নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

“সৈয়দ শামসুল হক কি সাহিত্যিক ছিলেন, নাকি ষ্ট্যান্টবাজ ছিলেন?”

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮



আজকের লেখার দুইটা অংশ। প্রথম অংশে বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান সাহিত্যিক, কবি সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে অধমের কিছু ভাবনা আর দ্বিতীয় অংশ পুরাই গালাগালি, একেবারে রাখঢাক ছাড়া। যার যেই অংশটা ভালো লাগবে, পড়বেন।

এই শিরোনামের শানে নুজুলটা লেখার শেষ অংশে ভাঙ্গবো। তার আগে বলেন, ‘হায়রে মানুষ রঙীন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস্’ -এই গানটা জীবনে গুনগুন কইরা একবারের জন্যও গায় নাই এমন বাঙালী কয়জন আছে? একজন লেখকের লেখক হওয়ার জন্য বা একজন গীতিকারের গীতিকার হইবার জন্য এই রকম একটা কালজয়ী গান যথেষ্ট। আপনি সারাজীবন সামুতে লিখে, কমেন্ট কইরা ভরায়া ফেলেন, লাভ নাই। সামুতে আপনার আমার লেখা একদিন পরেই বাসি হইয়া যায়, কিন্তু এই গান বাঙালী বিগত চল্লিশ বছর যাবৎ গুনগুনইতাছে। জী হ্যাঁ, এই গানের গীতিকার সৈয়দ শামসুল হক। মানুষ তো দেশ ছাইড়া আমেরিকায় যাইয়া বসবাস করে, আর বাঙালীর এই কবি লন্ডন ছাইড়া বাঙলায় এসে বসবাস করতে শুরু করলেন ১৯৭৮ সালে, যদিও লন্ডনে তার থাকার ভালো সুযোগ ছিল। পরবর্তীতে কোন একসময় তিনি লিখলেন,
“আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?”



একজন শক্তিমান সাহিত্যিক হিসেবে তিনি আজকে হুট করে আবির্ভূত হন নাই, বা কোন রাজনৈতিক দল তারে পুট কইরা ধইরা সেরার আসনে বসায়া দেয় নাই। মাত্র ২৯ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে, তার প্রথম লেখা ছাপা হওয়ার ১৪ বছর পর, বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজকে ২০২১ পর্যন্ত বাংলা একাডেমী পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কমবয়েসি। সাহিত্যে কী পরিমাণ ক্ষুরধার মেধাবী ও শাণিত হইলে এইটা সম্ভব ছিলো!

তাঁর পিতার বড়ই ইচ্ছা ছিলো ছেলেরে ডাক্তার বানাইবেন। কিন্তু ছেলের ইচ্ছা তো ভিন্ন - তিনি তো শৈশব থেকেই নিজের ভিতরে শিল্পমানস ধারণ করেন, ডাক্তারী তারে পোষাইব না, পিতার মনের ইচ্ছা বুঝতে পাইরা তিনি কাউরে কিছু না বইলা পলায়া গেলেন ভারতে, বম্বেতে গিয়া একটা প্রডাকশন হাউজে ফিল্মের এসিস্টেন্ট হিসেবে করলেন এক বছর। সময়টা ১৯৫১, তখন তার বয়স মাত্র ১৬, ভাবা যায়! পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই, বম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে শিইখা আসা বিদ্যা তিনি কাজে লাগাইতে শুরু করেন ১৯৫৯ সাল থেকে, যার কিছু আগে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন, নিদারুন অর্থাভাব তারে নিয়া যায় সিনেমা জগতে। ১৯৫৯ সালে লিখছেন ‘মাটির পাহাড়’ সিনেমার চিত্রনাট্য। তোমার আমার, কাঁচ কাটা হীরে, বড় ভালো লোক ছিল, পুরস্কারসহ নানা সিনেমার সংলাপ, কাহিনী ও চিত্রনাট্য তার। ২০১১ পর্যন্ত কমবেশি ১৭টি সিনেমার হয় কাহিনীকার নয় চিত্রনাট্যকার নয় সংলাপ রচয়িতা হিসাবে কাজ করছেন। ‘বড় ভালো লোক ছিল’ আর ‘পুরস্কার’ চলচ্চিত্রের জন্য পর পর দুই বছর পাইছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

এর পাশাপাশি সিনেমার জন্য তিনি গানও লিখছেন। হায়রে মানুষ রঙীন ফানুষ, যার ছায়া পড়েছে মনেরও আয়নাতে, তোরা দেখ দেখরে চাহিয়া চোখ থাকিতে এমন কানা কেমন করিয়া, চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা ইত্যাদি আরো অনেক কালজয়ী গান।

প্রিয় পাঠক, আমি কিন্তু এখনও সৈয়দ শামসুল হক যে পরিচয়ে পরিচিত, সে বিষয়ে কিছু লিখিই নাই- ‘কবি’ সৈয়দ হককে নিয়ে। এ নিয়ে কিছু লিখবোও না। গুটিকয় মাথামোটা, অকালকুষ্মাণ্ড ছাড়া এ নিয়ে সবাই জানেন। চর্বিত চর্বন করার কোন মানে হয় না। সৈয়দ হক একাধারে লিখছেন কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, করছেন অনুবাদ। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নাই যেইখানে তিনি সাবলীলভাবে বিচরণ করেন নাই, এক কথায় বহুমাত্রিক সাহিত্যিক তিনি। আমি সেই সবের লিস্ট দিয়া লেখার দৈর্ঘ্য বড় করাকে বাহুল্য মনে করি কারণ এই বিষয়ে আপনি নেট দুনিয়ায় অসংখ্য লেখা পাইবেন, ইচ্ছা হইলে দেইখা নিতে পারেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডক্টর আনিসুজ্জামান স্যারের মতে, রবীন্দ্রনাথের পরে সৈয়দ হকই একমাত্র বাঙালী সাহিত্যিক, যিনি সফলভাবে সাহিত্যের সব শাখায় স্বীয় অবদানের কারণে প্রবলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “সৈয়দ হক যৌবনে এক অসাধারণ সাহসিকতার সঙ্গে পেশা হিসেবে লেখালেখিকেই বেছে নিয়েছিলেন। আমরা আশঙ্কা জানিয়েছিলাম, এটা কি সম্ভব হবে সে সময়ের প্রেক্ষাপটে। কিন্তু তিনি সেটাকে সম্ভব করে ছেড়েছেন। সৈয়দ শামসুল হক তার রচনায় এদেশের মানুষের ব্যক্তিগত, যৌথ আনন্দ-বিষাদ, সমস্যা-সঙ্কটের কথা যেমন বলেছেন, তেমনিভাবে ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখিয়েছেন।” লিংক

অনেক সাহিত্য সমালোচকের মতে তিনি যদি শুধু ‘বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’ আর ‘পরানের গহীন ভেতর’ লিখতেন, আর কিছু না লিখতেন, তাইলেও বাংলা সাহিত্য তারে চিরজীবনের জন্য মনে রাখতো। ‘পরানের গহীন ভেতর’ পুরো কাব্যগ্রন্থটি আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। বাংলা সাহিত্যে এমন কাব্যগ্রন্থ বিরল। তার রচিত কাব্যনাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ আর ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ বাংলাদেশের মঞ্চে সেরা নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সেরা নাটক।

সৈয়দ শামসুল হক কম করে হলেও ৩৮টি উপন্যাস লিখেছেন। কিন্তু তার উপন্যাসের প্রসঙ্গ আসলেই সবাই কেবল ‘খেলারাম খেলে যা’র কথা কয় কেন? কারণ এরা খেলা খুঁজতেই উপন্যাসটা হাতে নিছিলো, অন্যগুলা পড়েই নাই।

