![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হঠাৎ করেই ব্লগে লেখা শুরু করা,এখন না লিখে আর থাকতে পারিনা।আজীবন লিখতে চাই....
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড.এ কে এম শফিউল ইসলামের কথা মনে আছে? যিনি দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। আমার এই বইটি পড়ার সাথে তাঁর একটি স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ছিলো গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়, আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী উপজেলা। মাঝেমধ্যে যখন তিনি গ্রামের বাড়ি যেতেন আমার পরিচিত দুএকজনের সাথে কথা হতো তাঁর। বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। অবশ্য আমার সাথে দেখা বা কথা হয়নি কখনো। পরিচিতদের কাছে শুনতাম উনি খুব জ্ঞানী লোক আর বাউল গানের ভক্ত। এমনি এক পরিচিত লোক একদিন কথাপ্রসঙ্গে বললেন তিনি নাকি হযরত আলীর রাঃ একটি বইয়ের কথা বলেছেন যে বইয়ের প্রচ্ছদে হযরত আলীর ছবি দেয়া আছে! বইটি তিনি সংগ্রহ করতে আগ্রহী কিন্তু উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না! বইটির নামও তার মনে নেই। আসলে আমারো তখন বইটির কথা জানা ছিলোনা। তবে কৌতুহল হলো। তাই বিভিন্নভাবে নেটে সার্চ করে খোঁজা শুরু করলাম। অবশেষে যখন নাহাজ আল বালাঘা নামটি খুঁজে পেলাম তখন উনারো মনে পড়লো এটিই সেই বই! এরপর PDF ভার্সন খুঁজে পেতেই ডাউনলোড করে নিলাম। কিন্তু উনি তো পড়তে পারবেন না আর ইবুকের প্রচ্ছদে সেই ছবিও নেই! আবার রকমারি ডটকমে খুঁজলাম,পেয়েও গেলাম। তিনিও খুশি এবং অনলাইনে বইটির অর্ডার দিতে বললেন। অর্ডার করে দিলাম আর যথাসময়ে বইটিও হাতে পেলেন তিনি। বই পেয়ে মহাখুশি! কিছুদিন পর আবার আমার সাথে দেখা হতেই আরেকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে আসলেন। তিনিও কিনবেন। যথারীতি আবারো বইটি সংগ্রহ করে দিলাম। আর আমি নিজেও ইবুকটি পড়ে ফেললাম। মোটামুটি ভালই লেগেছিলো পড়তে। বেশকিছু ঐতিহাসিক তথ্য রয়েছে বইটিতে। তবে এটাও সত্যি কিছুটা অতিরঞ্জনও রয়েছে হয়তো যা পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন? আগ্রহ হলে এখনই সংগ্রহে নিয়ে নিন বইটি!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৬
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ডাউনলোড করলাম
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৬
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ লিংক দেওয়ার জন্য।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৬
কানিজ রিনা বলেছেন: বইটা আমার ঘরে ছিল পড়েছি কিছুটা মনে
পড়ল। অতিরঞ্জিত ছিল বলে মনে নেই।
ধন্যবাদ বইটা খুজে দেখবক্ষন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৯
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: ধন্যবাদ। শিয়া সুন্নী মতভেদের জন্য কিছু টিকা ভাষ্য অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
হযরত আলী লিখতে জানতেন কিনা?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: না তো! শুধু আপনিই জানেন! আমরাও তো কেউ লিখতে জানিনা!
