসিনার ইউনুস সম্পর্কে উক্তি একটি রিয়ালাইজেশন।বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের জন্য ফান্ড ট্রান্সফার আমার চোখে বা ইউনুসের বিদেশী টাকার ফান্ড ট্রান্সফার প্রশাসক মুহিতের চোখে একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এরসঙ্গে ইউনুসের ব্যক্তিগত সততার বা অসততার সংশ্লেষ নেই। বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের উন্নয়ন কাজে শেখ হাসিনা যদি সেরকম কিছু করে থাকেন, আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি।ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইউনুস-শেখ হাসিনা দুজনেই সৎ। নরওয়ের সেরা সাংবাদিক বিবিসির কাছে বলেছেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইউনুসের অসততার কোন প্রমাণ তিনি পাননি। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত অসততার কোন প্রমান আমার কাছে নেই।
কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগের নেতাদের গরীবের রক্ত চোষা বা ধরা খাওয়া কোন ব্যাপারেই শেখ হাসিনা কিছুই করতে পারেন নি, গত দুবছরেও পারেননি, ভবিষ্যতে পারলে খুব খুশী হবো।অধ্যাপক ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গরীবের রক্ত চোষা বন্ধ করতে পারেন নি। কারণ সুগার-কেইন্স অর্থনীতি পড়ে যিনি বড় হয়েছেন, যার বান্ধরী ঘষেটি বেগম হিলারী তিনি গোবরা গ্রামের সূফিয়ার দুখ কিকরে বুঝবেন, আর যার বাবা সওদাগর ছিলেন।
ইউনুস নোবেল কমিটির বিবেচনার অর্থনীতির মানবিক তত্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু যেসব দেশে সরকারী বিনিয়োগের সম্ভাবনা নাই, সেইখানে গ্রামীণ অর্থনীতিকে কিছুটা লিকুইডিটি ও সচলতা দিতে ইউনুসের কাবুলীতত্ত সক্ষম। এহচ্ছে চুঁইয়ে পড়া কাজের বিনিময়ে খাদ্য অর্থনৈতিক নাটকের বিকল্প।ফলে শান্তির আশার পদকটি তাকে দেয়া হলো। নোবেল পদক জীবিত মানুষ্ পান। যাতে এই সম্মানের শক্তিতে কিছু মানব কল্যাণ লোকটা করতে পারেন। কিভাবে ইউনুস মানব কল্যাণ করবেন যখন জাতির বুক গ্যালিভরের বুক হয়ে গেলো প্রথম আলোর উতসাহদাত্রী পোস্টারে।
ঢাকার সুশীল মধ্যবিত্ত অক্ষম সমাজ অশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতাদের পায়গামা খোলা রাজনীতি আর হরতালে ক্লান্ত হয়ে ভাবলো এই আমাদের মাহাথির।কিন্তু রাজনীতিতে এখনো বাতাবী লেবুর ফুটবল প্রচলিত,দেশের চেয়ে ক্ষমতা বড়,সেখানে ইউনুস বেমানান। ঢাকার বিগ মাউথ সুশীল সমাজের স্তুতিতে ইউনুস মাহাথির হবার পথে পা বাড়িয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হলেন শেখ হাসিনা। তিনি তার পেশায় ইউনুস-মতিউর রহমান বা এরকম কোন শিক্ষিত বড় খেলোয়াড় ঢুকতে দিতে চাননা। নতুন হানিফ বনাম পুরোনো দেলোয়ার বাতাবী লেবু ফুটবল এক এগারোর ইনজেকশন দিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে মাইনাস টু কমেডিতে বাংলাদেশ সময় নষ্ট করলো। আবার যেই লাউ সেই কদু। লর্ড ক্লাইভ আর জলপাই কমেডিতে কিছু গ্রেফতার বাণিজ্য শেষে শিম্পাঞ্জী রিপাবলিকের গোল্ড ফিস মামোরী ভোটাররা ৯৫-০১এর হাজারী শাসনের কথা তখন ভুলে গেছে। তারেকের হাওয়া ভবন আর বাংলাভাই কেলেংকারি সূত্র ধরে শিম্পাঞ্জীকুল আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ী কলাগাছদের ভোট দিয়ে দিলো। কারণ বিএনপির প্রার্থীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খেটে ফিরেছে, তার বিপরীতে আওয়ামীলীগের সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেয়া ঋণ খেলাপী, সে খবর আমজনতার অজানা।