এবার সৈয়দ হকের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কথা কই, ফাঁকে ফাঁকে আমি গালিগালাজও চালাইতে থাকবো। আমি আসলে গালিগালাজ করার নিয়তে এই লেখাটা লিখতে বসছি, এতক্ষণ যা লিখলাম তা গালিগালাজের গ্রাউন্ড তৈরি করার জন্য। এবার গালি দিব। সামু চাইলে আমাকে ব্যান করতে পারে। সৈয়দ হকের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে একদল আছেন যারা ধর্মীয় মৌলবাদ গোষ্ঠি, জামাতি ও বামাতি ঘরানার। আরেকদল আছে এরা বলদ ও আঁতলামী দোষে দুষ্ট সম্প্রদায়ভূক্ত। এরা দুই লাইন সৈয়দ হক পড়ে নাই, শুধুমাত্র নিজেদেরকে সর্ববিষয়ে আঁতেল প্রমাণ করার জন্য ভুলভাল প্রলাপ বকে আর এরা যে বলদ তা পাবলিকলি প্রকাশ করে। এই বলদদের বলদামির নমুনা লেখার শুরুতে ছবিতে দিলাম। বলদ প্রথমে এমনভাব নিল যে সৈয়দ হকের নাড়ি নক্ষত্র সে জানে, বলে দিল যে সৈয়দ হক স্ট্যান্টবাজ। কিছুক্ষণ পর সে আবার নির্লজ্জের মতো অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে স্বীকারও করলো, “আচ্ছা আমি যেহেতু উনার লেখা পড়িনি, উনার সাহিত্যের ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।” দেখছেন অবস্থা! বলদামীর একটা লিমিট থাকা উচিৎ। একটা বিষয়ে না জানাটা দোষের না, কিন্তুু না জেনে জ্ঞানীর ভাব নেয়াটা বাল পাকনামি।

দেশের নাগরিক হিসাবে কেউই দল-মত নিরপেক্ষ না। আমাদের গর্বের জায়গা হলো সৈয়দ হক একজন স্বাধীনতা স্বপক্ষের মানুষ। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বিবিসিতে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের আত্মসমর্পনের খবরটি পাঠ করেন। এখন আপনি যদি কুযুক্তি দেন - যুদ্ধের এই কঠিন সময়ে যুদ্ধ না কইরা উনি লন্ডনে বিবিসি অফিসে কী করতেছিলেন, তাইলে আমার কিছু বলার নাই। মনে-প্রাণে, চিন্তায় ও মননে, সাহিত্যচর্চায় তিনি দেশকে ধারণ করতেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দ্বারাই চালিত হইতেন। এই চেতনারেই তিনি তাঁর সাহিত্যচর্চার ভিত্তি হিসাবে মানতেন। মৃত্যুর এক বছর আগে নিজের ৮০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন ও নিজের সাহিত্যচর্চা নিয়ে সৈয়দ হক কইছিলেন :
“ভাষার জন্য শুধু রাজপথে রক্ত ঝরানোর বছর সেটি নয়, পাকিস্তানের শত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আরবি বা রোমান হরফে বাংলা লেখা ও বাংলাকে আরবি-উর্দু শব্দে জর্জরিত করে এই ভাষাটিকেই বিনষ্ট করবার বিপরীতে আমরা ক’জনা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বাংলাভাষাকেই আঁকড়ে ধরে যে লিখে চলেছিলাম, সেদিন আমাদের দুর্বলতম লেখাটিও যে ছিল রাজপথে রক্ত ঝরানোর চেয়েও অধিক সফল যুদ্ধ, বন্দুক নয় কলম হাতেই যে হয়ে উঠেছিলাম বাংলা মায়ের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা আমরা একেকজনা।”

সৈয়দ হককে শেখ হাসিনা তার রাজকবি হিসাবে নিয়োগ দেন নাই। তাঁর সাথে শেখ হাসিনার যে সখ্যতা বা নৈকট্য তা নিতান্তই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর উছিলায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের যে সংগ্রামের ইতিহাস, দর্শন ও আদর্শের চেতনা - সেই চেতনাগত ঐক্যই হইলো এই সম্পর্কের ভিত্তি, যারে চাঁদগাজীর মতো একটা ব্লগার স্ট্যান্টবাজী বলেন, যে শুদ্ধ বাংলা লেখতে জানে না, যার প্রতিটা লেখা গুরুচণ্ডালি দোষে দুষ্ট। সৈয়দ হক আগে স্বপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত, নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারে মুক্তিযুদ্ধ বেচতে হয় নাই, শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু বেচতে হয় নাই্। আওয়ামী লীগ বা হাসিনার সাথে নৈকট্যকে ভিত্তি কইরা তিনি উইঠা আসেন নাই। বরং এই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টা।

ঠিক মতো বাংলা লিখতে জানে না একটা একগুঁয়ে (এটার আরো খারাপ প্রতিশব্দ ছিলো, অনেক কষ্টে নিজেরে সামলাইছি) যখন সৈয়দ হকের মতো একজন বহুমাত্রিক, ক্ষণজন্মা সাহিত্যিকরে ‘স্ট্যান্ডবাজ’ বইলা তার সাথে বেয়াদবি করে, তখন একজন সচেতন সাহিত্যপ্রেমি পাঠক হিসাবে আমারে হামান দিস্তা হাতে নিতে হয়। ডাণ্ডা হাতে নিতে হয় বলদ তাড়ানোর জন্য।

ছোট বাচ্চা যখন বড়মানুষের দাড়িতে হাত দেয়, তখন সবাই তারে আদর করে। কিন্তু বাচ্চা বড় হইয়া যদি এই কাজ করতে যায়, তখন ঐ বেয়াদবরে থাপড়াইতে হয়। আমরা যারা টুকটাক সাহিত্যচর্চা করি সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আহমদ ছফা... ইনারা হইতাছেন আমাদের বাপের মতোন। বাপেরে কেউ খারাপ কথা কইলে সন্তান হিসাবে আমার দায়িত্ব হইতাছে তার কপালে উষ্টা মারা। আমি উষ্টা মাইরা আমার দায়িত্ব পালন করলাম। এই ধরণের অন্ত:সারশুন্য কথা-বার্তার এইভাবেই প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ, নতুবা গাঁজাখুরি আষাঢ়ে গল্প চলতেই থাকবে এবং সামুর মতো একটা প্লাটফরম এর দায় এড়াইতে পারবে না।

একজন লেখক ৬৬টি বছর ধরে সাবলীলভাবে সাহিত্য চর্চা কইরা গেছেন, আর আপনি তার সাহিত্য পড়েন নাই, না পড়েই আপনি তাকে খারিজ কইরা দিতাছেন- আপনার মানসিক সক্ষমতা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন জাগে। হয় আপনি মানসিক প্রতিবন্ধি, না হয় আপনার আর মাতাল পরীমনির মধ্যে কোন ফারাক নাই। পরিশেষে আপনার ভাষায় বলি, “লেখকদের ব্যক্তিত্ব তাদের লেখার লাইনে লাইনে লেখা থাকে।”

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হক এবং তার লেখা এবং তার জ্ঞান মেধা ও মননের সাথে সবাই পরিচিত হবে এ আশা বৃথা। তবে না জেনে লাফ দিয়ে বলার খাতিরেই যা খুশি তাই বলে ফেলাটা আসলেই হাস্যকর ও বোকামী এবং গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়লীর লক্ষন।

কমেন্টের উদ্ধ্বত অংশগুলি পড়ে হা হা প গে ....... সেই রুপক জবাবটিই মনে পড়লো।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল... একদম হাঁচা কথা, বরাবর কথা কইছেন জনাব। ভালো থাকবেন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০০

স্প্যানকড বলেছেন: কই থাইকা যে এই বালছাল আসে বুঝি না । যিনি সৈয়দ শামসুল হক কে চিনে না বা তাঁর এক লাইন পড়ে নাই সে কি না বাংলা সাহিত্য কবি সাহিত্যিক এর ব্যক্তিত্ব নিয়া কথা বলে। ফালতু একটা। মেজাজটা গরম কইরা দিছেন ভাই ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। X((

