নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথাটা কি আসলেই এত বড় ছিল?

২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬



বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত আমাদের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাইতে গিয়া কইছেন “এটা অগ্রহণযোগ্য।” এটা শোনার পর আমি খুব বিরক্ত হইছি। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের উপরে না, আমার মেজাজ খারাপ হইছে যেই সাংবাদিক রিপোর্টটা করছে তার উপরে আর সেই সব একচোখা মানুষগুলার উপরে যারা এই রিপোর্ট দেখার পর মনে মনে “পাইছিরে” কইয়া ফিলিস্তিন আর ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উপরে ঝাঁপায়া পড়ছেন।
বিরক্ত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত অ-রাষ্ট্রদূতসূলভ কোন কথাই বলেন নাই। তিনি একটা ভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যে ভাষায় কথা বলা উচিৎ সে ভাষাতেই বলেছেন। তিনি যদি ভুল কিছু বলতেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মানুষজন আঙুল চুষেন না যে, দুইদিনেও এর শক্ত প্রতিবাদ করবেন না। ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের কোন ঠেকাও নাই, আর ফিলিস্তিনরে আমাদের ডরানোরও কিছু নাই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধুমাত্র বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের মতামত অপ্রাসঙ্গিক। তাইলে সমস্যাটা কই হইলো?
একটা কথা আছে আপনার নিয়ত আপনার বুঝ ব্যবস্থা নির্ধারন করে। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত তো বাংলা জানে না, তবে তিনি একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার ভালই জানেন। সমস্যা হইলো যেই সাংবাদিক নিউজটা করছে, তার ইংরেজিতে বিদ্যার দৌড় বেশি না। আর তিনি ইংরেজি জানলেও তার অনুবাদ একটু ঘুরায়া করলে নিউজটা ভালো হয়। একই কথা যারা এই খবরে লাফায়া উইঠা ফিলিস্তিনরে ধুইতে শুরু করছেন তাদের বেলায়ও প্রযোজ্য। তারা শুধুমাত্র রিপোর্টটা শুনছেন। বাংলায়। তাদের বেলায়ও প্রবলেম হইলো তাদের নিয়ত। তাদের নিয়তের গ-গোলের কারণে তারা একটু যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজনও অনুভব করেন নাই। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের পিছে আঙুল দিতে শুরু করলেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত পরিষ্কার ইংরেজিতে কইছেন," It cannot be acceptable for us.” যার বাংলা হইলো, “এইটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না।” খুব সুন্দর কূটনৈতিক ভাষা। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া এইটারে বানাইছে, “এটা অগ্রহণযোগ্য,” ইংরেজি করলে যা দাঁড়ায়, “It is not acceptable,” যা তিনি কখনো বলেনই নাই। বাক্য দুইটা আপাত এক মনে হলেও এতে ভাবগত বিশাল ফারাক আছে। যারা অনুবাদের সাথে যুক্ত বা লেখালিখি করেন তারা ব্যাপারটা বুঝবেন।
আচ্ছা সাংবাদিক নাইলে ইংরেজি জানে না তাই এমনটা করছে, কিন্তু যারা এইটা নিয়া হাউকাউ করতাছে তারাও কি ইংরেজি জানে না? সমস্যা হইলো আমাদের নিয়তে। বাংলাদেশের মিডিয়া সংবাদটা ভালভাবে বেচার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের ভাষাটারে একটু পরিবর্তন কইরা দিছে। আর পিছে আঙুল দেয়ার স্বভাব যেই মানুষগুলার তারা কোন বিচার বিবেচনার তোয়াক্কা না কইরা বেকুবের মতো ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতরে ধুয়ে দেয়ার চান্সটা মিস করতে চায় নাই। এইসব বিষয়ে ডিল করার আগে আমাদের বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিটা শিখতে হবে আর নিজেদের একদেশদর্শী মনোভাব পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি মানুষের ভাষা বুঝার ও উপলব্ধি করার সামর্থ অর্জন করতে হবে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: সে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অগ্রহনযোগ্য শব্দটা ব্যবহার করেছে । কিন্তু একই সাথে সে উল্লেখ করেছে যে “বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ, এটাকে আমরা সম্মান করি। সার্বভৌম দেশ হিসাবে হিসাবে যে কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নিতে পারে।”

খন্ডিত বক্তব্য নিয়ে শিরোণাম করা আমাদের মিডিয়ার একটি বাজে অভ্যাস।

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: অদ্ভূত ভাই, মিডিয়া খণ্ডিত বক্তব্য নিয়া শিরোনাম করে আর আমরা এইটা নিয়া লাফাই।

২| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঢাকা ট্রিবিউনে উনার বক্তব্য সরাসরি কোট করা হয়েছে, তিনি তার দৃষ্টি থেকে যা বলেছেন তাতে ভুল বা সমস্যাযুক্ত তেমন কিছু আমার চোখে পড়েনি।

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমারও ভুল কিছু চোখে পড়ে নাই। মন্তব্যের জন্য ধন্য ধন্যবাদ ইফতেখার ভাই।

৩| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

ইনদোজ বলেছেন: উনি যদি পরিষ্কার ভাষায় বলতেন "সরকার যা করেছে, মোটেও ঠিক করেনাই" তাইলেই বা কি সমস্যা ছিল? ইন্ডিয়ান কূটনীতিকেরা বিভিন্ন সময়েই অনেক কড়া কড়া কথা বলছে - কই তখন তো কারো মুখে রা ছিলনা!

