নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্য ও যৌনতা: সামুর গরম মাঠে একটু কেরাসিন

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৩



স্টুডেন্ট লাইফে বন্ধুদের আড্ডায় একটাও বাজে শব্দ উচ্চারণ না করে সবচেয়ে অশালীন কথা কইতাম। এক পর্যায়ে কেউ কেউ কানে আঙুল দিয়া রাখতো। আমি কিন্তু সত্যিই কোন কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন শব্দ উচ্চারণ করতাম না। এই ব্যাপারে এখনো আমি কাবিল। আমার বন্ধুমহল এই বিষয়টা অবগত। এই প্রসঙ্গটা কেন টানলাম সেইটা একটু পরে ব্যাখ্যা করতেছি। সামুতে সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য, যৌনতা ও অশালীনতা বিষয়ক বিতর্ক তৈরী হইছে। ব্যাপারটা ভালই, মাঠ গরম থাকলে ভালো লাগে । মনে হইলো কিছু কথা কইতে পারি। আগেই বইলা রাখি কারো সাথেই আমার এইখানে শত্রুতা বা ইগো জাতীয় সম্পর্ক নাই, এটা এসব করার জায়গাও না। তবে অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকবে, এইটাই স্বাভাবিক। এই লেখায় আমি আমার দ্বিমতগুলা প্রকাশ করবো, মতামত প্রদানকারীর নাম উল্লেখপূর্বক, তার প্রতি শ্রদ্ধা রাইখাই। আকারে ইঙ্গিতে কথা কইতে আমার ভালো লাগে না।

জনাব ইফতেখার ভূঁইয়া ভাই চাঁদগাজী ভাইয়ের একটা লেখায় মতামত দিয়েছেন, “কুরুচিপূর্ণ এবং অশালীন শব্দসম্পন্ন লিখাগুলোকে রিপোর্ট করার অনুরোধ থাকছে।” বুঝাই যাচ্ছে ফড়িং অনুর ‘ব্রা’ আর জটিল ভাইয়ের ‘প্যান্টটি’ প্রসঙ্গে এসব বলা। চাঁদগাজী ভাইও সেদিকে ইঙ্গিত করেই তার লেখাটা লিখছেন। ফড়িং অনুর ‘ব্রা’ কবিতাটি পড়লাম, জটিল ভাইয়ের ‘প্যান্টটি’ যেকোন কারণে সরায়া ফেলা হইছে, তাই পড়তে পারিনি। সেটা পাইলে আলোচনাটা করতে সুবিধা হইতো। লেখা সরায়া নেয়ার বিষয়টা আমার পছন্দ না। লেখা সরায়া নেয়াটা অনেকটা নিজের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার মতো ব্যাপার। তবে এইটাও কইয়া রাখি, এদের দুইজনের লেখাকে লিগেসি দিতে আমি এখানে আসি নাই। কিন্তু এই বিতর্কে আমার একটা অবস্থান আছে, সেইটা নিয়াই বলবো। এখন প্রশ্ন হইতাছে একটা শব্দ বা বাক্য শ্লীল নাকি অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ নাকি সুরুচিপূর্ণ সেইটা কিভাবে নির্ধারিত হবে? অভিধানে শব্দটার যে অর্থ আছে তার বিচারে নাকি কোন পরিপ্রেক্ষিতে শব্দটা ব্যবহার করা হইলো তার বিচারে? ব্যাপারটা বুঝানোর জন্য আমি কিছু উদাহরণ দিতাছি।
ছবির লিংক
হুমায়ুন আহমেদের (কাউকে কাউকে দেখি কালিদাসের সাথে হুমায়ুনরে তুলনা দিয়া হুমায়ুনকে তুচ্ছ করেন। হুমায়ুন অন্য জিনিস, কালিদাস সেখানে পৌঁছাইতে পারবে না। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে লিখার ইচ্ছা আছে) একটা অনবদ্য সৃষ্টি ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। উপন্যাসের এক জায়গায় কোন একটা চরিত্র আরেকটা চরিত্ররে একটা শিলুক (ধাঁধাঁ) জিগাইতাছে-
“চামড়ার বন্দুক বাতাসের গুল্লি-বলেনতো এইটা কী?
জানি না, কী এইটা?
এইটা হইল গিয়া "পাদ"। পাদের শব্দ হইল গুলি,আর চামড়ার বন্দুক হইল "পুটকি"।”