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত আপনার মেজাজ গরম করানোতে। আর কোন উপায় ছিল না। শেষের অংশটা আবার পড়েন, মেজাজ ঠাণ্ডা করার ওষুধ দেয়া আছে।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

হাবিব বলেছেন: উত্তম জবাব দিলেন। সৈয়দ শামসুল হক বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: হাবিব ভাই, ধন্যবাদ। সবারই এমন উত্তম জবাব দেয়া উচিৎ। তাহলে এরা জেনে বুঝে কথা বলবে।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

অর্ক বলেছেন: ওরকম একজন বহুমাত্রিক সব্যসাচী লেখক বিশ্বসাহিত্যে অত্যন্ত অত্যন্ত বিরল। খুব সম্ভবত যাত্রার জন্যেও চিত্রনাট্য লিখছিলেন! কপটতা, ভণ্ডামি ব্যাপারটা কণা পরিমাণেও তাঁর মাঝে ছিলো না। একজন মানুষের আমুদে বা প্রকৃত অর্থে ভোগবাদী হওয়াতেও দোষের কিছু নেই। আরও অনেক কবি সাহিত্যিক ছিলেন, আছেন।

তিনি ভীষণ পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়েছেন। ওরকম একজন মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, গালিগালাজ করা নেহাতই রুচিহীনতার পরিচায়ক। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জানাশোনা ছিলো, এরকম কেউ কিছু বললে সেটার যা হোক অল্পবিস্তর গ্রহণযোগ্যতা থাকে। কিন্তু দুলাইন সৈয়দ শামসুল হক পড়ে, কারও সাথে একটি দুটি ছবি দেখে তাঁর সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা ভীষণভাবে নিন্দনীয়। এটা একেবারেই নোংরামি।

ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য। শুভকামনা।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: অর্ক ভাই সুন্দর বলেছেন। কিছু মানুষের কাজ হলো জেনে-না জেনে সর্বত্র নাক গলানো। ভালো থাকবেন।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নতুন-আলো বলেছেন: দারুণ লিখেছেন

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় নতুন-আলো, মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম বলদের সংখ্যা সামুতে অল্প কয়েকটা । ফেসবুকে আছে অনেক । যে কোন বিষয়ের না জেনে না বুঝে এক লাইন না পড়েও যে কিভাবে এরা সেই বিষয়ে মন্তব্য করে এবং পরে সেটা নিয়ে তর্কও করে সেটা আজও বুঝি না । এদের বলদামী দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলি । বাংলা সাহিত্যের জন্য অন্যতম শক্তিশালী সাহিত্যিক হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হক। তার রাজনৈতিক একটা পরিচয় আছে, আমাদের সবারই আছে । এই রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য কেউ তাঁর সাহিত্যিক সত্ত্বাকে বিচার করে তাও আবার একলাইন তার লেখা না পড়ে তাহলে তার থেকে বড় আহম্মক, বলদ আর আবাল এই দুনিয়াতে একটাও নেই ।

এই বিষয়ে আমার এক স্যারে একটা মন্তব্য শেয়ার করি । স্যার সব সময় বলতেন কেবল মাত্র বলদ যারা তারা সব বিষয়ে পন্ডিত সব জানে তারা, সব বিষয়ে তাদের পন্ডিতি করতেই হয়, তা সেই ব্যাপারে সে জানুক বা না জনুক। এই কারণে এই বলদের সাথে কখনই তর্ক করতে নেই । কারণ তুমি যুক্তি দিবে তোমার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে আর সে তর্কে করবে নিজের বলদামী দিয়ে ।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: অপু ভাই, ফেসবুক আর সামু তো এক জিনিস না, এমন বলদ ফেসবুকে থাকবে এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্লগিং যারা করেন তাদের কথার ভার, বিচার বিবেচনা জ্ঞান ফেসবুকারদের চাইতে উন্নত হবে- এটা তো আশা করাই যাই।
আপনি সুন্দর পয়েন্ট তুলে নিয়ে আসছেন- রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কারো সাহিত্যিক সত্ত্বাকে বিবেচনা করা। বাংলাদেশে সাহিত্যিকের মূল্যায়ন সাধারণত এই বিচারেই হয়। যার কারণে শামসুর রহমান, শামসুল হক হয়ে যায় আওয়ামী লীগ, আহমদ ছফা বাম, আল মাহমুদ জামাত, আবুল হাসান বাম।

আপনার মতামতের শেষের অংশটি পড়ে চমৎকৃত হইছি।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪২

সোনালি কাবিন বলেছেন: চাদ্গাজি বলেছেন " আচ্ছা আমি যেহেতু উনার লেখা পড়িনি, উনার সাহিত্য সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না /

উপরের দীর্ঘ স্ক্রিনশটের বাতচিত আর অবশেষে চাঁদগাজির এহেন মন্তব্য দেখে এক্টা প্রচলিত কথার কথা মনে পড়ে গেল ~~~~

" সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি"

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমার আরেকটা প্রচলিত কথা মনে পড়ে গেল, “গাধা জল খায়, তবে ঘোলা করে খায়।”

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আক্কেল দেখিয়া আমি যারপরনাই আশ্চর্যান্বিত হইলাম। এখনও ঠিকমতোন ব্লগার হইয়া উঠিতে পারিলেন না, আর একজন আউলিয়ার ইয়ে ধরিয়া টানাটানি করা শুরু করিয়াছেন? X(

আউলিয়ার তৈলবাজ ভক্তকূল অসিলো বলিয়া! আপনার ব্লগার (?) সার্টিফিকেট অচিরেই বাতিল বলিয়া গন্য হইবে। তবে, আপনার কপাল ভালো যে, এই মূহুর্তে আউলিয়া সাহেব কোয়ারেন্টিনে আছেন। ফিরিয়া আসিয়া উনিও যথাযথ ব্যবস্থা লইবেন। =p~

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মফিজ ভাই, বিনয় কইরা ২টা কথা কই। আমার ব্লগার হইয়া উঠার কোন খায়েশ নাই। ব্লগার সার্টিফিকেট বাতিল হইলে কিছুই আসে যায় না।

আউলিয়ার তৈলবাজ ভক্তদের যদি বংশদণ্ড হজম করিবার সামর্থ থাকে তাহলে আসিবে। নয়তো আমাকে না ঘাটানোই তাদের জন্য শ্রেয়।

আমি যাহা বলিয়াছি, জানিয়া, বুঝিয়া, গবেষণা করিয়া বলিয়াছি। কেহ যদি পারে আমাকে ভুল প্রমাণ করুক। আমি আউলিয়ার মতন না যে ভুল করিয়াও ঘাড় ত্যাড়া করিয়া রাখিব। আমার ভুল ধরাইয়া দিলে আমি বিনয়ের সাথে নিজেরে শুধরাইয়া নিতে পারি। কারণ আমি জানি আমি মানুষ, আমি ভুল করিতেই পারি।

আপনি আমার জন্য এত চিন্তা করেন দেখিয়া যার পর নাই খুশি হইলাম। ভালো থাকিবেন।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোষ্টটি খুবই যৌক্তিক, বিশ্লেষন ভালো হয়েছে।

