নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখর মূর্খতা থেকে দূরে থাকি

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:২২



খায়রুল আহসান ভাই আমার সর্বশেষ লেখাটিতে একটি মন্তব্য করেছিলেন: “শেষের কয়েকটি লাইন বাদে বাকি লেখাটা উপভোগ্য হয়েছে।” মন্তব্যটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এর কারণটা পরে বলবো। একজন লেখক হিসেবে আমার প্রতিটি লেখাই আমার কাছে মূল্যবান এবং আমি মনে করি প্রতিটা লেখাতেই আমি আমার বেস্ট এফোর্টটা দেই। তাই বলে আমি এটা কখনোই মনে করি না যে, আমার লেখা সমালোচনার উর্ধ্বে, এটা এত উপরের লেখা যে, এটা নিয়ে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারবে না, এটাকে সবার ভালো বলতে হবে, খারাপ তো বলাই যাবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজের কাজের উপর সমালোচনা ‘শুনতে’ পারি, সমালোচকের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে। আমার লেখালিখি, ফিল্ম বানানো, নাটকের নির্দেশনা এই সব কাজে যদি বিন্দুমাত্র কিছু অর্জন থেকে থাকে তবে চুপচাপ সমালোচনা ‘শোনা’র একটি অবদান আছে। সমালোচনা গ্রহণ বা বর্জন সেটা আমার বা যে কোন ¯্রষ্টার নিজস্ব ব্যাপার, সশ্রদ্ধে সমালোচনা শোনার সামর্থ সব সৃজনশীল মানুষের থাকা উচিৎ।
এবার আসি খাইরুল ভাইয়ের মন্তব্যে। আমার লেখার শেষের লাইনগুলো তার ভালো লাগেনি, এটা জেনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। তার মন্তব্য আমার কাছে ভালো লেগেছে তার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের কারণে। আমার মনে হয়, ব্লগে যারা মন্তব্য করেন তাদের খাইরুল ভাইয়ের কাছ থেকে শিখার আছে। দ্বিতীয় অংশে তিনি লিখেছেন, “অন্তত: আমার কাছে তাই মনে হলো।” এই কথার মাধ্যমে তিনি এটা যে একান্ত তার ব্যক্তিগত মতামত এবং লেখকের বা অন্য কোন পাঠকের দ্বিমত থাকাই স্বাভাবিক- তার স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। একজন মানুষের মতামত প্রদানের ধরণ থেকে তার বোধবুদ্ধি ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ব্লগে আমার বয়স বয়স মাত্র ১৫ দিন। তবে আমার প্রথম বই (একমাত্র প্রকাশিত বই) প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬-তে। আমার সম্পাদিত প্রথম লিটল ম্যাগ প্রকাশিত হয়েছে তারও অনেক আগে। লেখালিখিটা চললেও জীবিকার তাগিদে এখন এসব থেকে দূরে। আমার এক বন্ধুর বুদ্ধিতে ব্লগে আসা। লেখালিখিটাও কন্টিনিউ হলো, পাশাপাশি লেখা মানুষকে পড়ানোও গেল। এই ১৫ দিনে আমি শুধু খাইরুল ভাইয়ের মতো পাঠকই পাইনি। কিছু পাঠক (ব্লগার) পেয়েছি, যারা সৃজনশীল সমালোচনা করাতো দূরে থাক, কেবল খোঁচা মারতে পটু। কোন কারণ ছাড়া খোঁচা মারেন এনারা। আগেই বলেছি, সমালোচনা আমি শ্রদ্ধার সাথে শুনি বা গ্রহণ করি, যতটা বিনয়ের সাথে আমি সমালোচনা গ্রহণ করি, ততটা দুর্বিনিত ভাবেই আমি খোঁচার জবাব দিতে পারি। সমস্যা হলো এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। গত দুই-তিন দিন পুরো ব্লগজুড়ে এমনই একটা পরিস্থিতি গেছে। তবে বুঝতে পেরেছি ঘটনা ব্লগে আমার জন্মের আগে থেকেই শুরু। যাই হোক, যে বা যারা খোঁচা মেরেছেন, তাদের খোঁচা এত বেশি মাত্রায় ভোঁতা, এর মধ্যে আমি বুদ্ধির কোন ছাপ পাইনি, গোঁড়ামি ছাড়া। গোঁড়ামির সাথে বুদ্ধিবৃত্তির কোন সম্পর্কই নেই। একজন মানুষের খোঁচানোর ধরণ থেকেও তার ব্যক্তিত্ব ও বোধবুদ্ধির দৌড় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এদের খোঁচা মারার ধরণ দেখে এদেরকে আমার সক্রেটিসের ভাষায় চতুর্থ স্তরের জ্ঞানী মনে হয়েছে, ‘এরা জানে না যে, এরা জানে না।’ এই ধরনের জ্ঞানী আপনি আপনার চারপাশে অনেক পাবেন, আমি এদেরকে মূখর মূর্খ বলে ডাকি। কারণ এরা নিজেদের মূর্খতা নিয়ে এত বেশি আত্মবিশ্বাসী যে, যত্রতত্র তার প্রচারে অতি মাত্রায় মূখর হয়ে থাকে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে ধন্যবাদ, কারণ আমি জানি যে, আমি জানি না।
একটা লেখার সাথে আপনার মতামতের মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক, এখানে কারোর উপরই ওহী নাজিল হয় না। সুতরাং মতভেদ থাকবেই। আপনি কেন একমত না সেটা ‘যৌক্তিকভাবে’ জানানোর অধিকার আপনার আছে। এটাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার। কোন যুক্তি তর্কের ধার না ধরে আপনি যদি ভোঁতা ছুরি দিয়ে কেবল খোঁচাখুঁচিই করে যান, তাহলে এটা হয় স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকারের অপব্যবহার। তখন বুঝা গেলো এই অধিকার ধারণ করার যোগ্যতাই আপনি রাখেন না। স্বাধীনতার সম্মান রক্ষা করতে না পারলে সেটা তো হরণ হবেই।
ব্লগে আমার বয়স মাত্র ১৫ দিন। ছোট মুখে একটা বড় কথা বলি- “মূখর মূর্খ হয়েন না। অন্তত সাবালক হোন।”