হালের আরেকজন গল্পকার হিমেল হাসান বৈরাগি। তার ‘একজন গল্পকার ও কয়েকটি চরিত্র’ নামের একটা গল্পের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করতেছি-
“কিতাব আলী বিড়িতে আগুন ধরিয়ে লম্বা টান দেয়। মাথা এবং পাছা ভয়ংকর গরম, অথচ পুরো শরীর বরফের মতো ঠান্ডা। মাথা গরম লোক যা ইচ্ছা তাই করে ফেলতে পারে। পাছা গরম লোকদের কিছুই করার থাকেনা, শুধু ঘন ঘন পাদ মারে। কিতাব আলী এই মুহূর্তে ঘন ঘন পাদ মারছে আর বিরক্ত হচ্ছে। বিরক্ত হবার কারণ হলো তার পাদে কোন গন্ধ নাই, শব্দ নাই।” গল্পের লিংক

আপনি কি এইখানে কুরুচিপূর্ণ বা অশ্লীল কিছু পাইতেছেন? আমি আসলেই পাইতেছি না। আপনি যখন পুরা গল্পটা বা উপন্যাসটা পড়বেন, আপনার কাছে স্বাভাবিকই মনে হবে। এইবার অন্য উদাহরণে যাই। আমি কিছুদিন টিকটকে ভিডিও দেখছিলাম। আসলে ভিডিও না, ভিডিওর চাইতে আমার কমেন্টগুলা পড়তে ভালো লাগতো। এই রকম কমেন্ট পড়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কয়েকটা কমেন্টের কথা কই। স্বাস্থ্যবান একটা মেয়ে (আমি কিন্তু কোন অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করি নাই) মোটামুটি খোলামেলা একটা ভিডিও দিছে। তো সেই ভিডিওর নিচে একজন কমেন্ট করছে, “যারা লিজেন্ড তাদের চোখ বিশেষ একটা জায়গায় আটকে আছে।” আরেকজনের কমেন্ট, “পাহাড় দু’টিতে চড়তে চাওয়া আমার নিষ্পাপ মন।” ভালো মেটাফর। আরেকজন আরো এক কাঠি সরস। ঐ কমেন্টটি পড়ে আমি অভিভূত, সে ঐ ভিডিওতে কমেন্ট করছে, “তোমার ফ্রিজে আমার শসাটা রাখতে দিবা?” আপনি কি এইখানে সুরুচিপূর্ণ বা শ্লীল কিছু পাইতেছেন, কন দেখি? এই তিনটা কমেন্টে তো একটাও অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ নাই, কিন্তু কী ভয়াবহ অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত তারা বহন করতাছে।

প্রতিটা শব্দেরই অর্থ আছে কিন্তু তা ভাবনিরপেক্ষ যতক্ষণ না তাকে আপনি কোন কনটেক্সটে ফেলবেন। ব্যাপারটা অনেকটা আপনার ঘরের গ্লাসের মতো, মদ খাইলে মদের গ্লাস আর পানি খাইলে পানির গ্লাস। আমি যখন ‘চুৎমারানী’ বলি, তখন এইটা গালি হয় আর হেলাল হাফিজ যখন তার ‘যার যেখানে জায়গা’ কবিতায় ব্যবহার করেন, তখন তা প্রতিবাদের ভাষা হয়, উৎকৃষ্ট সাহিত্য হয়: “আমিও গ্রামের পোলা, চুৎমারানী গাইল দিতে জানি।” আপনি চাইলে হেলাল হাফিজকে রিপোর্ট মারতে পারেন বা আদি মধ্য যুগের কবির মতো গালি কবিতায় ব্যবহার করতে পারে নাই বইলা তারে রিজেক্ট কইরা দিতে পারেন।