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী ছয় আসনের বিকল্প ধারার প্রার্থী হিসেবে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আমি বাঘা-চারঘাটের আমজনতার পছন্দের,কিন্তু আমার মার্কা তাদের শিক্ষণে নেই। ইউনিভার্সিটির বিতর্ক সংগঠন, সিভিল সার্ভিস, সাংবাদিকতার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সততা, পলিসি মেকিং সক্ষমতা এসব কিছুই কাজে আসেনি। কারণ আমার নৌকা বা ধানের শীষ ছিলনা। আওয়ামী লীগের তৃণমূল যাকে নির্বাচন করবে, শেখ হাসিনা তাকে টিকেট দেবেন, এই সততার বয়ানে তুষ্ট হয়ে আমি আওয়ামী লীগের টিকেটের অযোগ্য ভেবে কোন লবি করলাম না। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর চেয়ে এরশাদ বেশী ভোট আনতে সক্ষম তাই মহাজোটের টিকেট আমার ভাগ্যে জুটলো না।
পরে যখন দেখলাম আওয়ামী লীগ তৃণমূলের পাঁচ জন বাদ দিয়ে একজন লালমনিরহাটের ব্যবসায়ীকে রাজশাহী-৬ এ আওয়ামী লীগ নমিনেশান দিলো সেখানে গরীবের রক্তচোষার অশনি সংকেত দেখলাম। সুতরাং অন্তত জনগণের কাছে তথ্যপ্রযুক্তির খবর পৌঁছে দেয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ইলেকশনে নেমে গেলাম।কারণ তথ্যই গরীবের রক্তচোষা কমাতে পারে।টাকা নয় তথ্যই দারিদ্র দূরীকরণের শেষ অস্ত্র।
আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী প্রার্থীর সামনে আমি ছিলাম ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। গরীবের রক্ত চোষা নব্য আওয়ামী বণিকের মুখে লবণ দেয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না, মানুষ তখন মার্কার জোয়ার আর শাড়ি-টাকা-লুঙ্গি-সোয়েটার-ফ্যাকটরীতে চাকরীর প্রলোভন আর ফেনসিডিল ডিলিরিয়ামে, এর সামনে কিসের তথ্য প্রযুক্তি।
আওয়ামী লীগের অর্থনীতিবিদেরা মহাজোট জিতলে বাজার দর সস্তা হবে এরকম একটি সাদাকালো-মূলা পোস্টার ঝুলিয়ে দিলো। আমজনতা ভাবলো শায়েস্তা খান মহাজোটের অর্থনীতিবিদ সম্ভবত। সুতরাং নানারকম ডিসেপশনের মধ্যে ফখরুদ্দীন-মঈন জেমস বন্ডেরা যখন হাসিনা-খালেদা দুজনকেই শত্রু বানিয়েছেন, তখন অপেক্ষাকৃত আগে গরীবের রক্ত চুষেছে, আমজনতা প্রায় বিস্মৃত এরকম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবার পক্ষে রায় দিলেন। সেই রায় নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী নাটকে রাং দে বাসন্তী করে রাজনীতিতে নবজাতকদের দিন বদলের গান জয়যুক্ত হলো। বিজয়ী প্রার্থী আমাকে ফোন করে জামানত বাজেয়াপ্তের অভিনন্দন জানালেন। গণতন্ত্রের সুধা পান করে ঢাকায় ফিরলাম।আমার বন্ধুবান্ধব কাউন্সেলিং করলো। এসব বাদ দে রাজনীতি করতে পয়সা লাগে। গান্ধি-মুজিব-জিন্নাহ-নেহেরু-তাজউদ্দীন কারো পয়সা লাগেনি। কিন্তু এখন টাকাই বাংলাদেশ রাজনীতির খোদা।
ইউনুস রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণার পর হাসিনা সুদ খোর বলে টন্টিং করলেন, যেন উনার দলের নেতারা সব সততা খোর। আওয়ামী লীগ টন্টিং করে বাম বুদ্ধিজীবীদের বিএনপিতে ঠেলে দেয়। ইউনুস ওদিকে না গিয়ে নাকে খত দিলেন। সোশ্যাল বিজনেস সুত্র ধরে ওবামার গুরু হয়ে গেলেন। খেলোয়াড় তো খেলবেই। ঘরে বসে আঙ্গুল চোষা কাপুরুষ তিনি নন। হাসিনা ইউনুসকে সুদখোর বলে টণ্টিং করার পর আধুনিক রাজনীতির ভক্ত মাহমুদুর রহমান মান্নাও ইউনুস স্যারের ফোন ধরা বন্ধ করে দিলেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের ছোট ভাই রাজনীতির চেয়ে সোশ্যাল বিজনেস গপ্পে বেশী আগ্রহ দেখালেন। ইউনুস দ্রুত জনারণ্যে একা হলেন। আমার বন্ধুরাও ভোটে হারার পর আমাকে এত একা করেনি।হয়তো নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই বলে।