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান লেখাটির জন্য । লেখাটি প্রিয়তে গেল । বইটি পাঠের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই একটি প্রবল আগ্রহ ছিল । অন লাইনে পিডি্এফ ভার্ষন ডাউনলোড যোগ্য কোন লিংক পাচ্ছিলাম না । এখন আপনার পোষ্টের লিংক ফলো করে করে বইটির পিডিএফ ভার্ষন ডাউনলোড করে ঘন্টা কয়েক ধরে যতদুর পারা যায় পাঠ করেছি । প্রায় চার শতাধিক পৃষ্ঠার বইটি পাঠ শেষ করা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যপার । দোয়া করবেন মুল্যবান এই বইটি যেন পুরাটা পাঠ শেষ করতে পারি ।
বইটি পাঠে রাসুল ( সাঃ) এর কথা, তথা হযরত আলী যে রাসুল ( সাঃ) এর ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ ছিলেন তা সহজেই অনুধাবন করা যায় । বইটি পাঠে জানা যায় হযরত আলী কত বড় মাপের তত্বজ্ঞানী , দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্নী ছিলেন । ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আলঙ্কারিক শাস্রে তাঁর পান্ডিত্য ও নৈপুন্য ছিল অসাধারণ । তিনি রাসুলের সান্নিধ্যে থেকে নবুয়তি জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরন করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে শেষ্ট জ্ঞানী পন্ডিত হিসাবে গন্য ছিলেন , এতে কারো দ্বিমত নেই । বইটি পাঠে দেখা যায় এতে রয়েছে ২৩৯ টি ভাষন ( খুৎবা ) ৭৯ টি পত্র ও দিক নির্দেশনা এবং ৪৮৯ টি উক্তি । এই বিশাল তথ্য সমৃদ্ধ বইটি আল্লামা শরীফ রাজী ৪০০ হিজরী সনে ‘’নাহজ আল বালাঘা’’ নামে সংকলন করে সমসামিক কালের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন । পুস্তকটির আবেদন এখনো সমাসীন রয়েছেসকলের কাছে ।
বইটিতে খেলাফত সংক্রান্ত ভাষন ও পত্রাবলীর যে সব টিকা রয়েছে তাতে তৎকালীন রাজনৈতিক বিষয়াবলী এবং ব্যখ্যাগুলি শিয়া মতাবলম্বীদের দৃষ্টিকোন হতে লেখা বলে অনেকেই একে কিছুটা অতিরঞ্জিত বলে বিবেচনা করছেন । এ পোষ্টের মুল লেখা ও মন্তব্যের ঘরেও তা কিছুটা দেখা যায় । বইটিতে থাকা টিকা গুলীতে সুন্নীদের কিছুটা ভিন্নমত থাকার কারণে এটাকে অতিরঞ্জিত বলে মনে হতে পারে । অতিরঞ্জনের বিষয়ে বইটিতে অনুবাদকের ভাষ্যমতে দেখা যায় হযরত আলী নীজেও বলেছেন “ আমাকে নিয়ে দু শ্রেণীর লোক ধ্বংস হয়ে যাবে । এক শ্রেণী হলো যারা আমাকে ভালবেসে অতিরঞ্জিত করবে এবং অপর শ্রেণী হলো যারা আমাকে ঘৃনা ভরে অবজ্ঞা করবে ”।
নৈতিকতার কারণে বইটির বাংলা অনুবাদক বিতর্কিত বিষয়গুলি অনুবাদ গ্রন্থে বাদ দেননি বলেও উল্লেখ করেছেন তবে পরবর্তী সংস্করনে সুন্নী মতাবলম্বিদের দৃষ্টিতে যুক্তি তর্ক দিয়ে টীকা গুলিকে বিতর্ক মুক্ত করার একটি প্রয়াস তিনি নিবেন বলেও জানিয়েছেন । তাই এই বই এর পরবর্তী সংস্করনটি পাঠের তীব্র ইচ্ছা রইল । যদি পরবর্তী সংস্করণ ইতিমধ্যে বের হয়ে থাকে তবে তার প্রাপ্তি সম্পর্কে কোন তথ্য কিংবা পিডিএফ ভার্ষন এর কোন লিংক জানা থাকলে এখানে প্রতি উত্তরে জানালে বাধিত হব ।
বইটির মুল রচনাকারী হযরত আলী ( রঃ), বইটির সংকলনকারী আশ - শরীফ আর –রাজী , বাংলা অনুবাদক জেহাদুল ইসলাম প্রমুখের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।
আপনার প্রতিউ রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার আগ্রহের প্রতি সম্মান জানাই। আপনার প্রতিও রইলো শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: হযরত আলীর ছবিতো পাচ্ছি না। পিডিএফ ডাউনলোড করেছি
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: পিডিএফ ভার্সনে ছবিটি নেই আগেই বলেছি। শুধু প্রিন্ট ভার্সনে আছে।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @চাঁদগাজী ! পিপীলিকা যদি হাতিরে মাপিতে যায়, বিষয়টা হাস্যকরই হইবে !
ছাত্র অবস্থায় পড়িয়াছিলাম। খুবই চমৎকার ! আমি সুন্নি দৃষ্টিভঙ্গি টিকা সহকারেই পড়িয়াছিলাম !