এবার সামুতে অশ্লীল লেখা বনাম সাহিত্য নিয়া যে খুনসুটি চলছে তা নিয়া একটু কথা কই, বেয়াদবি লইয়েন না। পর্ন কন্টেন্ট আর লিটারেচারের ফারাকটা বুঝতে হইলে আপনারে রসময়গুপ্ত আর নির্মলেন্দু গুণের ফারাকটা বুঝা লাগবে। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই রসময়গুপ্তের লেখা পড়ছি। (আপনাদের কথা জানি না, তবে আমি আগ্রহ নিয়াই পড়ছিলাম।) ঐ ধরণের লেখার বিষয়বস্তু নিয়া বিস্তারিত যাইতে চাই না, আমার মতো যারা আছেন, তারা জানেন। বিষয়বস্তু সোজা কথায় যৌনতা। রসময়গুপ্তের কোন লেখা এখানে কোট করা যাবে না। এইটা সেই জায়গা না। ঐ ধরণের লেখাগুলার লেখক ও পাঠকের বিশেষ উদ্দেশ্য থাকতো, বিশেষ অনুভূতি জাগ্রত করা ও চরিতার্থ করা। কবি নির্মলেন্দু গুণেরও পুরা দুইখান কবিতার বই আছে, যার বিষয়বস্তুও নিরেট যৌনতা। ফড়িং অনু তার ব্রা কবিতায় তেমন কিছুই লেখেন নাই যা গুণ সাহেব তার কবিতায় নিয়ে আসছেন। নির্মলেন্দু গুণের একটা বইয়ের নাম ‘বাৎসায়ন’ আরেকটার নাম ‘কামকানন’ যেখানে তিনি শুধুমাত্র যৌনতা বিষয়ক কাব্যগুলারেই অন্তর্ভূক্ত করছেন। শুধু নির্মলেন্দু নন, বিশ্বের অনেক নামী-দামী সাহিত্যিক এই ধারায় বিচরণ কইরা গেছেন। ব্যাপার হইলো যেই বিশেষ অনুভূতি রসময়গুপ্ত জাগ্রত করতেন, সেই অনুভূতি এনাদের সাহিত্য পড়লে জাগ্রত হয় না, এটা তাদের উদ্দেশ্যও না। আসেন এই উসিলায় নির্মলেন্দুর এমন দুইখান কাব্য পাঠ করি-
১. বর্ষা ছিল পাকতে-শুরু ডাঁসা ভুবির স্তনে,
দিন-দুপুরে আঁধার করা যোগীশাসন বনে।
বর্ষা ছিল ধান-ডোবানো মাঠ-ভাসানো জলে,
সাঁতার কাঁটা বুনো হাঁসের কামার্ত দঙ্গলে।
তাদের কাছেই চিনেছিলাম তেপান্তরের মাঠ,
তারাই আমায় দিয়েছিল কামশাস্ত্রের পাঠ।
কামকলাতে এই যে আমার একটু বাহাদুরি,
বর্ষাবালার কাছ থেকে তা করেছিলাম চুরি।”

২. রান্নাঘর থেকে টেনে এনে স্তনগুচ্ছে চুমু খাও তাকে,
বাথরুমে ভেজানো দরোজা ঠেলে অনায়াসে ঢুকে যাও-
সে যেখানে নগ্ন দেহে স্নানার্থেই তৈরি হয়ে আছে
আলোকিত দুপুরের কাছে- মনে রেখো,
তোমার রাত্রি নেই, অন্ধকার বলে কিছু নেই।
বিবাহিত মানুষের কিছু নেই একমাত্র যত্রতত্র স্ত্রীশয্যা ছাড়া।’