ইউনুস নাকে খত দিয়েছেন রাজনীতিতে উনি আসবেন না। এক এগারোর সেনা কর্মকর্তারা গণেশের মুর্তির মাথা খুঁজতে তার বাসায় সারারাত বসে ঢাকার মসনদে তাকে বসাতে রাজী করতে পারেনি। ফখরুদ্দীন সাহেব সে ভুলটা করেছেন। যে ভুল বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা করেন। পদের লোভ সামলাতে না পারা আমাদের জাতীয় রোগ। ইউনুসের চিন্তার জগত এখন গ্লোবাল। সামাজিক ব্যবসাই আগামীর ব্যবসা। বাঙ্গালীর ব্যবসায়ী বুদ্ধি এখন বাচাচ্ছে এমেরিকার অনুন্নত কাউন্টিগুলোকে। পুঁজিবাদের হোমিওপ্যাথির এই ডাক্তার গোলকের তাবত অর্থনীতির গুরুকে পিছে ফেলে দিয়েছে। নরওয়ের মিডিয়া সন্ত্রাস প্রতিহত করার ক্ষমতা ইউনুসের আছে। তবে ঢাকার বাতাবী লেবু ফুটবল মিডিয়া সন্ত্রাস তার ভক্তদের ভোগাবে। কিন্তু সামাজিক ব্যবসার জনক ইউনুসের মৃত্যু নেই।
ঢাকার মিডিয়ায় উনার অপমৃত্যুতেও হাসিনার কন্ঠে যে গরীব মানুষের রক্ত চুষলে ধরা খাওয়ার আশংকা ও রিয়ালাইজেশন প্রকাশ পেল, তা এই ডিসেম্বরের প্রাপ্তি। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সততার লিগ্যাসী ধরে রাখাই এখন শেখ হাসিনার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের রক্তচোষা নীতি সামাজিক ব্যবসায় শোধরানোর চেষ্টা আমৃত্যু করবেন। উনি কোলনের রেস্টুরেন্টে বসে এই অঙ্গীকার অন্তত পাঁচজন মানুষের সামনে করেছেন, রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে আঙ্গেলা ম্যারকেলের আমন্ত্রণে সামাজিক ব্যবসা বোঝানোর সফরের সাইড লাইনে আমি স্যারেরএই অঙ্গীকারের সাক্ষী।
শেখ হাসিনাকেও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সততার প্রমাণ আমৃত্যু নিজের জীবনে রাখতে হবে।গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হয় এই সত্যকে রাজনীতিতে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার শেখ হাসিনা দেশবাসীর সামনে করেছেন। কোন রকম ভুল করার সুযোগ ইউনুস বা হাসিনার কারো নেই। ইউনুস এবং হাসিনার দীর্ঘজীবন প্রত্যাশা করছি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৮
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: ইউনিভারসাল ট্রুথ।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৮
কবিরাজ শরীফুল ইসলাম বলেছেন:
তৈল কম পড়লে কইয়েন
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৭
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: আপনার চিন্তার জগতের সাফল্য প্রত্যাশা করছি।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৯
গ্রাউন্ড ফ্লোর বলেছেন: আফসোসের বিষয় হচ্ছে উপরের দুই মন্তব্যকারীর একজনও আপনার লেখাটা পড়েনি। না পড়েই একজন তৈলের বোতল সংক্রান্ত ভু্য়োদর্শন দেখিয়ে গেলেন। একজন অবশ্য স্বীকার করেই নিলেন পুরো পোস্ট পড়েননি।
লেখাটা অসম্ভব ভাল হয়েছে। আজকের বলা কথা আগামীকাল তার মনে থাকবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আপনার লেখনী মনমুগ্ধকর।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৫
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৫
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা কলাম পড়লাম। খুব ভালো লাগল আহসান ভাই। কৃতজ্ঞতা।
অট। ডয়েচে ভ্যালের ৩৫ বছরে বাংলাদেশ- প্রামান্যচিত্রের মাসকাওয়াথ আহসান কি আপনি? আমি আপনাকে বিব্রত করে থাকলে দুঃখিত
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৬
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: হ্যা আমি তখন ডয়চেভেলেতে শুভেচ্ছা। ছিলাম।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৫
কবিরাজ শরীফুল ইসলাম বলেছেন: উনার মেধা বেশ ভালো। কারণ দুইঘন্টা কোন রকম সেন্সরশীপ বা ডিলে সুবিধা ছাড়া লাইভ অনুষ্ঠানে ফায়ারিং স্কোয়াডে বসে হাসিমুখে কথা বলার যে ক্ষমতা আমি দেখেছি, তাতে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্তের দীপ্তি সুস্পষ্ট।
পৃথিবীতে এই দুই জনই বুদ্ধিমান আর বাকী সব আবাল ?