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
আলী নওয়াজ খান বলেছেন: গ্রন্থটি আমিও পড়েছি তবে নাহজুল বালাগা গ্রন্থে অতিরঞ্জিত কিছু নেই, বরং বিশাল জ্ঞানের সাগর মনে হয়েছে। পড়ার সাথে সাথে বারবার অবাক হয়েছি ইসলামেরর ইতিহাসে এমন মহাজ্ঞানীর উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও হাদীস গ্রন্থে তাঁর কোন হাদীস খুজে পাওয়া যায় না ! মহানবী যা নিজের জ্ঞানের দ্বার সমতুল্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন অর্থাৎ যদি কেউ আল্লাহর নবীর (স জ্ঞান অন্বেষণ করতে চায় তাকে অবশ্যই হযরত আলীর স্মরণাপন্ন হতে হবে । কিন্তু দু:খের বিষয় হল তৎকালীন রাজনৈতিক অশুভ চাপের ফলে মুসলিম উম্মাহ মহানবীর সে জ্ঞানের দ্বার হারিয়ে ফেলেছেন। সত্যিকারর্থে আজও মুসলিম উম্মাহ যোগ্য নেতার অভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে । তাই কখনও সাদ্দামের মত কুলংঙ্কারকে নেতা ভাবে, কখনো সন্ত্রাসী বিন লাদেনকে আবার সৌদি লুচ্চর ইহুদী রাজাবাদশাদের !! এই আত্মহুতীর শেষ কোথায় ?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: টিকাগুলোতে কিছুটা মতভেদ আছে। কারণ এসব ব্যাখ্যা একেকজন একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে করতে পারে। এতে কিছু অতিরঞ্জন হয়!
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ফালতু বই পড়ে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: একেকজনের মূল্যবোধ একেকরকম। একটা দুস্প্রাপ্য প্রাচীন মুদ্রা কেউ মিলিয়ন ডলার দিয়েও কিনতে পারে আবার কারো কাছে এর চারপয়সাও মূল্য নেই।
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
৮ নং কমেন্টের জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকলেন যে! ভয় পাচ্ছেন কি?
বইটি ভাল। আমার সংগ্রহে রয়েছে।
ধন্যবাদ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৩
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: যাকে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট করা হয়েছে সেই জবাব দিক।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @রাজীব নুর !
নাবালেগের কাছে হীরার টুকরাও ফালতু মনে হয়, দুই টাকার ভেঁপুও হীরার চেয়ে মূল্যবান হইয়া থাকে !
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এরকম কোন বই ছিল তাই জানতাম না ! ধন্যবাদ। নকিব, টারজান এদের কমেনটে লাইক !
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২১
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
Hermes বলেছেন: নাহজুল বালাগাহ্’ নামের যে সুন্দর ও মনোজ্ঞ সংকলনটি আমাদের সামনে বিদ্যমান এবং কালের আবর্তনে যা পুরনো হয়ে যায় নি, আর সময়ের উত্তরণ ও নব নব আলোকিত চিন্তাধারার আবির্ভাব যার গুরুত্ব ও তাৎপর্য আরো বৃদ্ধি করেছে তা খোদাভীরু বান্দাদের নেতা হযরত আলী (কা. )-এর নির্বাচিত ভাষণ, দোয়া, অসিয়ত, পত্র ও সংক্ষিপ্ত বাণীসমূহের সমষ্টি যা সাইয়্যেদ রাযী (রহ.) কর্তৃক এক হাজার বছর পূর্বে সংকলিত হয়েছে।
এ কথাটি সন্দেহাতীতভাবে সত্য, যেহেতু হযরত আলী (কা .) বাগ্মী ছিলেন সেহেতু তিনি অনেক ভাষণ রচনা করেছেন, বিভিন্ন উপলক্ষে অগণিত সংক্ষিপ্ত জ্ঞানগর্ভমূলক বাণী তাঁর থেকে শ্রুত হয়েছে; আর একইভাবে তিনি বিশেষ করে তাঁর খেলাফতকালে প্রচুর চিঠি-পত্রও লিখেছিলেন। পরবর্তীতে মুসলমানগণ তাঁর ভাষণ, বাণী ও পত্রাদি সযত্নে সংরক্ষণ করার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ দেখিয়েছে।