তবে, এই আলোচনাটি উক্ত ব্লগারের পোষ্টে করলেই ভালো হতো। অথবা আপনি উনার বক্তব্যের স্ক্রীন শট যুক্ত না করলেই শ্রেয় হতো। কারন যখনই আমরা কারো বক্তব্যের কোন স্ক্রীনশট যুক্ত করব, তখন সেখানে দ্বিপাক্ষিক একটি আলোচনার সুযোগ থাকতে হয়। নইলে তা এক তরফা হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু উক্ত ব্লগার বর্তমানে কমেন্ট ব্যানে আছেন, তাই এই বিষয়ে আমি মন্তব্যটি করলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, বিনয় করে বলি ও আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, আপনি এটা কী কইলেন? আপনি তো আমার লেখাটারে লেখা বইলাই মূল্যায়ন করলেন না। আমি কি এইটা একটা কমেন্ট লিখছি যে উক্ত ব্লগারের পোস্টে গিয়ে এত বড় লেখাটা পোস্ট করবো? একজন মানুষ দিনের পর দিন আজে বাজে যুক্তিহীন প্রলাপ বকে যাবে, সেটার প্রতিবাদ তো তার কমেন্টে গিয়ে করলে হবে না। আমি তো তার সব কথার স্ক্রিনশট তুলে দিই নাই। যে প্রসঙ্গে উনি ব্ক্তব্য দিয়েছেন সেটা এ ধরনের প্রতিবাদই হওয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি। তাহলেই এরা এসব আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করবে।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতো চমৎকার বিশ্লেষন; আপনার লেখা বারবার পড়তেই ইচ্ছে করে।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: দেশ প্রেমিক ভাই, উৎসাহিত হইলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সৈয়দ হক একজন সব্যসাচী লেখক।
তিনি যদি শুধু ‘বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’ আর ‘পরানের গহীন ভেতর’ লিখতেন, আর কিছু না লিখতেন, তাইলেও বাংলা সাহিত্য তারে চিরজীবনের জন্য মনে রাখতো। টুকটাক বাংলা সাহিত্য জানলে ও সৈয়দ শামসুল হক কে জানতে হয়।

আপনার বিস্তারিত লেখা ভালো লেগেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মনিরা আপা, আপনার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সৈয়দ হক একজন সব্যসাচী লেখক

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: রানার ভাই, ঠিক বলেছেন।

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৫

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হক, বাংলার মাটি ও মানুষের লেখক।
তাঁকে বাদ দিয়ে আধুনিক বাংলা সাহিত্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় মিয়া বাড়ির ছেলে, ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সমালোচনা করতে গেলে আগে তাকে জানতে হবে। অন্যথায় নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। এপার বাংলার আমার এক স্বঘোষিত সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুকে প্রথম যখন হুমায়ুন আহমেদের নাম বলেছিলাম অনেকটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল উনি কি কবিতা লেখেন? আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম।পরে গড়পড়তা পশ্চিমবঙ্গ বাসীর ওপার বাংলার কবি সাহিত্যিকদের সম্পর্কে অঞ্জতাকে মেনে নিই। বাংলা সাহিত্যে হুমায়ুন আহমেদদের অবদানের যারা খোঁজ রাখেন না।তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কাজেই সমস্যা কালজয়ী এসমস্ত কবি-সাহিত্যিকদের নয়, সমস্যাটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আরেকজন প্রিয় সাহিত্যিকের কথা মনে করায়া দিলেন। প্রাণটা জুড়ায়া গেল। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। যারা হুমায়ুন আহমেদকে সাহিত্যিক মনে করে না, তাদেরকে নিয়া ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা আছে।

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার মনে হয় সৈয়দ শামসুল হক সম্পর্কে
ওনার নিজস্ব কোন মত থাকতে পারে। কারো
সম্পর্কে সবাই যে একই ধারণা পোষণ করবেন
তা আশা কর যায়না। তার কাছে তার এধরণের
মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে পারা যায়। যদি তিনি যুক্তি
সংগত কোন কারণ দেখাতে পারে তা মেনে নি।
কিন্তু একচোঁখা নীতির কারণে সবাইকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য
করা ঠিক নয় কোন ক্রমেই।
তবে একজন লোকের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে যদি তাকে
দোষ স্বীকার করতে বলা হয় তবে তা হবে অমানবিক!
তাকে বলার সুযোগ দেবার জন্য মুখের টেপ খুলে দিতে হবে
এটা তার অধিকার। বাকস্বাধীনতা হরণ করে তাকে দিয়ে
স্বীকারোক্তি নেয়া মৌলিক অধিকার পরিপন্থি !!

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: নুরু ভাই, তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি কে চাচ্ছে। তার মুখে স্কচ টেপ কেন লাগাইছে সেটা সামুর ব্যাপার। “কারো
সম্পর্কে সবাই যে একই ধারণা পোষণ করবেন তা আশা কর যায়না।” আপনি একশ ভাগ সত্যি কথা বলেছেন। তবে কিছু কিছু বিষয় বিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যায়। কেউ যদি বলে কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবি হওয়ার কোন যোগ্যতা নাই, তখন আসলে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার কোন মানে হয় না, তারে ধইরা... এখানেও ব্যাপারটা তাই।
সৈয়দ শামসুল হককে নিয়া উনার নিজস্ব মত তো উনি দিছেনই। একটা ব্যাপার আপনাকে মানতে হবে, সামু একটা যা-তা প্লাটফরম না। এখানে আপনি যা-তা মতামত দিতে পারেন না।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: তবে আমি নিজেও চাইতেছি উনার কমেন্ট ব্যান উঠে যাক। উনি চাচ্ছেন কিনা, সেটা হচ্ছে বিষয়।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৪

সুদীপ কুমার বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হককে নামাতে গিয়ে চাঁদগাজী ভাইয়া নিজেই নীচে নেমে গিয়েছেন।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:১০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমাদের বোঝা উচিৎ কোন বিষয়ে কী কথা বলবো। এটাও এক ধরণের ম্যাচুরিটি।

ভালো থাকবেন।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১১

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: জ্যাকসন হাইটে সাগর চাইনিজের সামনে গুলতানি রাজা উজির মারা আর ভুয়া আইটি কনসালটেন্সি ফার্র্মে চালানো সবজান্তা গাবগাছি টাইপের ব্লগারদের কাছে আর কি আশা করবেন।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ঈগলপাখি ভাই, উনাদের কথাবার্তায় তো মনে হয় উনারাই হইতাছেন আদর্শ ব্লগার।

আমি অবশ্য এদের কাছ থেকে কিছু আশা করি না।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর ও যৌক্তিক আলোচনা।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ধন্যবাদ, জটিল ভাই।

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:২১

সোহানী বলেছেন: উনার লিখা না পড়েই উনার সমালোচনাটা হাস্যকর। নিউইউর্কে এক পাক্ষিক কিছু বাংলা পত্রিকা ছাপা হয় সেখানে অনেক সেলিব্রেটি এর সমালোচনার কাট পেস্ট থাকে। হয়তো তা পড়ে উনার এমন ধারনা হয়েছে।

এমন একজন সব্যসাচী লেখককে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সোহানী আপা, আপনার ধারণা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নিয়ইয়র্কের বাংলা পত্রিকা পইড়াই এই অবস্থা।

মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু চিহ্নিত আলবদর তালেবান সমর্থক সৈয়দ শামসুল হক, শাহরিয়ার কবির, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তথা শাহাবাগ আনন্দলন সমর্থকদের দুচোখে দেখতে পারে না। এদের অপছন্দের কারনটা স্পষ্ট। কিন্তু মুল কারনটা কখনো উচ্চারন করে না,
প্রধান অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেনি কেন?

