নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা

হারানোর ভঁয়ে কাতর থাকি, কাছে আশার স্বপ্নে বিবর , বাস্তবতার চেয়ে স্বপ্নটা আমায় হাসায় বেশি , বন্ধুত্ব করতে ভালোবাশী

মাসুদ ০০৭

হারানোর ভঁয়ে কাতর থাকি, কাছে আশার স্বপ্নে বিবর , বাস্তবতার চেয়ে স্বপ্নটা আমায় হাসায় বেশি , বন্ধুত্ব করতে ভালোবাশী।

মাসুদ ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

........................আমাদের দেশ আর আমরা .....................



(আমার জীবনের একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করলাম)



রাস্তা পারি দিচ্ছিলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু আর রুমম্যাটরা মিলে। শীতের সন্ধ্যায় এক কাপ চা আর একটু আড্ডাবাজি বা রাজনৈতিক আলাপ করে।

মহাম্মদপুর আল্লাহকরিম এর রাস্তা পার হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম রোডের সামনে যেতেই একটা বাস আসতেছিল আমদের গা ঘেষে। একজন দাড় করাল আমাদেরকে।

প্রথমে ভাবলাম হয়তবা বাসের হেল্পার হবে। পরে দেখলাম একজন, দুইজন, এইভাবে ৯ থেকে ১০ জন। অনেকটা ভয় পেয়েযাই আমরা সবাই। এতগুলো মানুষ আমাদের থামাল কেন?

সোহানের মুখটা রক্ত শুন্য হয়ে গেল। মুরাদ আমাকে কানে কানে বল্ল, ভাই ওরা এলাকার ফিটিংবাজ নাতো? আমি কোন উত্তর দিলাম না। নাজমুল হতাশ হয়ে তাকিয়ে আছে অচেনা মানুষ গুলোর দিকে নিরভাক হয়ে।

কেমন গম্ভীর একটা পরিবেশ তৈরি হয়ে গেল। হঠাত করে জিজ্ঞাসা করল, তোর বাড়ি কোথায়? আর ঠিক তখনই ধরেছে আমার এক হাতে। আমি কাপাকাপা কন্ঠে উত্তর দিলাম কুমিল্লা।

এক এক করে সবার ঠিকানা জিজ্ঞাস করল এবং সাথে সাথে অন্য সবাই বাকি গুলোর শরীর সার্চ শুরু করল।পাওয়ার মধ্যে পেল মানিব্যাগ আর মোবাইল গুল। একেক জনের এক এক চিন্তা, মবাইল আর মানিব্যাগ গুলো যে নিয়ে গেল দিবেত, নাকি নিয়েযাবে?

চিন্তা শেষ হওয়ার আগেই মোবাইলের পাসওয়ার্ড জানতে চায়, তাও দিতেহয়। এক একটা এসএমএস দেখে আর একেক ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। নাজমুলকে জেরা করছিল খুব বেশি। ওর মোবাইলে একটা এসএমএস ছিল "তোমরা সবাই আমার সাথে ১০ টার মধ্যে দেখা কর"।

নাজমুলের মুখে দাড়ি আছে। এই পৃথিবীতে আশার পর থেকে এখনও দাড়ি কাটা হয়নি তার । আর তাই হয়ত বেশি নজরদারি ছিল তার উপর। এটা কার এসএমএস? এই এসএমএস কে করছে? কোথায় যাবি? কে তর নেতা? কার জন্য কাজ করিস বল? তখন নাজমুলের শুধু কান্নাটা বাকি ছিল। একের পর এক প্রশ্ন করছিল তাকে। সে কিছু বলার সুযগ পাচ্ছিলনা। স্যার পুরো এসএমএস টা পরেন

তারপর নিচে দেখল লেখা আছে, BY CR.

উনি অনেকটাই চুপসে গেলন। তারপর অনেক কথা শুনিয়ে, অনেকটা এমন ভাব নিল যেন আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন।

যদি একটি স্বাধীন দেশে এমনভাবে অপদস্ত হতে হয় সবার ভার্সিটির ID কার্ড দেখানোর পরও। ভয়ে আর হাঁটতেই পারছিলাম না। আমাদের চা খাওয়াই আর হলনা, অন্যদিকে সোহানের শ্বাস কষ্টটাও যাচ্ছিল বেড়ে।



(এই বাস্তব ঘটনাটি ঘটেছিল ডিবি পুলিশ ও আমাদের মধ্যে - মাসুদ, সোহান, মুরাদ, নাজমুল, জুনায়েদ)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

সুমন কর বলেছেন: চরম বিরক্তি এবং দুঃখজনক ব্যাপার!! আমরা কি স্বাধীন!! যাহোক, এই অস্থির সময়ে বেশী ঘুরাঘুরির দরকার নাই। ভাল লিখেছ।

মডুদের বলব, এই নিকটাকে জেনারেল করে দেয়া হোক।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

মাসুদ ০০৭ বলেছেন: আসলে স্যার ,আপনি উৎসাহ দেয়ার কারনে লিখসি স্যার, ধন্যবাদ স্যার

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

মাসুদ ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার , কাজ ছারা বাহিরে ঘুরাঘুরি করব না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.