আল্লামাহ্ মাসউদী যিনি সাইয়্যেদ রাযীরও প্রায় এক শ’ বছর পূর্বে জীবিত ছিলেন (হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষের দিকে ও হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর প্রথম দিকে) তিনি ‘মুরাওওয়াজুয্ যাহাব’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডে ‘তাঁর বাণী,হাদীস ও যুহ্দের (পার্থিবতা ও বস্তুবাদিতার বিপক্ষে সর্বদা সংগ্রাম রত) কতিপয় আলোকিত উদাহরণের উল্লেখ’শিরোনামে লিখেছেন, “জনগণ বিভিন্ন উপলক্ষে ইমাম আলী প্রদত্ত ভাষণসমূহ সংরক্ষণ করেছে যা ৪৮০-এরও অধিক।” হযরত আলী (কা.) এসব ভাষণ পূর্বলিখিত খসড়া ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যৎপন্নমতিত্বের সাথে রচনা করেছিলেন। আর জনগণও ঐ সব ভাষণ হৃদয়ঙ্গম করেছে এবং কার্যত এগুলো থেকে উপকৃত হয়েছে।
আল্লামাহ্ মাসউদীর মত পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়, হযরত আলীর ভাষণ কত বেশি ছিল! নাহজুল বালাগায় ২৩৯টি ভাষণ উদ্ধৃত হয়েছে, অথচ মাসউদী ৪৮০টিরও অধিক ভাষণের কথা উল্লেখ করেছেন। অধিকন্তু মুসলিম সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী হযরত আলীর বাণীসমূহ মুখস্থ ও সংরক্ষণ করার ব্যাপারে মনোযোগ দিয়েছেন ও অপার আগ্রহ প্রদর্শন করেছেন।
নাহজুল বালাগা’র আলোচ্য বিষয়বস্তুসমূহ
যে সব বিষয় ‘নাহজুল বালাগা’য় আলোচিত হয়েছে এবং যা এই স্বর্গীয় বাণীসমূহকে বিভিন্ন রং ও বর্ণে সুশোভিত করেছে তা অগণিত। এই অক্ষম বান্দা (প্রবন্ধকার আয়াতুল্লাহ্ মুতাহ্হারী) দাবী করছে না যে, সে‘নাহজুল বালাগা’ বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। কেবল তার একান্ত ইচ্ছা ও অভিলাষ হচ্ছে নাহজুল বালাগাকে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা ও অধ্যয়ন। নিঃসন্দেহে আগামীতে এমন ব্যক্তিবর্গ এ ক্ষেত্রে অগ্রণী হবেন যাঁরা ‘নাহজুল বালাগাহ্’-কে ভালোভাবে বুঝতে এবং এর যথার্থ হক আদায় করতে সক্ষম হবেন।
‘নাহজুল বালাগা’র আলোচ্য বিষয়াদির প্রতি সার্বিক দৃষ্টিপাত
নাহজুল বালাগার আলোচ্য বিষয়বস্তুসমূহ, যার প্রতিটি আলোচনা ও অধ্যয়নের উপযুক্ত তা নিম্নরূপ :
১. স্রষ্টাতত্ত্ব এবং অজড়-অবস্তুগত জগৎ ও বিষয়াদি
২. আধ্যাত্মিক সাধনা ও পরিক্রমণ ও ইবাদত-বন্দেগী
৩. প্রশাসন, সরকার ও ন্যায়বিচার
৪. আহলেবাইত ও খেলাফত
৫. সদুপদেশ ও প্রজ্ঞাময় বাণী
৬. পার্থিব জগৎ, পার্থিব জগতের প্রতি আসক্তি ও বস্তুকেন্দ্রিকতা
৭. বীরত্বগাথা ও সাহস
৮. ভয়ঙ্কর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ-বিগ্রহসমূহ
৯. প্রার্থনা (দোয়া ও মুনাজাত)
১০. সমকালীন যুগের জনগণের সমালোচনা ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
১১. সামাজিক মূলনীতিসমূহ
১২. ইসলাম ও কোরআন
১৩. চরিত্র ও আত্মশুদ্ধি
১৪. ব্যক্তিত্বসমূহ
এবং আরো বহু অগণিত আলোচ্য বিষয়।
এটি স্বতঃসিদ্ধ যে, যেমনভাবে প্রবন্ধসমূহের শিরোনাম১০(সেইরী র্দা ‘নাহজুল বালাগাহ্’ অর্থাৎ ‘নাহজুল বালাগা’য় পরিক্রমণ) থেকে প্রতীয়মান হয়, ঠিক তেমনিভাবে আমি না দাবী করছি যে, উপরোক্ত বিষয়বস্তুসমূহ নাহজুল বালাগায় বর্ণিত সকল বিষয়বস্তুকে শামিল করে আর না আমার দাবী এটি, উপরোল্লিখিত বিষয়বস্তুসমূহ নিয়ে আমি চূড়ান্ত আলোচনা করব আর না আমার এ ধরনের দাবী করার যোগ্যতা আছে। অত্র আলোচনায় আপনারা যা লক্ষ্য করে থাকবেন তা আসলে ‘নাহজুল বালাগা’য় এক ঝলক চোখ বুলানো ছাড়া আর কিছুই নয়। আশা করা যায় যে, পরবর্তীতে সময় সুযোগ হলে এ বিশাল জ্ঞান-ভাণ্ডার থেকে আরো অধিক ফল ও কল্যাণ লাভ করা যাবে অথবা অন্যেরা ভবিষ্যতে এ ধরনের তৌফিক ও সামর্থ্য লাভ করবেন (আর তারা এ ব্যাপারে আরো ব্যাপক গবেষণা করার সুযোগ পাবেন এবং অধিক লাভবানও হবেন)। মহান আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ। ইন্নাহু খাইরু মুওয়াফ্ফিক ওয়া মুঈন (অর্থাৎ নিশ্চয়ই তিনি শ্রেষ্ঠ তৌফিকদাতা ও সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী)।