৭ কোটি দেশবাসি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে কেন?
দেশের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পী, চিত্রকর, ভাস্কর, চারু শিল্পী .... এরা সবাই প্রগতিশীল মনের অধিকারি, সরাসরি যুদ্ধে যায় নি, বন্দুক হাতে নেয় নি, তারা কি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক ছিল না?
কবিকে শিল্পীকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না, তাদের অগ্নিঝরা কবিতার ছন্দ আর মানবতার প্রবাদবাক্য বন্দুকের গুলির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান, এটা বুঝতে চায় না পাকিপ্রেমিরা।

ঢাকায় অনেকেই চাকুরি ছেড়ে বাচাকাচ্চা নিয়ে পায়ে হেঁটে অনিশ্চিত গন্তব্যে অতিবিপদসংকুল সীমান্ত পার হতে পারেনি, আমার পিতামাতাও পারেনি। গ্রামও নিরাপদ ছিলনা, সে তুলনায় ঢাকাই ছিল অনেকটা নিরাপদ। কারন কেউ নিশ্চিত না দেশ ৯ মাসে স্বাধীন হবে না ৯ বছর লাগবে।
যুদ্ধে না গেলেও সবাই মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ছিল, অনেকে মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে যোগ দিয়ে, নিজের গাড়ী দিয়েছিল, অস্ত্র নিয়ে কম্বাটে অংশগ্রহনও করেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: হাসান ভাই, সুন্দর বলেছেন। তবে অনেকেই আছে এদের সমালোচনা করে জাতে উঠতে চায়।

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবের কমেন্ট ব্যান উঠে নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি যাতে আমরা উনার মতামত জানতে পারি।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আবেগে বিবেক হারাইবেন না, দেশপ্রেমিক ভাই।

২২| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে উইকি থেকেও তাঁর বিষয়ে আরো অনেক কিছু জানলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: বড় ভালো লাগলো জনাব। এখানেই আমার লেখার সাফল্য।
ভালো থাকলো।

২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার ব্লগার হইয়া উঠার কোন খায়েশ নাই। ব্লগার সার্টিফিকেট বাতিল হইলে কিছুই আসে যায় না। আরে.....এইসব কি বলেন! আপনে তো অলরেডি ব্লগার হয়াই গ্যাছেন। আর একবার যখন হইছেন, চালায়া যাইতে হবে। বুঝছেন নি কি কইলাম!!! =p~

@দেশ প্রেমিক বাঙালীঃ মতামত জানার জন্য ব্যান উঠানোর দরকার নাই। বিভিন্ন পোষ্টে গিয়ে ল্যাদানোর চাইতে নিজের পোষ্টেই ল্যাদাক। যতোদিন খোয়াড়ে থাকবে, ব্লগের পরিবেশটা ততোদিন সুন্দর থাকবে। আর আপনার যখন উনার মতামত জানার এতোই শখ, তখন দিলাম একটা স্ক্রীণশট.........দেখেন লেটেস্ট মতামত।


হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কিছু চিহ্নিত আলবদর তালেবান সমর্থক সৈয়দ শামসুল হক, শাহরিয়ার কবির, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তথা শাহাবাগ আনন্দলন সমর্থকদের দুচোখে দেখতে পারে না। তাহলে আমি যা ভাবি, সেটাই কি ঠিক? :P

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মফিজ ভাই, লেখালেখি চলবে, যতক্ষণ টাইপ করতে পারি।

...আমরা যা ভাবি সেটাই... সেটাই ঠিক। আমি তো শুরু থেকেই নিশ্চিত, এখন হাসান ভাই বুঝলেই হইলো।

২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: "আবার লোকের মতো লোক এবং কাজের মতো কাজ দেখিলেই নিন্দার ধার চারগুণ শাণিত হইয়া উঠে। ইহাতেই দেখা যায়, বিধাতা যেখানে অধিকার বেশি দিয়াছেন সেইখানেই দুঃখ এবং পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন করিয়াছেন। "
নাজেনেও এখন শানিত নিন্দার মন্তব্য চলে চলবেই।
উনাকে চিনতাম উনার লেখা দিয়ে, কোন ছোটবেলায় । প্রথম চেহারা দেখলাম টিভিতে। আর পরে কাছের মানুষ হয়ে গেলেন । হক ভাই। কত যে জ্ঞানের গভীরতা কাছে থেকে দেখা একজন মানুষের। লেখা ছাড়াও উনার বাচন ভঙ্গি অন্যরকম আলাদা পরিচয় দিত উনার। যেতে যেতে দিয়ে গেলেন কি অসাধারন এক কবিতা ।
আমার পরিচয়

আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?

আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে
আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।.....
মৃত্যুর শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত কয়জন পারে সাহিত্য রচনায় নিবেদিত থাকতে তাঁর মতন।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: রোকসানা আপা, ইমোশনাল কইরা দিলেন। মৃত্যুর আগে হাসপাতালের দিনগুলোতে বেডে শুয়ে শুয়েও এই মানুষ কবিতা লিখছেন।

২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আউলিয়া সাবের মগজের পরিপক্কতার আরেকটা নমুনা দেখেন :-B

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ব্রিটিশ আমলে যখন কোলকাতা মোহামেডান আর ব্রিটিশ ফুটবল টিমের মধ্যে খেলা হইছিল, তখন পুরা ব্যাপারটাই ভারতবাসী আর গোরাদের মধ্যে একটা কোল্ড ওয়ারের মতো হইয়া গেছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যখন এম আর আখতার মুকুল প্রতিদিন চরমপত্র পাঠ করতেন, তখন হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে বসেও তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন।
এই ব্যাপারগুলার মহিমা উনার অথর্ব মস্তিষ্কে ধরবে না।

আর আপনি যে স্ক্রিনশট দিছেন, তার বিষয়বস্তু এই লোক সম্বন্ধে আমাদের সন্দেহকে আরো ঘনীভূত করে। এমন এরোগেন্টলি তারাই বলতে পারে যারা ফেইক। কারণ নিজেরে প্রমাণ করার জন্য এরা আশেপাশের কাউরে স্বীকার করতে চায় না।

২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৩

শায়মা বলেছেন: ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩১০

লেখক বলেছেন: নুরু ভাই, তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি কে চাচ্ছে। তার মুখে স্কচ টেপ কেন লাগাইছে সেটা সামুর ব্যাপার। “কারো
সম্পর্কে সবাই যে একই ধারণা পোষণ করবেন তা আশা কর যায়না।” আপনি একশ ভাগ সত্যি কথা বলেছেন। তবে কিছু কিছু বিষয় বিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যায়। কেউ যদি বলে কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবি হওয়ার কোন যোগ্যতা নাই, তখন আসলে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার কোন মানে হয় না, তারে ধইরা... এখানেও ব্যাপারটা তাই।
সৈয়দ শামসুল হককে নিয়া উনার নিজস্ব মত তো উনি দিছেনই। একটা ব্যাপার আপনাকে মানতে হবে, সামু একটা যা-তা প্লাটফরম না। এখানে আপনি যা-তা মতামত দিতে পারেন না।


আই লাইক দ্যা থটফুল আনসার । রাজনভাইয়া :) :) :)

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪১০

লেখক বলেছেন: তবে আমি নিজেও চাইতেছি উনার কমেন্ট ব্যান উঠে যাক। উনি চাচ্ছেন কিনা, সেটা হচ্ছে বিষয়।

আই লাইক দ্যা আনসার ঠু......... ঠু ...... ঠু .........

ভাইয়ু আমি তো তোমার ফ্যান হয়ে গেলাম......

যাইহোক আমিও চাই ভাইয়ার ব্যান তুলে নেওয়া হোক। আহারে সবার পোস্টে গিয়ে গিয়ে বকাঝকা না করতে পেরে তার কত কষ্ট হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি! :(



১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: শায়মা আপা, আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হইয়া গেলাম। আপনারা যখন কোন কিছু ভালো বলেন, তখন সত্যিই আত্মবিশ্বাস পাই। দোয়া করবেন, ভালো থাকবেন।

২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নুরু ভাই,“কারো সম্পর্কে সবাই যে একই ধারণা পোষণ করবেন তা আশা কর যায়না।” আপনি একশ ভাগ সত্যি কথা বলেছেন। তবে কিছু কিছু বিষয় বিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যায়।

আপনাকেও ধন্যবাদ রাজন ভাই। আপনার স্বাধীন মতকেও আমি শ্রদ্ধা জানাই।
ফরাসি দার্শনিক ভল্টেয়ার বলেছিলেন, ‘তোমার মতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি;
কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে প্রাণ দেব।’


অনেকে তথাকথিত একজন নারীবাদী লেখিকাকে
(যিনি পুরুষ ছেলেদের হিংসা করে উদাম গায়ে থাকতে
খায়েশ করেন) রীতিমতো পুঁজা করে; কিন্তু তার কথা
শুনলে আমার বামি আসতে পারে। এটা আমার
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এর জন্য কেউ যদি আমার
কণ্ঠরোধ করতে বা টুটি চেপে ধরতে চায় তখন
ছড়াকার আবু সালেহ এর মতো বলতেই হয়ঃ
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবেনা বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!



