![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।
আমার টাইমফুল গাছে আজ প্রথম ফুল ফুটেছে। টাইমফুল গাছে ফুল ফোটানো কোন বড় ঘটনা না। কোন সাধনার বিষয়ও না। তবুও আমার কাছে বড়ই আনন্দের। আমি যার পর নাই এক্সাইটেড। ছবি তুলে বউরে পাঠাইলাম সকালে। ও ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে ছবি আপলোড দিছে। ক্যাপশন দিছে, “আইলোরে নয়া দামান...।” আমার বাসায় কোন ব্যালকনি নাই। ছাদে গাছ লাগাইতে চাইছিলাম, বাসার সামনেই ছাদ- আমার চিলেকোঠার বাসা। কিন্তু বাড়িওয়ালা ছাদে গাছ লাগানোর পারমিশন দেয় নাই। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম ঘরের জানালার শিকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল ঝুলায়া ঘরের ভিতরেই গাছ লাগামু। লাগায়া দিছি। এখন সেই গাছে ফুলও ফুটছে। এক্সাইটেড হবো না! আরো গাছ লাগাবো। পুরা জানালায় একটা ভার্টিকেল গার্ডেন করবো ভাবতেছি। প্রথমে ভাবছিলাম ধইন্যা পাতা আর পুদিনা পাতার গাছ লাগামু। আম্মারে দেখতাম ঘরের বারান্দায় লাগাইতো। আর লাগাইতো পুঁইশাক। আমার মধ্যবিত্ত আম্মা যেদিন তার বাগানের ফসল তুলতেন আর সেই পুঁইশাক, যদিও পরিমানে অল্প, রান্না করে আমাদের পাতে দিয়া বলতেন, “আমার গাছের পুঁইশাক,” তার যেই ফিলিংটা হইতো, আমার এখন ঠিক এমন টাইপের গর্ব লাগতাছে। তবে এখন আর ধইন্যা পাতার গাছ লাগাইতে মন চাচ্ছে না। আমার চার ফিট বাই চার ফিটের জানালায় আর কী লাগানো যায়? একটা গোলাপের চারা আনবো ভাবতেছি। গতকাল আপেল খেয়ে বিচিগুলা ভিজা টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে রাখছি। ইউটিউবে দেখছি এইভাবে নাকি আপেলের বীজ থেকে চারা বের করা যায়। যদি চারা বের হয় তাইলে আপেলের একটা বনসাই করা যায় (গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল)।
টাইমফুল গাছের একটা ব্যাপার আছে। আগেও জানতাম ব্যাপারটা কিন্তু এখন চোখের সামনে থাকায় বিষয়টা ভাবাচ্ছে। গাছের একটা ডাল ভেঙে লাগায়া দিলে সেটাও আবার একটা নতুন গাছ। কিছুক্ষণ আগেও যেটা আমার অস্তিত্বের অংশ ছিলো, সেটা এখন আলাদা অস্তিত্ব। প্রাণটা দুইভাগ হয়ে গেলো। চাইলে চার ভাগ, পাঁচভাগ করা যাচ্ছে। মানুষের বেলায় এমন হইলে কেমন হইতো। আমার একটা হাত কেটে ফেলে দিলাম, সেখান থেকে নতুন একটা মানুষ। কিন্তু আমার হাতের কী হবে? আমার তো আর হাত থাকবে না। আমি তো এইটা দিয়াই দিছি। এক্সিডেন্টে মানুষের হাত-পা-মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেখান থেকে আরো আরো মানুষ। আরো একটা সমস্যা হইতো। আমরা হাগুমুতু করলে বা নখ কাটলে সেখান থেকেও তো নতুন মানুষ জন্মাইতো। ব্যাপারটা ভয়ংকর হইয়া যাইতো। বার্থ কন্ট্রোল বলে কোন বিষয়ই থাকতো না। এই বিষয়ে আর আগে না বাড়লেই ভালো হবে। টাইমফুল গাছ মিনারেল ওয়াটারের বোতলে থাক, আমি আমার জায়গায় থাকি।
২২ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০৮
মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ, খায়রুল ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০৬
জটিল ভাই বলেছেন: মাটির গাছে ফুল ধইরাছে,
ফুর যে বড়ো সোহাগী....
২২ শে মে, ২০২১ রাত ১০:১২
মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মাটির গাছের ফুল তো সোহাগীই হবে। তাই না।
৩| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: টাইমফুল!!!! বাহ কি সুন্দর নাম!!!!
২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪০
মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: হ্যাঁ,আসলেই খুব সুন্দর নাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের কয়েকটি লাইন বাদে বাকি লেখাটা উপভোগ্য হয়েছে, অন্ততঃ আমার কাছে তাই মনে হলো।