মনে পড়ে এই ক্যারিশম্যাটিক নেত্রী একদিন বলেছিল, ১টা লাশের বদলে ১০টা লাশ পড়বে
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: সেটাই প্রমাণিত। বাকীদের সামর্থ কাজে অপ্রমাণিত।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭
মুমাআলী বলেছেন: আপনি লিখলেন, আমরা ম্যান্গো পিপল পড়লাম।
যাদের জন্য লেখা তাদের কি হবে?
লেখা ভাল এবং বলার দরকার ছিল।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৮
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: তারা চড়ুই পাখির কলাম পড়েন না। খুব ব্যস্ত।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৪
নীল ভ্রমর বলেছেন: ভাল লিখছেন স্যার।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৩
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৪
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: আপনি সম্ভবত শাহরিয়ার সাহেবের সাথে প্রতিদন্ধিতা করেছেন। যদি তাই হয় তবে ফেন্সিডিলের কাহিনি অবান্তর। উনার সততা এবং ডায়নামিজমের কারনে সুপরিচিত।উনাকে আমি বেশ ভালো ভাবেই চিনি।
আপাতত আর বেশি কিছু লিখলাম না।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৫
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শাহরিয়ার সাহেব ভদ্র লোক মানুষ, কিন্তু নির্বাচনে উনি নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া ব্যয় সীমার মাঝে ছিলেন কীনা তা এলাকার সবাই জানেন। উনার ব্যবসায়িক সততার প্রশ্ন নেই, তবে (৭০কোটি টাকা ঋণ ব্যং কে থাকা অবস্থায় উনি নির্বাচন করেছেন। পশ্চিমা গণতন্ত্রে এটা অসম্ভব। আমাকে শাহরিয়ারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভাবার কারণ নাই। কিন্তু এলাকার মানুষ হিসেবে গত দুবছরে উনার ডায়নামিজম রাজনীতিতে দেখা যায়নি। আমরা স্কুল পর্যায় থেকে একে অন্যের পরিচিত। এই সম্পর্কের সুষমা থাকবেই। আপনি শাহরিয়ারের ভক্ত ব্লগার। আপনার স্পর্শ-কাতরতায় আঘাত করে থাকলে সমানুভূতি। সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা নির্বাচনের মাঠে কাজে লাগাতেই আমি ২০০৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের রিপোর্টিংধর্মী একটি বই লিখছি। আগামী নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হবে। বাঘা-চারঘাট-রাজশাহীর অন্তত দশ-জন সাংবাদিক নির্বাচনের আগের রাতে সজাগ ছিলেন। গবেষণাধর্মী ঐ গ্রন্থে আপনার প্রশ্নের এবং আমাকে টিপিক্যালি পরাজিত প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ আজ ছুঁড়লেন তার কিছু প্রশমন হবে আশা করছি। সে পর্যন্ত অপেক্ষা। পুণশ্চ, মাঠের রাজনীতিতে শাহরিয়ারের প্রতিপক্ষ আমি নই, ভার্চুয়াল রাজনীতিতে আমি আমজনতা,আমরা প্রতিপক্ষহীন,কারণ আমরা বাংলাদেশের পক্ষে।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫
ইসানুর বলেছেন: পড়লাম। ভাল লাগল।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০২
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৬
রাত জাগা তারা বলেছেন: ভাল লাগল ।
আসলে আমরা হুজুগ প্রিয় জাতি, কোন কিছু পেলে ভাল মন্দ বিচারের চেয়ে সেটা নিয়ে কচঁলানো আমাদের আমজনতার অভ্যাস । আর মিডিওকাররা আমাদের কাতার ছেড়ে বেরোনোর বদলে বগলদাবা করে রাখতে ভালবাসে।
অন্যরকম বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ ।
অভিনন্দন রইল ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০২
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: অভিনন্দন।
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪০
নীল ভ্রমর বলেছেন: "ভাল লিখছেন স্যার" কথাটা না ভেবেচিন্তেই বলেছি। আপনার লেখার সমালোচনা করার ঙ্গান আমার নাই। আমি just আমার ভাল লেগেছে এই কথাটা বলতে চেয়েছি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৮
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪১
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: প্লাস...ভাল লিখেছেন...