আমি ব্যক্তিগতভাবে গাজীসাবকে তার অ-প্রসাঙ্গিক
মন্তব্যের জন্য সবসময় কড়া প্রতিবাদ করতাম, এখনো
করি। আমার বহু ছড়া কবিতায় তাকে আমি সবসময়
দৌড়ের উপর রাখি। তার মানে এই নয় যে তিনি আমার
শত্রু। তবে তার বিশেষ গুন তিনি সবকিছু সহজভাবে নেন।
এখন তিনি কমেন্ট ব্যানে আছেন। তার প্রতি আমরা সবাই
সহানুভূতিশীল হই। তিনি ব্যান মুুক্ত হয়ে তার ব্যাখ্যা প্রদান
করুন কি কারনে তিনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ সামসুল হক'কে ষ্ট্যান্টবাজ বললেন।
আমরা সামুতে তার স্বাভাবিক বিচরণ আশা করছি।










১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আমিও চাই উনি ‘স্বাভাবিক’ভাবে বিচরণ করুন। উনার বিচরণের অস্বাভাবিকতার জন্যই তো উনার কমেন্ট ব্যান করা হইছে। উনি স্বাভাবিকতার একটু নজির দেখাইলেই তো হয়। আপনার আমার চাওয়া দিয়া কিছু আসে যায় নারে, ভাই।

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

শায়মা বলেছেন: নুরুভাইয়া এই জন্য ষ্ট্যান্টবাজ বললেন যেন কমেন্ট ব্যান উঠে যায়। :)


কমেন্ট ব্যান উঠে যাক ছু মন্তর ছু......


নাইলে ওঝা ডাকবো...... ঝাঁড় ফুক তাবিজ কবজ না কাজ হয়ে যাবে কই???? :) :) :)


১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আসেন আসেন সকলে, শায়মা আপুর সাথে একসাথে বলি,
ছু মন্তর ছু,
কমেন্ট ব্যানে ফু,
এবার গাজীসাব আসি
দিবে হো হো হাসি।
ছু মন্তর ছু
কমেন্ট ব্যানে ফু।

২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

শায়মা বলেছেন: রাজনভাইয়া তুমি, রোকসানা লেইস আপু, অর্কভাইয়া তোমরা কত কিছুই না জানো???

ধন্য ধন্য বলি তোমাদেরকেও আর নিজেকেও আর ভাইয়াকেও ভাইয়া ঐ কমেন্ট না করলে এত কিছু জানতাম কি করে বলো??


তাই পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসেরই নেগেটিভ পজিটিভ আছে। পজিটিভটুকু বেঁছে নাও বেঁছে নাও !!!!!!!

লাভ ইউ অল...... সবাই ভালো থাকো, সুখে থাকো যতদিন বেঁচে থাকো .....

১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: শায়মা আপু, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেন। অবশ্যই পজিটিভটুকুই বেছে নিব।

৩০| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: সৈয়দ সামসুল হক সম্পর্কে আমার ভাল কোন ধারনা নাই। সাহিত্যিক হিসেবে হয়ত উনি উচু মাপের। তবে ব্যক্তি হিসেবে নয়। তসলিমা নাসরিন শামসুল হকের চরিত্র আসলে কেমন তা ফাশ করে দিয়েছিলেন তার ক নামক উপন্যাসে। সামসুল হকের স্ত্রী আনোয়া সৈয়দ হকও সংবাদপত্রের বিভিন্ন কলামে অনেক কিছু লিখেছেন তার সম্পর্কে। অনেকেই হয়ত বলবেন যে ব্যক্তিগত চরিত্রের সাথে সাহিত্যে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। তবে আমার অবস্থান তার বীপরিতে। হুমায়ন আহমেদ শাওন এর সাথে জরিয়ে পরার পর থেকে তার গপ্লের বই পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: যেই কারণে তসলিমা নাসরীনের লেখা পড়ে সৈয়দ হককে বর্জন করেছেন, সেই একই কারণে তসলিমাকে আপনার আরো আগেই বর্জন করা উচিৎ ছিল। অনেক জোরালোভাবেই উচিৎ ছিল। কিন্তু সেই আপনিই তসলিমার রেফারেন্স এক্সেপ্ট করছেন।

“হুমায়ন আহমেদ শাওন এর সাথে জরিয়ে পরার পর থেকে তার গল্পের বই পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম।” আবার আপনিই হয়তো ইসলামে পুরুষদের ৪ বিয়ের বিষয়টাকে সমর্থন করেন। ব্যাপারটা দুঃখজনক। তবে এ জন্য হুমায়ুনের পাঠক সংখ্যা কমেনি।

৩১| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কিছু চিহ্নিত আলবদর তালেবান সমর্থক সৈয়দ শামসুল হক, শাহরিয়ার কবির, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তথা শাহাবাগ আনন্দলন সমর্থকদের দুচোখে দেখতে পারে না।


হাসান কালবৈশাখী আবারো ট্যাগিং এর ধারা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন ব্লগে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এমন কমেন্ট এর। ব্লগার চাদ্গাজীর কমেন্ট ব্যান এর পক্ষে বেশিরভাগ ব্লগার সোচ্চার তার ট্যগিং সম্বলিত কমেন্ট এর জন্য। মনে হচ্ছে সামনে হাসান কালবৈশাখীর বিরুদ্ধেও কলম ধরতে হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হক স্ট্যান্টবাজ ছিলেন এটাও তো মনে হয় ট্যাগিং এর পর্যায়ে পড়ে।

৩২| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: একজন মানুষ সব বিষয়ে জানেন এটা আমি কখনোই বিশ্বাস করি না। চাঁদগাজী অবশ্য মনে করেন তিনি সব কিছু নিয়েই জানেন, নিজের কয়েকটা গোঁড়া বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তিনি বাকিসব কিছুকে বিচার করেন। অনেক সময় তার কিছু লেখায় তার নিজেকেই কনফিউজড মনে হয়। বয়সে বড়, হয়তোবা একা থাকেন, ছেলেমেয়ে দূরে এসব ভেবে একটা ইমেজ পোট্রে করে তাকে পজেটিভ কথাই বলে এসেছি এতোদিন। একটিভ ব্লগার হিসেবে এতটুকু সম্মান তার প্রাপ্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সিচুয়েশনে আর কথা আটকে রাখা যায় না। সৈয়দ হককে নিয়ে লেখা তার মন্তব্য প্রমাণ করে তিনি অন্যদের কি ভাবেন কিংবা কতোটুকু জেনেই বা কথা বলেন।

আমি তাও মানতাম সব বিষয়ে একটু একটু জানার চেষ্টা করে এই লোক। এখন মনে হয় ম্যাগাজিন ট্যাগাজিন বা পত্রিকা পড়েই সব বিষয়েই অনুসিদ্ধান্তে চলে যান তিনি। আসলেই যে চরিত্রটি চাঁদগাজী সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাই নাকি তাতেই আমার সন্দেহ।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সাজিদ ভাই, আপনি তো গভীর জায়গায় হাত দিয়া ফেলছেন।

সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ব্লগিং করতে আসলে মহা মুশকিল । যে কোন বিষয়ে ডিবেটের মুল হাতিয়ার হচ্ছে যৌক্তিক যুক্তি তর্ক। যুক্তি যাদের কাছে থাকে না তারা বেছে নেয় ব্যক্তিগত আক্রমন । কথা হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হকের বিষয়ে । আমি সেখানে আমার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছি। আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে কিন্ত আপনি পালটা যুক্তির বদলে হাজির হলেন ব্যক্তিগত আক্রমন নিয়ে!!!

