নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশবাদী বা প্রকৃতিপ্রেমি হওয়ার দরকার নাই, বিবেকসম্পন্ন হই

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১



গতকাল খৈয়াছড়ায় গেছিলাম। খৈয়াছড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত। সম্ভবত মিরসরাই-সীতাকুণ্ড বেল্টে যতগুলা ঝর্ণা আছে তারমধ্যে সবচেয়ে সুন্দর (সুন্দরের ব্যাপারটা আপেক্ষিক) এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝর্ণার ১৩টা ধাপ (কেউ কেউ বলেন ১২টা, আমি তো গুইণা দেখলাম ১৬টা!)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ নাম্বার ধাপের উচ্চতা ২০০০ ফিটের উপরে। প্রথম ধাপ থেকে ১৩ নাম্বার ধাপে যেতে হলেও প্রায় ১৫০০ ফিট উঠা লাগে এবং দূরত্ব অনেক। কখনো সহজেই উঠা যায় আবার কখনো একদম খাড়া। গাছের শেকড় বাকড় ধরে অনেক ঝুঁকি নিয়া উঠা লাগে। বিশেষ করে প্রথম ধাপ থেকে দ্বিতীয় ধাপ এবং ১২ নাম্বার ধাপ থেকে ১৩ নাম্বার ধাপে যাওয়ার রাস্তা খুবই রিস্কি। এতটাই রিস্কি যে বেশিরভাগ প্রকৃতিপ্রেমি (!) প্রথম ধাপেই থাকেন। শতকরা তিরিশ জন উপরে উঠেন তার মধ্যে খুব অল্পই ১৩ নাম্বারের সৌন্দর্য দেখতে পারেন। প্রকৃতিপ্রেমের সাথে এইখানে বড় কলিজারও দরকার হয়।

যাই হোক, খৈয়াছড়ার রূপের বর্ণনা দেয়া আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য না। তবে এতগুলো ইনফরমেশন দিয়ে ভূমিকা দেয়ার কারণ আছে। ১২ নাম্বার ধাপ থেকে ১৩ নাম্বারে উঠতেছিলাম। উপরের ছবিটা ১২ নাম্বারের ধাপ থেকে তোলা। ভেবে দেখেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফিট উপরেও প্রকৃতিপ্রেমিদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বোতলের ছড়াছড়ি। এইরকম কয়েক হাজার ছবি দেয়া যাবে। মেনে নিলাম, ১ম ধাপে মানুষ বেশি যায় তাই ঐখানে গবেটের সংখ্যা বেশি। এত কষ্ট করে যারা এত উপরে উঠেন, তারা তো আসলেই প্রকৃতিরে ভালোবাসেন বলেই এতটা কষ্ট করেন। এত উপরে উইঠা প্রকৃতির বারোটা বাজানোর তো কোন দরকার নাই। এতটুকু বিবেক তো আমাদের থাকা উচিৎ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




ব্লগারেরা সচেতন মানুষ, আপনি বরং ওখানে ২/১টা সাইনবোর্ড দেন পারলে।

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আপনি কি বাঙালী? তাইলে তো জানার কথা বাঙালীরা “এখানে প্রশ্রাব করিবেন না, করিলে জরিমানা হবে” -এই সাইনবোর্ডের সামনেই বেশি মুতে। আর যার বিবেক আছে সে কোনদিন রাস্তায় মুতবে না, তার জন্য তো সাইনবোর্ড লাগে না। আপনি সাইনবোর্ডের কথা ক্যান কইলেন সেইটাই ভাবতাছি।

২| ১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই মিনিমাম সিভিক সেন্সটুকু নেই!!!!!!!!!!!!

দু:খজনক।

বিবেক জাগ্রত হোক। এই কামনা।

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আসলেই দু:খজনক।

৩| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বছর কয় আগে গিয়েছিলাম।
আমাদের এসাথে এক কাপলের ঐদিন বিবাহ বার্ষিকি ছিলো। আমরা সাথে করে কেকটেক নিয়ে গিয়েছিলাম। ফেরার সময় সমস্ত উচ্ছিষ্ট আমরা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম।
দেশের অন্ততো ১০/১২ টা ঝর্ণা আমি দেখেছি। সবকটিতেই এই অবস্থা।

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: জলদস্যু ভাই, সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপের মাঝখানে যে কেয়াবন আছে, যেটা দিনের একটা সময় পানির নিচেই থাকে, সেখানেও এই অবস্থা দেখে আসছি।

৪| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের পাশে হলেও তেমন যাওয়া হয়নি। তবে দূরের লোকজন অনেক আসে, সৌন্দর্য তবে ঝুঁকিপূর্ণ I

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: নেওয়াজ ভাই, কী কইলেন এইটা? এখনো যান নাই! ঘুরে আসেন। সুন্দর জায়গা।

৫| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা এই সমস্ত কাজ গুলো করে তাদের কান ধরে থাপড়ানো দরকার।

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: রাজীব ভাই, হাত ব্যাথা হয়ে যাবে, হাতে ফোসকা পড়বে কিন্তু থাপড়াইয়া শেষ করতে পারবেন না।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের সচেতনার অভাব। পরিবেশ রক্ষা বিষযে জ্ঞানের ঘাটতি অনেক্ । আপনি চোখে আঙুল দেখি দিলেন। প্লাস্টিক পরিবেশ বিপন্ন করে ফেলছে।


ব্লগে সুস্বাগতম। আপনার মতো সচেতন ব্লগারই আমরা চাই ব্লগে আমাদের মিলনাতয়নে।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সেলিম ভাই ভালোবাসা নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.