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৩
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
আরমান আরজু বলেছেন: সম্মানিত সাহাবাদেরকে আল্লাহর নবী আকাশের তারকার সাথে তুলনা করে বলেছেন তাঁদের যে কাউকেও অনুসরণ করবে হেদায়েত পাবে। অথচ কেউ কেউ (শিয়া অনুসারী) হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ছাড়া প্রধান তিনজন সাহাবাকে (হযরত আবু বকর, হযরত উমর এবং হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) গুরুত্বই দেয় না! বাকীদের কথা না-ই বা বললাম। কী সাংঘাতিক! দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি আধ্যাত্মিক সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রিয় ইরান নামক একটি দেশে এ মতবাদটির অনুসারীরা সংখ্যাগুরু যে দেশটি নিজেকে পরিচয় দেয় ’ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরান’ বলে অথচ ইসলামের মূলেই তারা কুঠারাঘাত করেছে! সাহাবারা নিজের জান-মাল দিয়ে নবীকে ভালবেসেছেন আমৃত্যু আর আমরা তাঁদের এ ত্যাগকে অনুসরণ না করে নেমে গেলাম বিভেদ তৈরীর কাজে। এ কথা সত্য যে অধ্যাত্মজ্ঞান জগতে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর গুরুত্ব অদ্বিতীয় কারণ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ”আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর আলী (হযরত আলী রা.) হল সেই (জ্ঞানের) শহরের প্রবেশদ্বার”। কোন জ্ঞান? যে জ্ঞান দ্বারা মহান আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছা যায়। আমি আগেই বলেছি আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে আর নবীকে পেতে হলে আলীকে লাগবেই। ”নাহজুল বালাঘা” নামক একটি গ্রন্থকে তারা খুব শ্রদ্ধা করে কারণ তাদের বিশ্বাস গ্রন্থটি হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর বক্তৃতা, পত্র আর উক্তির সংকলন। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল যিনি অধ্যাত্মজগতের চরম স্তরে বিরাজ করছেন তাঁর গ্রন্থ বলে চালানো বইটিতে অধ্যাত্মজ্ঞান সম্পর্কিত একটিও বক্তৃতা, পত্র আর উক্তি নেই! ’মুতা বিবাহ’ নামক একটি জঘন্য প্রথা সেই কবে ইসলামে নিষিদ্ধ হয়েছে অথচ শিয়ারা আজো এ ’মুতা বিবাহ’ তাদের জন্য জায়েজ করে রেখেছে! বাস্তবতাকে অস্বীকার করে তারাও ’ইসলাম’কে ওয়াহাবী, সালাফি, আহলে হাদীস, লা-মাযহাবীদের মতো কিছু প্রথা আর গ্রন্থে আবদ্ধ করে ফেলেছে। যেখানে বাস্তবতা নেই সেখানে কখনো সত্য অবস্থান করতে পারে না।
বিস্তারিতঃ 'সুন্নী, ওয়াহাবী, শিয়া, তাবলীগি, জামায়াতী, তালেবানী, আইএসআইএস ইত্যাদি আসলে কী?' (প্রকাশের অপেক্ষায়)
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩০
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: এইসব বিভেদ নিয়ে এখানে আলোচনা না করাই ভালো। বইটি যার ভালোলাগে সে পড়ুক। বিভেদ থাকবেই। যুগ যুগ ধরেই আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