দ্বিতীয় কবিতার নাম ‘স্ত্রী’। এখন এই দুই কবিতা পইড়া যদি আপনারে বাথরুমে দৌড়াইতে হয়, রসময় পড়লে আপনি মারাই যাইবেন। এখন আপনি যদি নির্মলেন্দু গুণরে কবি বইলা স্বীকার করতে না চান, যেভাবে চাঁদগাজী সাহেব কবি সৈয়দ শামসুল হককে স্ট্যান্টবাজ বলেছেন (এ বিষয়ে শীঘ্রই লিখবো) তাইলে তালগাছ নিয়া বিচারে বসার বোকামীর দায় আমাকে নিতেই হবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

এক্সপ্লানেশন বলো বা তোমার চিন্তা ভাবনা মত প্রকাশ যাই বলো তুমি খুব সুন্দরভাবেই করেছো। যার বুঝার বা জানার ইচ্ছা থাকবে পড়ে নিজের মত করেই জেনে বুঝে নেবে। ইচ্ছা হলে কমেন্ট করবে কি করবেনা বা কমেন্ট দিলে কি হবে ভেবে এড়িয়ে যাবে সেটাও যার যার ব্যপার। আমি নিজে এমন শিরোনাম বা পোস্ট হলে এড়িয়ে যাই। কেনো যাই আমাদের শ্বাসত চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারণা আমাদেরকে বিশেষ করে মেয়েদেরকে এটাই শিখিয়েছে। মেয়েরা থাকবে একটু নিজের সম্ভ্রম বা নিজের দায়িত্বে। মূল কথা আড়ালে লুকিয়ে।


কিন্তু সামুকে ট্যাগ দেওয়া বা কারো নিজের বা প্রিয় মানুষের ভুল কাজের বিরুদ্ধচারণ করায় অকারণে কোনো মানুষের উপর রাগ হলো তাকে ট্যাগ দিয়ে পক্ষান্তরে সামুকেই ট্যাগ লাগিয়ে যারা নিজেদের নেগাটিভ পাবলিসিটি করে যারা সেই সব মানুষের উপর মহা বিরক্ত আমি।

এটা মোটেও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত দিচ্ছেন মনে করি না আমি। এটা জাস্ট নেগেটিভ পাবলিসিটি। যা পাচ্ছি তাই নিয়ে আবোল তাবোল পন্ডিতি বুঝে হোক বা না বুঝে হোক লাগিয়ে দিলাম একটা গন্ডোগোল কারণ আমি একজন গন্ডোগোল প্রিয় মানুষ। এটা খুবই বিরক্তিকর এটিচিউড।

আই লাইক ইওর এক্সপ্লানেশন। এখন যাদের এই নিয়ে আরও মতামত দেবার মনে করবে তারা নিশ্চয়ই একটু ভাববে। কিন্তু সামুকে কোনোভাবেই বলা যাবেনা সামু বিজনেস নীতি পাল্টেছে বলে অশালীন কবিতা লেখকদেরকে প্রমোট করছে। যারা নিজে নেগেটিভ পাবলিসিটি করে তাদের মাথাতেই এসব আসে। ভীষন বিরক্ত হয়েছি আমি কালকে এই রকম মন্তব্যে।

আর আমি বলবো নেগেটিভ পাবলিসিটির মানুষগুলোকে চিনে তাদের জালে যারা আটকে পড়ে তাদের মাথাটা একটু খেলাতে।

অনেক অনেক ভালো থেকো ভাইয়া।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় শায়মা আপু, আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ। সরি, দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য। করোনার মধ্যেও দুইটা অন্ন জোগাড়ের ব্যবস্থা করতে হয়, বাচ্চা কাচ্চা পড়াইতে হয়, তাই সারাদিন সামুতে সময় দেয়া সম্ভব হয় না।
আপনার কথার সাথে আমি একমত। এই প্রজাতির অবস্থা হইলো ঐ মাওলানা সাহেবদের মতন যারা ফেসবুক ইহুদিদের জিনিস তাই ফেসবুক বর্জন করা উচিৎ- এই মর্মে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।