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৮
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৮
জাতি জানতে চায় বলেছেন: ভালো পোস্ট
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৭
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৪
লাল দরজা বলেছেন:
আপনার লেখাগুলো পড়ছি।
বাংলাদেশের মানুষ পকেটমার ধরে বিপুল উৎসাহ আর উদ্দিপনা নিয়ে তাকে পিটিয়ে মারে, চোখ উপরে ফেলে।
বুঝি না কে বেশী পাপী, পকেটমার না খুনী? বুঝি না, বুঝি না আমরা কেমন মানুষ!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৮
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: ভালো থাকবেন।
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৭
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: পোস্টের ভিতরে কি আছে জানিনা। তবে শিরোনাম সম্পর্কে বলছি-উনি নিজেই ১৭ টি দূর্ণীতি মামলার আসামী। সেই মামলাগুলো স্বাভাবিক নিয়মে চললে উনার অবস্থা লুতফুজ্জামান বাবরের চাইতেও ভয়ানক খারাপ হতো।
নিজে ন্যাংটা বলিয়া-অন্য সকলকেও ন্যাংটা করার জন্যই ইউনুসের বিরুদ্ধে বলে নিজেকে বাঁচাতে চাইছেন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩০
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৯
কৃষ্ণনগর বলেছেন: লেখার মান ভালো।কিত্নু যেভাবে ডঃ ইউনুসকে আপনি স্যার স্যার বলে ফেনা তুলছেন সেই ভাবেই খালেদা আর হাসিনাকে জি ম্যাডাম বলে বলে চাটুকারেরা ফায়দা তুলে।স্যার স্যার না বলে ডঃ ইউনুস বলাই মনে হয় ভালো একটা অপেন ফোরামে।
আমি একটা প্রশ্নই করি ডঃ ইউনুস নাকি গ্রামীন ব্যাংকেও একনায়কতন্ত্র কায়েম করে ফেলেছে।উনি বছরের পর বছর পদ আকরে ধরে আছেন,বাংলাদেশ ব্যাকের সভাতেও যান না এই তথ্য কতটুকু সত্য।
ওনাকে আমি কখনও দেখনি কোন সামরিক কিংবা অসামরিক সরকারের মন্দ কাজের একটা গঠনমুলক সমোলচনা করতে।সবাইকে তৈল মর্দন দিয়েই গেছেন সারাজীবন।
আচ্ছা উনি যে নোবেল পেলেন সেখানে আপনি কি মনে করে ক্লিনটন দম্পত্তির লবিংই উনার নোবেল এর জন্য বেশী কাজ দিয়েছে। আর অর্থনীতিতে নোবেল না পেয়ে কেন উনাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে উনি কি শান্তি আনায়ন করেছেন।
আপনার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আক্ষেপের কথা লিখেছেন।পশ্চিমা বিশ্বে কি সবচেয়ে জ্ঞানীগুণিরাই এমপি মন্ত্রী হন? আমি এক ওয়েষ্টান শহরে বাস করি।এখানকার অনেক এমপি শত শত মিলিয়নের মালিক এবং তারা বিপুল ভোটে পাশ করেন।এখানেও এক শ্রেনীর মানুষ আছে যারা বড় দুই দলকে সহ্য করতে পারেনা।কিন্তু মার্কা ছাড়া এখানেও তাদের ভোট নেই।
ডঃ ইউনুস রাজনীতিতে নামার অনেক চেষ্টা করেছেন।ভাইকে দিয়ে জরিপ করিয়েছেন।পাবলিক সাপোর্ট নাই তাই নামেন না।
এক বার ডঃইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন মনে হয়।তখন কি কি কার্যকারী পদক্ষেপ উনি নিয়েছিলেন বলবেন কি?