তসলিমা নাসরিন তার ক উপন্যাসে সৈয়দ শামসুল হকের ব্যক্তিগত চরিত্র বিষয়ে অনেক কিছু লিখেছিলেন। সৈয়দ ামসুল হক তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে ক উপন্যাস নিশিদ্ধ ঘোষনা করিয়েছিলেন। সেটা করতে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ধর্মকে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনু মোহাম্মদ সে সম্পর্কে কি বলেছেন তা পড়ে দেখুন -
-আনু মুহাম্মদ

বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত তসলিমা নাসরিন-এর বেশ কয়েকটি বই নিষিদ্ধ করেছে। সবগুলো বই নিষিদ্ধ করবার পেছনে প্রধান যুক্তি দেয়া হয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। এই নিষেধাজ্ঞা সিরিজ-এ সর্বশেষ বই ’ক’। এবারের নিষেধাজ্ঞা আগেরগুলোর থেকে ভিন্ন। এবারের বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার নয়, আদালত। আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে আরেকজন বিখ্যাত লেখক সৈয়দ শামসুল হক-এর আবেদনক্রমে। কোন লেখক বই নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করছেন এরকম ঘটনা সারা বিশ্বেই বিরল।

তসলিমা নাসরিন-এর ‘ক’ গ্রন্থ নিষিদ্ধ করবার জন্য আদালতের কাছে সৈয়দ হক যে আবেদন জানিয়েছেন সেখানে তিনি এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে হাজির করেছেন তিনটি বিষয়। প্রথমত: তিনি আর্জি করেছেন যে, তসলিমা তাঁর সম্পর্কে এই গ্রন্থে যা লিখেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা এবং এতে তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এতে মানহানির বিষয় দাঁড়ায় কিন্তু গ্রন্থ নিষিদ্ধ করবার জন্য এটা যথেষ্ট যুক্তি নয়। সুতরাং তিনিও ধর্ম ব্যবহারের রাস্তা ধরেন। আর্জিতে তিনি বলেন, এই গ্রন্থে তসলিমা ধর্মের প্রতি কটূক্তি করেছেন! কোনটা কটূক্তি কোনটা বর্ণনা, কোনটা কটূক্তি কোনটা অভিজ্ঞতার বয়ান? আর্জিতে ব্যাখ্যারও দরকার হয়নি। মোক্ষম পয়েন্ট। আদালত নিষিদ্ধ না করে যায় কোথায়? নিষিদ্ধ করবার ব্যবস্থা হল। কিন্তু কোথায় এসে দাঁড়ালেন হক? কাদের সাথে? তারপরও এখানেই শেষ নয়। এরপর বোধহয় ক্ষমতাবানদের সমর্থন নিশ্চিত করা দরকার। হক সাহেব আর্জিতে তাই তাঁর তৃতীয় দফা যুক্তি টানলেন। বললেন, এই গ্রন্থে তসলিমা প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। তার মানে কি, সৈয়দ হকের আর্জি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী সম্পর্কে কোন সমালোচনামূলক মন্তব্য করা গর্হিত কাজ? তসলিমা যেসব ‘কটূক্তি’ করেছেন তা কি এই দুই নেত্রীর লোকজন অন্য নেত্রীর উদ্দেশ্যে যেসব মন্তব্য করেন, এমনকি সংসদে যেসব গালিগালাজ হয় তার থেকেও খারাপ?
এটা বুঝতে তাই অসুবিধা হবার কথা নয় যে, সৈয়দ হক নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে আদালতে ধর্মকে ব্যবহার করেছেন, যেমন ব্যবহার করে থাকেন আমাদের শাসকেরা, ক্ষমতার চর্চাকারী সমাজপ্রভুরা। তিনি আরও ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ক্ষমতাকে, যেমন ব্যবহার করে উপ-শাসকেরা।
তসলিমা সৈয়দ হক সম্পর্কে ‘ক’ গ্রন্থে যা লিখেছেন তা ঠিক কি বেঠিক সেটা নিয়ে আমি কোন আলোচনা করতে চাইনা। বেঠিক হলে সৈয়দ হক তা পরিষ্কার করে আরেকটা লিখতে পারতেন, বিবৃতি দিতে পারতেন, সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারতেন। তিনি যথেষ্ট ক্ষমতাবান মানুষ এটা আমরা জানি। তসলিমার গ্রন্থেও তার স্বীকৃতি আছে। তিনি চাইলে তাঁর বক্তব্য সর্বত্র ছড়িযে পড়ত। কিন্তু স্পষ্টত:ই তাঁর সেই সাহস ছিল না। তাঁর তাই দরকার হল এমন হাতিয়ার ব্যবহার করা যার বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছি।

ব্লগার চাঁদ্গাজীও খুব সম্ভবত সৈয়দ শামসুল হকের এই চারিত্রিক দিক নিয়েই বক্তব্য রেখেছেন। শোভন হত তার সেই পোস্টে গিয়ে যুক্তি তর্কে লিপ্ত হলে। কমেন্টে ব্যান থাকা একজন ব্লগারকে মানসিক প্রতিবন্ধি, মাতাল পরিমনি ইত্যাদি বিশেষনে ভুষিত করে পোস্ট দেয়াটা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়।