সব জায়গাতেই এই রকম গণ্ডগোল প্রিয় মানুষ পাইবেন। এরা হলো মূখর মূর্খ। এদের লেখার শুরু এবং শেষে কোন কনসিস্টেন্সি থাকে না। এরা ঘুরে ফিরে একই জিনিস চাবাইতে থাকে।

আমার এক্সপ্লেনেশন আপনার ভালো লাগছে জেনে আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত হইলাম। দোয়া করবেন, ভালো থাকবেন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার একটা ব্যাখ্যা ।

লেখা পড়ে আগে এটা বুঝতে হবে সেটা যৌন সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য লেখা কি না । যদি সুড়সুড়িই প্রধান লক্ষ্য হয় তাহলে তাহলে অশালীন শব্দের ব্যবহার না করেও লেখাকে অশালীন করা যায় ।
কিন্তু কারো কারো মতে লেখাতে কিছু শব্দের ব্যবহার মানেই হচ্ছে সেটা অশালীন । কনটেক্স দেখবে না, মেটাফোর দেখবে না কেন সেটা ব্যবহার করা হয়েছে, কী বোঝানো হয়েছে, সে সব কিছু না বুঝে কেবল শব্দ দেখেই সেটাকে নিজের বুদ্ধি দিয়ে অশালীন আক্ষা দিয়ে দিবে !

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: অপু ভাই, এদের সমস্যা হইলো এরা কনটেক্সট জিনিসটাই বুঝে না, আর মেটাফোর কি জিনিস, খায় না গায়ে মাখে তা বুঝার মতো বুদ্ধি ও সদিচ্ছা কোনটাই নাই এদের।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি যখন পুরা গল্পটা বা উপন্যাসটা পড়বেন, আপনার কাছে স্বাভাবিকই মনে হবে।
ভালো বলেছেন। বিশ্লেষণ যৌক্তিক হয়েছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: জলদস্যু ভাই, শুকরিয়া। ভালো লাগলো আপনার মতামত জেনে।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ সুন্দর করে বলেছেন- এ বিষয়ে আমারও কিছু বলার আছে।
ক্যাচাল থেকে যাক আগে :)

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: তপন ভাই, বৃষ্টি বাদলার দিনে খিচুড়ি খাইতে ভাল লাগে। বৃষ্টি গেলেগা খিচুড়ির মজা পাইমু না তো। বলে ফেলেন তাড়াতাড়ি।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো আলোচনা। কনটেক্সট না বুঝে কথা বললে, কিংবা বিষয়বস্তুর পারসপেক্টিভ না বুঝলে এসব সমস্যা হবেই। এগুলো কাটানোর জন্য বেশ কিছু জিনিস দরকার। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ভাবনার স্বচ্ছতা আর যথাযথ জ্ঞান।

আপনে কেরোসিন তো দিলেন, আমার লাইটারটা কি আগায়া দিমু? :P

@ শায়মাঃ আর আমি বলবো নেগেটিভ পাবলিসিটির মানুষগুলোকে চিনে তাদের জালে যারা আটকে পড়ে তাদের মাথাটা একটু খেলাতে। এসব বলে কোন লাভ নাই। এর জন্য চিন্তা-ভাবনার গভীরতা দরকার। শ্যালো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বেশী দুর আগানো যায় না। ঠিকমতো আর স্বাধীনভাবে ভাবতে পারলে কি আর জালে আটকা পড়তো? =p~

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: খুব সুন্দর কইছেন মফিজ ভাই, ভাবনার স্বচ্ছতা ও যথাযথ জ্ঞান। ভাবনার স্বচ্ছতার সাথে গভীরভাবে ভাববার সামর্থ থাকাটাও জরুরী।

লাইটার দেন না ভাই। জ্বালায়া দেখি।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