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: কাউকে পদমর্যাদার কারণে স্যার স্যার বলে ফেনা তোলার উপায়হীনতা আমার জীবনে নেই। সেসব মানুষের সঙ্গে দেখা হলে কিছু শিখতে পারি, নতুন কোন ভাবনার অভিঘাত তৈরী করতে পারেন যেসব শিক্ষক প্রকৃতির প্রবীণ মানুষ, তাদেরকে শিক্ষকের মর্যাদায় আমি স্যার বলি। ব্লগ কোন নিউজরুমের অধীন নয়, ব্লগ লেখকের ব্যক্তিগত ভাবনা ও ভাষারীতির মুক্তির রক্ষাকবচ।ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য। ভালো থাকবেন।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৩
প্রাইমেট বলেছেন: পরিশীলিত ও অনেকটাই তথ্যভিত্তিক লেখাটি ভালো লাগলো। তবু আমার কেন জানি মনে হলো একটি ব্যালেন্স রক্ষা করেছে পুরো লেখাটি।আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনি কি বলতে চান তার আচরণ প্রধানমন্তীসূলভ? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার নেতিবাচক উত্তর হওয়াটাই স্বাভাবিক।ইউনুস সাহেবের ব্যাপারটি এখনো তদন্তই হয়নি, অথচ প্রধানমন্ত্রী যা বললেন তাকে কি বলা যাবে? আর এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেই এইভাবে বলতে হবে কেন? তিনি কি তার ব্যক্তিগত আক্রোশকে, এক ধরণের হিংস্রতাকে আড়াল করতে পেরেছেন? উল্টোপাল্টা মন্তব্য তো তার স্বভাবজাত। রংহেডেড অভিধাকে যেন তিনি ভালো করেই প্রতিষ্ঠিত করতে পণ করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে কারো উপদেশ এবং পরামর্শ তিনি কোনো ভাবেই মানবেন না এটাই প্রমাণ করছেন।এইসব বিষয় আপনার লেখায় এলে লেখাটি আরো ভালো লাগতো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৯
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: সুপরামর্শের জন্য শুভেচ্ছা।
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৪
মা-নবি০৩ বলেছেন: ব্লগের লেখার লিংক শেয়ার করতে অনুমতির প্রয়োজন তো নেই ?
তাই না
কারন আপনার লেখাগুলো আমি নিয়মিত ফেস বুকে শেয়ার করি
আর ড. ইউনুসের তত্ত্বের সফলতা বা পদ্ধদি নিয়ে মত ভিন্নতা থাকলে ও এ মুহুর্তে গ্রামীনের দরিদ্য গ্রাহকদের পক্ষে থাকার চেয়ে তার পক্ষে দাড়ানো টাকে কর্তব্য ই মনে হচেছ
কারন কেউ যদি সত্যিকারে অপরাধী হয় তা প্রমানের আগেই তাকে চিহ্নিত করার অধিকার কারো নেই। আর ব্যক্তির অপরাধ তার অবদানকে মুছে দিতে পারে না
আর বাংলাদেশে এন জি ও দের বঢ় অবদান দারিদ্র বিমোচন না হলে ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর কর্ম সঙস্থান নিশ্চয় অনস্বিকার্য
১৮ লাখ কর্ম ক্ষম ব্রক্তির কত ভাগ বিদেশে যায় , কত ভাগ সরকারী বেসরকারী চাকরী পায় আর কত ভাগ এন জি ও তে কাজ করে
সরল একটা জরিপ করেন সবাই আপনি যে বাসায় থাকেন ে স বাসার পেশাজীবী তদর একটা তালিকা তৈরী করেন থাহলে ইউনুস ,আবেদ দের মত তথাকথিত গনশত্রু ,গরীবের রক্ত চোষা (?!)দের অবদান বুঝতে পারবেন
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: সহমত।
১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮
মোস্তাহিদ বলেছেন: পাভেল ভাই, ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শুভেচ্ছা।
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৪
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: এই ছোট্ট দেশটাতে এত সংকীর্ণতা, এত ভেদাভেদ মনে হয় পাশের বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতেও নাই। শিম্পাঞ্জী বললে কমই বলা হয়।
প্রত্যেক পোস্টেই কেউ না কেউ জিজ্ঞেস করছে ড. ইউনুস কেন অর্থনীতিতে নোবেল না পেয়ে শান্তিতে পেলেন- এটা বেশ মজার!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:১৭
শওগাত আলী সাগর বলেছেন: আপনি এতো ভালো লেখেন কিভাবে ? চমৎকার আপনার বিশ্লেষন ।
একটা ব্যক্তিগত অনুরোধ আপনার ইমেইল এড্রেসটা পেতে পারি ? সময় সময় ভাবনার বিনিময় করার ইচ্ছেয় । [email protected] আমার মেইল।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫১
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: শুভেচ্ছা। ফেসবুকে আমন্ত্রণ।
২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৬
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: মানুষ তখন মার্কার জোয়ার আর শাড়ি-টাকা-লুঙ্গি-সোয়েটার-ফ্যাকটরীতে চাকরীর প্রলোভন আর ফেনসিডিল ডিলিরিয়ামে, এর সামনে কিসের তথ্য প্রযুক্তি।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফেন্সিডিল ডিলিরিয়ামের ব্যপারে কিছু বলেন শুনি।
উনি একজন সফল শিল্পপতি বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে। উনা প্রতিষ্ঠান লাভজনক ভাবেই টিকে আছে। আমরা যেটা বলে থাকি শাহরিয়ার সাহেব ছাইতে হাত দিয়ে সোনা বেরকরে আনেন, সেটা নিজ কর্মদক্ষতা এবং সঠিক ম্যানেজমেন্টের কারনেই। যাতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। আর তার প্রতিস্ঠানে এলাকার অনেক লোক নিয়োগ দেয়া আছে সেই শুরু থেকেই। নাকি এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান করে অন্যায় করে ফেলেছেন?