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খায়রুল আহসান একজন নিরপেক্ষ ব্লগার। তাঁর মন্তব্য গুলো বাস্তব। উনি তাঁর লেখা এবং মন্তব্যে ভান করেন না।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: পৃথিবীতে কেউ নিরপেক্ষ না, সবারই নিজের একটা পক্ষ আছে। কথা হলো অপরপক্ষকে আপনি কিভাবে ট্রিট করছেন। খায়রুল ভাইয়ের ট্রিটমেন্ট সুন্দর।

২| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপনা ও সশক্তি লিখনীর জন্য আন্তরিক ভালবাসা রইলো। লিখার মাধ্যমে শুধু লিখার ক্ষমতা নয়, শিক্ষা, জ্ঞাণ, ব্যক্তিত্ব, পরিবারসহ আরো অনেককিছুরই প্রকাশ ঘটে থাকে। কিন্তু অনেকেই সাক্ষর আর শিক্ষিতের পার্থক্য করতে জানেনা। তাদের মন্তব্যে অনেক নতুন ও প্রতিভাবান ব্লগারদের কষ্ট পাওয়াটা ভীষণ কষ্ট লাগে। এসবে কষ্ট পাবেননা কথাটা বলতেও লজ্জা হয়। তারপরও চাই নতুন ফুলে ভরে উঠুক বাগান।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:০৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: জটিল ভাই, আমার লেখাটা পইড়া কি আপনার মনে হইছে আমি কষ্ট পাইয়া এইটা লিখছি? মন্তব্য ভালো হোক, মন্দ হোক কিংবা খোঁচা হোক, আমি তিন মাধ্যমই উপভোগ করি।

৩| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৮

জটিল ভাই বলেছেন:
লেখকের মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে বুঝার মত পাঠক আমি নই। আমি খোঁচা মারা শব্দটাকে ভিত্তি করে কথাটা বলেছি ভাই। আপনার ঐ লিখা আমিও পড়েছি। সেখানে খায়রুল ভাইয়ের মন্তব্যটা অবশ্যই শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং পরামর্শধর্মী।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:২৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: খোঁচা একটি ভালো জিনিস। নয়তো আমার পেট থেকে এই লেখা বের হতো না। কী বলেন!

৪| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ২:২৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। ভাল থাকবেন।

৫| ২৫ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মতামতকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
ব্লগের নোংরা ধারার সব মত/পদ/ধর্মের উর্দ্ধে থেকে আপনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্লগিং করবেন এই আশাবাদ ব্যাক্ত করছি
বেশী বেশী লিখুন ও মন্তব্য করুন। সামুর সাথে থাকুন।

২৫ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: তপন ভাই, ধন্যবাদ। লেখাটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো অবশ্যই। সামুর সাথে আছি। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.