আমি রানা বলেছেন: খুব সুন্দর করেই সাহিত্যে শালীন ভাষার আন্দোলন কারীদের বুঝায় দিলেন।
শালীন ভাবে অশালীন কথা বলাও যে একটা আর্ট তা আমি জানতামনা। আপনি বুঝায় দিলেন।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: রানা ভাই, শালীন ভাষার আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের ধরন দেখে মনে হইতাছে এরা শিশু করার সময় ভুলে নিচের দিকে তাকায়া আস্তাগফেরুল্লাহ পড়তে পড়তে আবার উপরের দিকে তাকায়।

...এইটা অবশ্যই একটা আর্ট, আপনিও প্র্যাকটিস করতে পারেন। :P

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

স্প্যানকড বলেছেন: বিস্তারিত পড়ে ভালো লাগলো। খুব ভালো করে বিশ্লেষণ করেছেন। আসলে হয় কি কেউ আছে এই তালে কেমনে ঝগড়া ফ্যাসাদ করা যায়। হুদাই প্যাঁচাতে থাকে। আমার কথা আমি খোলাসা কইরা কইতে পারমু না। এ কেমন কথা? কেউ কেউ এখানে মাফিয়া তন্ত্র চালু করতে চায় বা নিজের দল ভারী করার উদ্দেশ্য নিয়ে বসে আছে। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ভাই স্প্যানকড, আপনার লেখা আপনি লেখবেন, আমারটা আমি। এইখানে দলাদলির কি আছে? খালি কলসি বাজে বেশি। কী করবেন। আমি নিজেও একটা খালি কলসি। এই লেখাটা লেখার পর আজ সকাল থেকে এইটাই মনে হইতাছে।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৩

কালো যাদুকর বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই , আপনার পর্যালোচনা ভাল লেগেছে।

আমি যেটা মনে করে সেটা হচ্ছে, যদি একটি বই লিখেন, বিষয় হল যেমন ধরেন "নগর পরিকল্পনা"। এরকম একটি বইয়ে একটি পরিকল্পিত নগরের ছবি আশা করা যা্য়। অন্তত আমি লেখক হলে , সেটাই করতাম।

এবার আসি ২ নম্বর পয়েন্টে। ও বইটি কিন্ত বাংলাবাজারের সকল প্রকাশনা প্রকাশ করবে না। কিছু একাডেমিক রিলেটেড প্রকাশকই কেবল প্রকাশ করবে।

যখন আমি প্রিয় সামু ব্লগে আসি, আমি আশা করি, যে কবিতা/ছবি/গল্প ইত্যাদি আমি দেখবো বা পড়বো, সেটা সামুর লেভেলে হবে। হয়ত সেটা সব সময় হয় না। আমরা সবাই চাইলে এই ব্যাপারটাতে সাহায্য করতেই পারি।

তবে এটাও ঠিক, সবারই মতামত প্রকাশ করার আধিকার আছে। মাঝে মাঝে কিছু পোষ্ট সামুতে দেখলে , আমি মনে মনে সেটাই ভাবি।

ধন্যবাদ।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় যাদুকর ভাই, ভালোবাসা জানবেন। মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা। বিনয়ের সাথে বলি, ‘সামুর লেভেল’ বিষয়টা বুঝে আসে নাই। আমার যেইটা মনে হয় ব্লগারদের লেভেলই ঠিক কইরা দিবে সামুর লেভেল কি হবে। ব্লগাররা যদি ভালো কোয়ালিটির লেখা দেন, হেলদি মতামত প্রদান করেন, তাইলে সামুর লেভেল উপরে উঠবে। সামু ইটসেলফ কোন লেভেল বা মানদণ্ড না, হইতে পারে না। সামু একটা প্লাটফরম।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৮

নতুন বলেছেন: লেখার উদ্দেশই ঠিক করে শব্দের ব্যবহার অশ্বালীন কিনা।

যেমন বাংলা ছবির নারী দেহের প্রদর্শনির চেয়ে হলিউডি ছবির সঙ্গমের উপস্হাপনাও সুন্দর।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: নতুন ভাই দারুন উদাহরণ দিছেন। থ্যাংকু।