উনি উনার এলাকায় সামর্থের ব্যবহার করেছেন শীত বস্ত্র বা বিভিন্ন বস্ত্র বিতরনে। নির্বাচন কালীন সময়ে এই সব দান করেননি।
আর আপনি নিজের পপুলারিটির কথা বলেছেন আসলে এই পপুলারিটির মাত্রা একেক রকম। কেউ ভাবে আমি অনেক পপুলার, আসলে কি তাই, মাপকাঠি কি? রাজনীতির ময়দান ভিন্ন জিনিস।
আমি তার ভক্ত নই মোটেই আপনাদের এলাকা রাজশাহী আর আমার এলাকা লক্ষীপুর(বৃহত্তর নোয়াখালী) কিন্তু আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি।
নির্বাচনী ব্যয়ের কথা বললেন, যে দল থেকে নির্বাচন করলেন তারা কি তা সঠিক ভাবে ফলো করেছেন। নাম দিলেই বিকল্প হয়না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৪
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: নোয়াখালীর মানুষ লক্ষীপুরে বসে রাজশাহীর ২০০৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে কী হয়েছিল তা নিশ্চয়ই রাজশাহীর বাসিন্দাদের চেয়ে বেশী জানেন। আপনাকে অভিনন্দন। লালমনির হাট থেকে টমাস বাটা বাঘা চারঘাটে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলো, আপনি তার ব্যক্তিগত পরিচিত লক্ষীপুরে বসে বাঘা চারঘাটের সত্য বেশী জানলেন। পপুলারিটির সংগা আমরা এর আগে নোয়াখালীর মওদুদ আহমেদের কাছ থেকে জেনেছি। নির্বাচনকালীন কী কী সম্প্রদান হয়েছে তার সরজমিন প্রতিবেদনও আসছে। বিকল্প ধারার কে কি ফলো করেছেন ওই কলতলা প্যাচালে গিয়ে লাভ নেই। বিষয়টা বাঘা-চারঘাটে যে প্রার্থীরা ছিলেন, তারা কে কেমন ব্যয় করেছেন, তা নিয়ে। একটি নির্বাচনে আপনার পরিচিতের কথিত সাফল্যে আপনি ছাই থেকে সোনা বের হতে দেখেছেন। রাজনীতির ময়দান ভিন্ন জিনিষ, সোনা থেকে ছাই বের হতেও সময় লাগেনা। ২০১৩ তে কি হয় দেখা যাক। আর এখানে শাহরিয়ারের আত্মজীবনীকারের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া অপ্রাসঙ্গিক। আলোচনা অনেক বড় বিষয়ে। ব্যবসায়ী শাহরিয়ার এসেছেন বণিকের মানদন্ড রাজদন্ডে পরিণত করার রাষ্ট্রবিনাশী নমিনেশানের উদাহরণ হিসেবে। উইকীলিক্সের তথ্য বিপ্লবের যুগে সত্য প্রকাশিত হবে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার যুগ শেষ। আপনি শুধু নোয়াখালীর দূরবীনে বাঘা চারঘাটের অণুবীক্ষণের চেয়ে ভালো দেখছেন। আপনাকে আবারো অভিনন্দন।
২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
বিপ্লব রহমান বলেছেন: গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হয় এই সত্যকে রাজনীতিতে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার শেখ হাসিনা দেশবাসীর সামনে করেছেন। কোন রকম ভুল করার সুযোগ ইউনুস বা হাসিনার কারো নেই।
চমৎকার! ধরা যাক, দু-একটি মাউস এবার!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: চারজনের একদম ভালো লাগেনি। সরি ডিয়ার ফোর। এর পরের লেখা ভালো লাগবে নিশ্চয়।
শুভেচ্ছা।
২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৯
আকাশের তারাগুলি বলেছেন:
নোয়াখালীর দুর্বীনে রাজশাহী দেখা আসলেই কষ্টকর। কিন্তু আমি বলেছি আপনি যেভাবে বলেছেন তিনি সেরুপ নয় মোটেই। উনাকে ফেন্সিডিলের সাথে জড়িয়ে ফেলেছেন রীতিমত।মওদুদ আহমদ প্রসংগ অপ্রাসংগিক।
