![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রী দুজনেই বেশ বয়স্ক মানুষ। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। তাদের জানার কথা, মিডিয়া লাইসেন্স প্রচলিত আইন অনুযায়ী ‘কেবলমাত্র মিডিয়া প্রফেশনালদের’ পাবার কথা। যেমন চ্যানেল আই, সময় টিভি, একাত্তর টিভির লাইসেন্সগুলো প্রফেশনাল লোকেরা পেয়েছিলেন। ফলাফল সবার হাতে।
এই তিনটি টিভি আবারো প্রমাণ করে প্রফেশনাল লোককে লাইসেন্স দিলে ফলাফল মিডিয়া উতকর্ষের পক্ষে যায়।
এতো কিছু জেনে বুঝে বা বোঝার দাবী করার পরেও সাম্প্রতিক টিভি-রেডিও লাইসেন্সগুলো মিডিয়া প্রফেশনাল নন এরকম গার্মেন্টস বা ত্যানা ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতি ব্যবসায়ীরাই পেয়েছে।
তাহলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান থেকে শেখ হাসিনা ও তথ্যমন্ত্রী ইনু কোনদিক দিয়ে আলাদা। অন্ততঃ মিডিয়া লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে এরা একইরকম গ্রাম্য, অবিমৃষ্যকারী ও গণশত্রু।
টিভি লাইসেন্স প্রসঙ্গে যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, এটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইনারী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তুই রাজাকার ইত্যাদি আলোচনায় হারিয়ে দেবার সুযোগ নেই। সেটা ছাগুর মতোই শোনাবে, দ্যাশে বিদ্যুৎ নাই, গ্যাস নাই, পানি নাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কইরা কী লাভ গোত্রীয় আর কী।
মিডিয়া লাইসেন্স দেবার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।
কোন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বা মন্ত্রী কীভাবে মিডিয়া লাইসেন্স পায়। এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও গণপ্রতিনিধি আইনের বরখেলাপ। একজন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের চাকরীতে থেকে বা গণপ্রতিনিধি হয়ে কোনভাবেই লাইসেন্স পেতে পারে না।
এরকম লাইসেন্স যে শেখ হাসিনা বা হাসানুল হক দেন, তারা যেন ইতিহাসে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে একটু আগেই সচেতন হন।
আমার জানামতে ঢাকার সেরা প্রফেশনাল ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা এই টিভি ও রেডিও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে পাননি। এরা কেউ উচ্চবাচ্য করেননি। কারণ ঢাকা গ্রামে এবিএম মুসা অভিজ্ঞ সাংবাদিক হিসেবে মিডিয়া লাইসেন্স না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে, আওয়ামী লীগের গদি ঘরের খাদেমরা প্রকাশ্যে বলেন, মুসা পাগল। আপনারা জানেন কতটা অসুস্থ সমাজে মুসা 'পাগল' আর ঐ এটি এনের কাক- গায়ক মালিক সুস্থ ও সফল। তো এরকম তস্য গ্রামে থাকলে আপনেকে হানিফ, সখিনাদের সালাম দিয়েই থাকতে হবে।
তো এই সখিনারা টিভি লাইসেন্স দিয়েছে ধরুণ একজন টেইলর মাস্টার বা দর্জিকে, একজন প্লাস্টিকের বদনা ব্যবসায়ী বা ফার্ণিচার ব্যবসায়ীকে। সখিনার ছেলেটা শহর থেকে ঢাকা গ্রামে এলে যে গ্রামীণ মামুরা ‘শহুরে’ ভাগ্নেকে সাইকেলে করে গ্রাম ঘুরে দেখায়; তারাই পেয়ে যায় মিডিয়া লাইসেন্স।
ইন্টারনেট মিডিয়া আসার পর মূলধারার টিভি-রেডিও ইথারে হারিয়ে যাওয়া লস্ট মিডিয়া। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি আগামী পাঁচবছর পর মূলধারার মিডিয়া বিটিভি বা বাংলাদেশ বেতারের মত প্রত্ন মিডিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।
কিন্তু মিডিয়া লাইসেন্স গুলো দলীয় ব্যবসায়ী, সাংসদ, মন্ত্রীর হাতে তুলে দিলে বোঝা যায়; সারমেয় লেজ সংস্কৃতিকে টেনে সোজা করা সহজ নয়।
অযোগ্য লোককে টিভি-রেডিও লাইসেন্স দিলে হাসানুল হক ইনুকে কোন যুক্তিতে বিএনপির তথ্যমন্ত্রী নাজমুল হুদা বা তরিকুল ইসলামের চেয়ে উতকৃষ্ট ভাববো আমরা।
খালেদা জিয়ার প্রশ্রয়ে ফালুদের লাইসেন্স বা শেখ হাসিনার অনুগ্রহে শালুদের লাইসেন্স দেয়ার এই ঔদ্ধত্য দেখে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অমর পিতার ক্রেডেনশিয়াল এবিউজ করছেন। খালেদা যে গ্রাম্য ও উদ্ধত নেপোটিজম-ফেভারেটিজম করেছেন, হাসিনা তার পুনরাবৃত্তি ঘটালে ইতিহাস কোনদিন ফিরে জিজ্ঞেস করবে না, আপনার আব্বার নাম কী!
যেসব অবৈধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে দলীয় সাংসদ-ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের তা বাতিল করে; লাইসেন্সগুলো যোগ্য ও পেশাদার অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের মাঝে পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে বিতরণের সবিনয় অনুরোধ। ফেসবুকের এক আননোন সিটিজেনের স্টেটাসের এই লেখাটাকে গণভবন বা সচিবালয়ের আইভরী টাওয়ারে বসে আধূলির মতো ছোট দেখালেও, এটা আধুলি নয়। যেদিন অগণন আধুলি চিৎকার করে বলবে, দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান; তখন হয়তো ক্ষমতার ইউফোরিয়ায় উদ্ধত অবিমৃষ্যকারী হাসিনা-ইনু বুঝবেন, অন্ধকার গ্রামে পঞ্চায়েতের বাহাদুরী চলে; ২০১৪-র আলোর উদ্ভাসে আলোকিত তারুণ্যের ঢাকা নগরীতে এসব হাস্যকর, আউটডেটেড , ইনসাফারেবল।
জনমতের আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে হাসিনা কে ‘আউট’ ঘোষণা দেবার আগেই সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার হওয়া উচিত।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫২
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: অর্থনৈতিক দিক থেকে খালেদা তারেক আর হাসিনা ইনুর মধ্যে কোন পার্থক্য চোখে পড়ে না। দুর্নীতি নিয়ে সাফাই আর নিজেদের নামে মামলা প্রত্যাহার করতে সবাই সমান পারদর্শী। কিন্তু আমরাই এদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনি তাই না!!!!
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
হাসিনার নৈতিকতা আশা করে??
পাগল নাকি????
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: " প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রী দুজনেই বেশ বয়স্ক মানুষ। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। "
একজন ডোডো, অন্যজন জাসদের জল্লাদ
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ পোস্ট
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
আলম 1 বলেছেন: অনেক বেকার চাকুরী পাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সব আসলে ক্ষমতার আউলা