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: গল্পের প্রয়োজনে মা্র্জিত ভাষায় যৌনতা আসতে পার কিন্তু আপনার এই লেখার সাথে ছবির কোন প্রাসংঙ্গিকতা খুঁজে পেলাম না।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আঠারো কামাল ভাই, আমার লেখার সাথে আপনি একমত না দ্বিমত, বুঝলাম না।
ছবির বিষয়ে আপনাকে কিছু ক্লু দেই, দেখি প্রাসংগিকতা পান কিনা। ছবিটা ভারতের সুর্য মন্দিরের দেয়ালের উপর উৎকীর্ণ টেরাকোটার ভাস্কর্য। পুরা সুর্য মন্দিরের দেয়াল জুড়ে আপনি এই ধরণের ইরোটিক অসংখ্য ভাস্কর্য দেখতে পাবেন, তবে এসব দেখার জন্য আপনাকে অনেক টাকা খরচ করে টিকেট কাটতে হবে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সপরিবারে এইসব ভাস্কর্য দেখতে যায়। আপনি যেই মার্জিত ভাষায় যৌনতার কথা বলেছেন, এখানে সেই মার্জিত ব্যাপারটা দেখতে পাবেন না। অনেকেই মনে করেন বাৎসায়নের কামসূত্রের সকল কলা এই সব টেরাকোটায় উৎকলন করা হয়েছে। অনেকেই সেখানে পূঁজা করতে যায়, আর কেউ যদি প্লেজার নিতে যায় সেটা তার ব্যাপার।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: ভারতের প্রায় সবগুলো মন্দির ৪০/৫০ বছর আগে দেখা।কিন্তু এটার সাথে আপনার লেখার সম্পর্ক কি।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:২৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আপনি কি এইগুলারে শিল্প কইবেন নাকি অশ্লীলতা কইবেন?

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমি শিল্প কি শিল্প না এই বিষয়ে কোন কথাই বলি নাই।আমার প্রশ্ন, আপনার লেখার সাথ এই ছবির সম্পর্ক কি?

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আরে ভাই আমার প্রশ্নটার উত্তর দেন না, আপনার প্রশ্নটার উত্তর আপনি নিজেই পাইয়া যাইবেন। প্রাসংগিকতা কী সেইটা আমার রিপ্লাইগুলা থেকে ইতোমধ্যেই আপনার বুইঝা ফেলার কথা। যথেষ্ট হিন্টস দিছি তো। এবার পাঠক যদি বুঝদার হয়, বুঝে নিবে। আমি প্রশ্ন যেটা করছি সেটার উত্তর চিন্তা করেন, আপনি কি এইগুলারে শিল্প বলবেন নাকি অশ্লীলতা বলবেন- আমার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিকতা এইখানেই। আমাকেও বুঝতে হবে আমার পাঠক হামাগূড়ি দেয়, হাঁটে না দৌড়ায়।