নির্বাচনে তিনি চাই থেকে সোনা বের করে এনেছেন একথা বলিনি মোটেই, বলেছি উনার ব্যবসা বিষয়ে। উনি বেশ কয়েকটা রুগ্ন শিল্পকে সন্চারিত করেছেন, যা লাভের মুখ দেখেছে।
শাহরিয়ার সাহেবের ব্যবসা আজ নতুন কিছু নয়। উনার প্রতিষ্ঠান গুলো রপ্তানী বানিজ্যে লাভজনক ভাবেই আছে অনেক বছর যাবত।
বিকল্পধারার কে কি করলো সে প্যচাল পেড়ে লাভনেই , ঠিকই বিকল্পধারার পতাকাতলে গিয়ে পৌছেছেন।
বাংলাদেশে ভুরি ভুরি প্রমান বিদ্যমান যারা অর্থবিত্ত না থেকেও নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছেন।
ডঃ ইউনুসও ভেবেছিলেন তিনি জনপ্রিয় তাই রাজনীতিতে নেমেছিলেন, দোকান খুলেছিলেন ফোন ফ্যাক্সের, মতামত নেয়ার জন্য।তারপর কি দেখলাম।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
মাসকাওয়াথ আহসান বলেছেন: আপনি একজন সাধারণ পাঠক নন বাংলাদেশের রুগ্ন শিল্পের জনক সিজারিয়ান রাজনীতির ৭০ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ঋণগ্রস্ত নবজাতক রাজনীতিবিদের সুকৃতির তল্পিবাহক। গত দুবছরে যে লোক তার নির্বাচনী এলাকায় কোন পারফরমেন্স দেখাতে পারেনি, তাকে নিয়ে মন্তব্যবাজি করছেন আমার কাছে। আপনি খুব গতানুগতিক চিন্তার মানুষ, বাংলাদেশের শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থার গলদ চোরের ভাইয়ের যে বড়গলা তৈরী করেছে,শিক্ষার হার বাড়লে তা কমে আসবে। যতদিন পর্যন্ত অশিক্ষিত অন্ধকার শাসন রাষ্ট্র ও সমাজে কালো টাকার প্রাডো হাঁকিয়ে বেড়াবে, ততদিন পর্যন্ত আপনার ড।ইউনুস হত্যা অব্যাহত থাকবে। আমাদের ভাবনার পার্থক্য রাজনৈতিক নয়,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক মান সঞ্জাত। আজকের আলোচনায় আপনি জিতেছেন, শাহরিয়ারের নির্বাচনী খরচে বাঘা চারঘাটের কোন তারুণ্য ফেনসিডিল খায়নি বলছেন, নির্বাচনে জেতার পর শাহরিয়ার সাহেবের প্রধান নির্বাচন প্রচারণা ম্যানেজার বাঘার স্কুলের পুরস্কার বিতরণী সভায়, শাহরিয়ার রপ্তানীতে ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার দিতে গিয়ে মঞ্চে মাতলামি করেছে। কালের কন্ঠ ও সমকালে প্রকাশিত। বাঘার শিশুরা দেখেছে সেই সুসংস্কৃতি। আপনি আপনার দম্ভের ফুলস প্যারাডাইসে বসে আপনার রুগ্ন শিল্পের জনক বন্দনা করুন। আমরা বাংলালিক্সে ধীরে ধীরে অন্ধকারের মুখোশ উন্মোচন করতে থাকি।
২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: হাসিনা মেডামের খাদ্য মন্ত্রীই একবার বলেছেন চাদাবাজির কারনে খাদ্যদ্রব্যের মুল্য ৭০ ভাগ বৃদ্ধি পায়।উনার দলের লোকেরা কার রক্ত চুষে খায় বড়লোকের?ইউনুস অন্তত দেখিয়ে দিয়েছেন গরীবদের দিয়েও ব্যবসা সম্ভব যার কারনে তার মডেল অনেক দেশেই গৃহিত।আমরা যদি নিজেরা নিজেদের অপমান করতে থাকি বাইরের লোকেরা আমাদের কিভাবে সম্মান করবে?
২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
মহসিন৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৬
clingb বলেছেন: শুধু শিরোনামটাই পড়লাম। এতবড় লেখা..বিশেষ করে যেকথার উৎস শেখ হাসিনা তা পড়ে সময় নষ্ট করতে চাই নি।
তবে শেখ হাসিনা যা বলেছেন তা কিন্তু তার নিজের, নিজের দলের আর তার সরকারের শোষকদের বেলাতেও সত্যি হতে পারে।