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ইনদোজ ভাই, তখন মুখে রা করলে তো চাকরি থাকবে না। এইডা তো ফিলিস্তিন...

৪| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আমাদের সরকার যা করছে এইটা যেমন ঠিক আছে তেমনি উনি যেটা বলেছে সেটাও ঠিক।

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সিপাহী ভাই, জিন্দাবাদ।

৫| ২৬ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২০

অপু তানভীর বলেছেন: সঙবাদিক আসলে সঙ ছাড়া কী করতে পারে ? এদের এমন ভাষা ব্যবহার করতে হয় যাতে পাব্লিক সেটা পড়ে খায় । এদেশের সঙবাদিকেরা সব এমনই । এদের নিয়ে হাতাশা প্রকাশ করে আর কী লাভ !

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সংবাদ বানানোটা সাংবাদিকের চাকরি, সে সংবাদ বানায়া খায়। আমার আপনার বিবেকবোধ ও বিবেচনা হাঁটুর নিচে ক্যান?

৬| ২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইটা কথার পার্থক্যটা আপনার লেখায় পরিষ্কার করলে ভালো হত।

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত Disagree করেছেন আর মিডিয়া বানাইছে উনি Reject করেছেন। পার্থক্যটা অনেকটা এমন।

৭| ২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের সাংবাদিক সমাজ নিয়ে বলার মতো তেমন কিছু নাই। বর্তমানে কুশিক্ষা আর হলুদের গুড়া, এই দু'টার সংমিশ্রণে সাংবাদিকদের মান নিয়ন্ত্রিত হয়।

আর আমাদের সমাজে কিছু ছাগল আছে, যারা যে কোনও খবর নিজের মতো করে বোঝে; তারপরে তার সাথে কাঠালপাতার ফ্লেভার মিশায়ে চাবাইতে থাকে। এই চাবানো-ক্রিয়ার পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় যাহা নির্গত হয়, সেটাই তাদের আউট-পুট। এর মধ্যে অনেকে আবার নিজের মনের মাধুরীও মেশায়। এদেরকে ইগনোর করতে পারলে ভালো, যদিও সকল সময়ে সেটা সম্ভব হয় না। ;)

২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: কাঁঠাল গাছ আর পাতার স্বার্থে এদেরকে ইগনোর করা উচিৎ হবে না। নয়তো একদিন পৃথিবী থেকে কাঁঠাল গাচ আর কাঁঠাল পাতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন আমরা কাঁঠাল খাবো কী করে।

৮| ২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেইজন্যই তো আমি নিউইয়র্কে কাঠাল চাষ চালু এবং সমপ্রসারনের লক্ষ্যে গবেষণা করছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই কামিয়াব হবো। ওইখান থেকে পুরা আম্রিকাতে কাঠালের আবাদ শুরু করা হবে। দোয়া রাইখেন। B-)

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: দোয়া রইলো। আগাইয়া যান।

৯| ২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেইজন্যই তো আমি নিউইয়র্কে কাঠাল চাষ চালু এবং সমপ্রসারনের লক্ষ্যে গবেষণা করছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই কামিয়াব হবো। ওইখান থেকে পুরা আম্রিকাতে কাঠালের আবাদ শুরু করা হবে। দোয়া রাইখেন।


তাইলে নিউইয়র্কে বিটিভির একজন সাংবাদিক থাকার জন্য একটা হোটেলে বুকিং রাখবেন, নিউজ করতে হবেতো- নিউই্য়র্কে কাঠালের বাম্পার ফলন....

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মফিজ ভাই, আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।

১০| ২৭ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যারা সরকারকে ভালোবাসে তারা খুশি আর খুশি :D

২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:২৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমরাও সরকারকে ভালোবাসি।

১১| ২৭ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত তার অবস্থান থেকে যেটা বলেছেন সেটা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন ঠিক আছে পররাষ্ট্রমন্তীর বক্তব্যও বাংলাদেশের অবস্থান থেকে সঠিক আছে। যে যার নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখবে এটাই স্বাভাবিক - সেটা যেই দেশই হোক না কেন। কাতার ও সৌদি উভয়েই মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও নিজের স্বার্থ বলি দিয়ে কোনো প্রকার ছাড় দেবে না কেউ কারো জন্য। একই কথা প্রযোজ্য তুরস্কের সাথে সিরিয়ার ক্ষেত্রেও।

বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে এই দেশে অনেকেই 'বাংলাদেশের দালাল' হওয়ার চাইতে অন্যদেশের দালালিতে অনেকেই বেশি আগ্রহী। এদেশের কেহ কেহ ভারতপন্থী, কেহ পাকি, কেহ সৌদি আবার কেউ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো নিজের দেশের চাইতে অন্য কোনো দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে লম্ফোঝমফ করে। বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে অন্য কোন দেশের নাগরিককে এরকম লম্ফোঝমফ করতে দেখেছেন কখনো ? তুরস্কের, ভারতের বা সৌদি আরবের কাউকে দেখেছেন কখনো বাংলাদেশে বিপুল রোহিঙ্গা শরণার্থী সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ব্লগ বা মিডিয়া কাঁপিয়ে ফেলতে ?

২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:২৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: যথার্থ কহিয়াছেন স্বামীজী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.