১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় শায়মা চমৎকার কমেন্ট করেছেন। আমি এটা আগেই পড়েছি কমেন্ট করিনি। আপনি যে ভাবে যুক্তি উত্থাপন করেছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। আপনার উল্লেখিত ২য় কবিতাটি গুণ কবির এবং তা বেশ বিখ্যাত কবিতা। কবিতার সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে পাঠকের মনন ও মনে আর কবির শব্দ চয়নে দক্ষতা ও আধ্যাত্বিকতার উপর। কবিতা সাহিত্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অধ্যায়। সংগত কারণেই সাহিত্য ভান্ডারে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর অবদান অনেক বেশি। কবিতাতো মানুষের জীবনের মতই বাস্তব। অনেক সময় কল্পনা হলেও তা মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত। আর একটা বিষয় সেটা হলো যৌবন জীবনের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ অধ্যায়। স্বয়ং স্রষ্টা যৌবন বয়সে ইবাদতকে সবচেয়ে মূল্যবান বলেছেন। এখানে দৃষ্টিভঙ্গি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কে কিভাবে দেখছেন বা নিচ্ছেন। একজন যুবকের কাছে সবচেযে আকর্ষনীয় কি হতে পারে? তার আরাধনা কি? একজন পুরুষের জীবনে একজন নারীর উপস্থিতি কতটুকু আবশ্যক সবাই সহজেই অনুধাবন করতে পারেন্ । যৌন শিক্ষাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। আর কে কি বিষয়ে লেখালেখি করে তৃপ্তি লাভ করেন সেটা লেখক ছাড়া অন্য কেউ বেশি জানার কথা নয় । আর পাঠকও সব পড়তে যাবেন কেন। যেটা তার পছন্দ সেটাই তিনি পড়বেন। বা পড়ার চেষ্টা করবেন। ব্লগের কিছু নীতিমালা অবশ্যই আছে। সেগুলোও জোড়ালো যুক্তি থাকলে খন্ডন করা যেতে পারে। এটাও দোষের নয়। অশালীনতা বিষয়টিও আপেক্ষিক । তবে নেগেটিভ মেন্টালিটি আমি কোন সময় সাপোর্ট করিনা । এই মেন্টালিটি দমনের পক্ষে আমি্ । অপরের সমালোচনার একটা সীমা আছে। ছিদ্রান্বেষণ করতে করতে অনেকের মূখ্য কাজ ছিদ্রান্বেষণ হয়ে যায়। তখন তারা মাথার বোঝা হয়ে ওঠেন । যা বহন করতে চায় না কেউ। যাইহোক রসময় গুপ্ত চর্চার জায়গা এটি নয়। ভালো লিখেছেন আপনি।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ভাই আমারও প্রশ্ন এইখানে- পাঠক সব পড়তে যাবে কেন? আর কিছু কিছু পাঠক ও লেখককে দেখি এরা সর্ব জ্ঞানে জ্ঞানী। এরা রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, রাষ্ট্র, সমাজ ব্যবস্থা, ইদানিং কবিতা নিয়াও লিখে। এরা তো উইকিপিডিয়া লেভেলের মানুষ, এরা সামুতে কি করে। এদের তো উচিৎ নিয়মিত উইকিপিডিয়ায় বাংলা কন্টেন্ট লেখা।

যাই হোক, আপনার মতামত সুন্দর লাগলো। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতো চমৎকার বিশ্লেষণ এর আগে কেউ করেছে বলে আমার মনে হয়না। অনেকেই প্রেক্ষাপট না বুঝে অথবা বিষয়বস্তু না বুঝেই তীর্যক মন্তব্য করে বসে সেটা আসলে কোন ভাবেই উচিত না। ব্লগার শায়মা এবং সেলিম আনোয়ারে আলোচনা বা কমেন্টস খুবই চমৎকার হয়েছে।




ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: দেশ প্রেমিক ভাই, অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার মতামতের জন্য। অনুপ্রাণিত হইলাম। আপনি যথার্থই কইছেন। প্রেক্ষাপট বা বিষয়বস্তু বুঝাটা খুবই জরুরী, নাইলে পাঠের সার্থকতা কোথায়?

শায়মা আপা ও সেলিম ভাইসহ যারাই আলোচনা করেছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই লেখার সাথে ছবির সম্পর্ক সম্পর্কে পরিস্কার কইরা তো কিছুই কইতাছেন না। এমন অশালীন ছবি দেওনের মানে কি? উদাহরনসহ ব্যাখ্যা করেন। =p~

১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আপনি কি এইগুলারে শিল্প বলবেন নাকি অশ্লীলতা বলবেন- আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয় না কেরে? ভাই অনেক পরিস্কার কইরাই তো কইলাম। কোন পর্দাই রাখি নাই। তারপরেও বুজেন না কেরে?

“অনেক কিছুই ব্লগারদেরকে নিজ চেষ্টায় বুঝতে হবে”- বাণীতে চাঁদগাজী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.