২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই, আমি যুক্তিই দিছিলাম দুইটা, তবে ব্যাপারটা যদি ব্যক্তিগত আক্রমন মনে হইয়া থাকে তাইলে আমি দুঃখিত। তবে আমি দুইটা যুক্তিই দিছিলাম।
এবার আপনাকে একটা তথ্য দিয়া রাখি, আপনার কাজে লাগবে। যেহেতু আপনি নারী কেলেঙ্কারি আছে এমন লেখকদের বাতিল করে দেন, দুই লেখকের যে উদাহরণ আপনি দিছেন তা থেকে এইটাই বুঝা যাইতেছে, আমি কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণ করতেছি না। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমীলাকে বিয়ে করেন ১৯২৪ সালের ২৫ এপ্রিল, আর তার প্রথম সন্তান কৃষ্ণ মোহাম্মদ জন্মগ্রহণ করেন একই বছর ২২ আগস্ট। তার মানে, তাঁদের বিয়ের চার মাসেরও কম সময়ে তাদের সন্তানের জন্ম। কিভাবে সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব, বিয়ের আগে খেলাধুলা করলে সম্ভব এবং ঘটনা এইটাই ঘটছিল। ১৯২৩-এর ১৫ডিসেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেয়েই নজরুল চলে যান প্রমীলাদের বাড়িতে, সেখানে তিন দিন ছিলেন, খেলাটা তখনই খেলেন এবং প্রমীলা দেবি গর্ভধারণ করেন। সেই বিচারে গর্ভধারণের আট মাসের মাথায় কৃষ্ণ মোহাম্মদের জন্ম হয়, ইতিহাস সাক্ষী, বাচ্চাটা প্রিমেচিউরড হয়েছিল, তাই জন্মের চার মাসের মাথায় বাচ্চাটা মারা যায়। আমাদের বাঙালদের ভাষায় নজরুলের এই বাচ্চাটা জারজ বাচ্চা। এবার আপনার উচিৎ নজরুলের এই অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানার পর তার সারাজীবনের সাহিত্যকীর্তি, ভারতবাসীর জন্য সংগ্রাম, সাহিত্যে মুসলিম জাগরণে তার সকল অবদানকে খারিজ করে দেয়া, যা জনাব গাজী সাহেব, আপনার মতে, সৈয়দ হকের ব্যাপারে করেছেন। একজন মাওলানা সাহেবকে নজরুলের এই তথ্য দিছিলাম। তিনি না পেরে যুক্তি দিছেন, বিয়ের আগে খেলা ধুলা করলেও তিনি তো যার সাথে খেলছেন তারেই বিয়া করছেন। এখন আপনিও যদি এই যুক্তি দেন তাইলে আমার কিছু বলার নাই। আমি ভাই স্বল্প জ্ঞানী মানুষ।
আপনার মতানুসারে নারী কেলেঙ্কারী থাকার কারণে সৈয়দ হক, হুমায়ুন খারিজ, যদিও এর একটা কেলেঙ্কারিও প্রমাণিত না, তাহলে তসলিমার পুরুষ কেলেঙ্কারী তো সর্বজনবিদিত আর আপনার মতো জ্ঞানী মানুষের এটা জানা থাকারই কথা। তাইলে আপনার যুক্তিমতেই তসলিমার কোন রেফারেন্স গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না। আমি আপনাকে সেই যুক্তিই দিছিলাম, আপনার ব্যক্তি আক্রমণ মনে হইছে।
আরো সমস্যা আছে, তসলিমারে গ্রহণ করতে হইলে আপনার মহতি আহমদ ছফাকেও বর্জন করতে হবে, শামসু সাহেবের মতো। আরো অনেক সাহিত্যিককেই বর্জন করতে হবে, সেই লিস্ট দিলাম না। আহমদ ছফার ব্যাপারেও তসলিমার কাছাকাছি কথাবার্তা আছো। আহমদ ছফার আনুপুর্বিক তসলিমা শিরোনামে একটা বই আছে পইড়া দেখতে পারেন।
মাওলানা সাহেব নজরুলরে বাদ দেন নাই কেন? কারণ মাওলানা সাহেব নজরুলকে পছন্দ করতেন। আমি যদি নজরুলের আরো বড় কোন দোষ দেখাইতাম, মাওলানা সাহেব নজরুলের পক্ষে একটা যুক্তি বের করে নিতেন। এটা হিউম্যান সাইকোলজি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে যারে পছন্দ করি না, তারে খারিজ করার জন্য আমাদের কোনরকম একটা দোষ বাহির করতে পারলেই হয়। ঐটার উছিলায় আমরা তারে, তার ইহকাল পরকাল খারিজ করি। নয়তো কোন যুক্তিতেই আপনার মতো জ্ঞানী মানুষ হুমায়ুন-শাওন ইস্যুতে হুমায়ুনকে খারিজ করতে পারেন না। কারণ শাওনের সাথে হুমায়ুনের কোন অবৈধ সম্পর্ক ছিলো না। তারা বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী। আর গুলতেকিনকে হুমায়ুন বাংলাদেশি আইনে ও ধর্মীয় আইনে তালাক দিয়েছিলেন। সেইটা উচিৎ-অনুচিৎ কিনা, সেইটা ভিন্ন বিতর্ক। আপনার মতো জ্ঞানী মানুষ কখনোই এই কারণে হুমায়ুনকে খারিজ করতে পারে না। তাইলে আপনি এটা কেন করলেন? কারণ আপনি আগে থেকেই তাকে পছন্দ করতেন না। হতে পারে তা আদর্শিক কারণে বা অন্য কোন কারণে। তখন আপনার জন্য একটা উছিলা দরকার ছিল। শাওনের ঘটনাটা হুমায়ুনকে খারিজ করার একটা উছিলা। একই কথা হক সাহেবের ব্যাপারে আপনার চুলকানির বেলায়ও প্রযোজ্য।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে উমর নামে মিস্টিক এক কবি ছিল। এই উমর আমাদের খলিফা উমর না। সে নবী (সাঃ) এর উপর ঈমান না এনেই মৃত্যু বরণ করে। নবীজী (সঃ) সাহাবীদের মধ্যে যারা উমরের কবিতা জানতেন, তাঁদেরকে ডেকে এনে উমরের কবিতা শুনতেন। সাহাবীরা জানতে চাইলো, উমর তো মুসলমান ছিল না, আপনি কেন উমরের কবিতা শোনেন? নবীজি (সাঃ) তাঁদেরকে উত্তর দিলেন, উমর ইসলাম গ্রহণ করেনি, কিন্তু তার কবিতা তো ইসলাম গ্রহণ করছিল। আপনি জ্ঞানী মানুষ, আশা করি বুঝে নিবেন কেন এ ঘটনাটি বললাম।
চাঁদগাজী সাহেব সম্পর্কে যা যা বলছি, যেভাবে বলছি- সজ্ঞানে, বুঝে বলেছি এবং সঠিক বলেছি। গাজী সাহেব কমেন্ট করতে না পারলেও পোস্ট লিখতে পারেন, সেখানে কমেন্ট করতে পারেন। সৈয়দ শামসুল হক এখন সেটাও পারেন না। সুতরাং এখন তাকে কেউ স্ট্যান্টবাজ বললে তার জবাবও তার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তবে যিনি এটা বলেছেন, তিনি তো তার ব্যাখ্যা একটা পোস্টে দিতেই পারেন। আপনি এই প্রসঙ্গে এই লোকের কমেন্টগুলো ভালভাবে পড়েননি। তাই তার স্ট্যান্টবাজ বলার একটি কাল্পনিক ব্যাখ্যা আপনি দিয়েছেন। আশা করি, তার সবগুলো কমেন্ট পড়লে, আপনি জ্ঞানী মানুষ, বুঝে যাবেন। ব্লগে আমার যখন ১০ দিনও হয় নাই, চাঁদগাজীরে আমি তখনো উষ্ঠা মারি নাই, তখনই তিনি আমাকে রগকাটা ট্যাগ দিয়া দিছেন, কোন কারণ ছাড়াই। (যদিও তখন আপনি বা মডারেটর ভাই আগায়া আসেন নাই, যেভাবে এখন আসছেন।) গতকাল তিনি আমাকে একই ট্যাগ দিয়া একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্টও লিখছিলেন, কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তা সরায়া নিছেন। সে সব নিয়া তো আমি কিছু বলি নাই। আমি তাঁর সম্পর্কে যে মূল্যায়ন করেছি, তা সর্বৈব সঠিক বলেছি।
এবার আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার সম্পর্কে একটি সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য। হ্যাঁ, আমি স্বল্পজ্ঞানী। নিজেকে আমি এটাই মনে করি। আমি হচ্ছি সক্রেটিসের বিচারে সেই স্তরের জ্ঞানী যারা জানে যে তারা জানে না। তবে আরেক স্তরের জ্ঞানীর কথা বলে শেষ করি, এরা জানে না যে এরা জানে না।

৩৪| ২০ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৪৫

নূশাদা বলেছেন: ভাই অতিরিক্ত ভালো লাগল

২০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় নূশাদা, আপনার জন্য অতিরিক্ত ভালোবাসা।

৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৪

আমি রানা বলেছেন: রাজন ভাই কাজটা কি ঠিক করলেন?? সৈয়দ হকের কাজ যে পড়েই নাই, তারে নিয়া এত সময় নষ্ট করলেন। এত এত লেখা না লিইখা সৈয়দ হক সাহেবের ২-৪ টা গল্প পড়তেন।

২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: রানা ভাই, হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক আছে 'পিশাচ'। ওইখানে একটা সংলাপ আছে, "পিশাচ মারতে পিশাচ লাগে। ভাল মানুষ দিয়া পিশাচ মারা যায় না।" একটু পিশাচ হওয়ার চেষ্টা করলাম।

৩৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: রানা ভাই, হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক আছে 'পিশাচ'। ওইখানে একটা সংলাপ আছে, "পিশাচ মারতে পিশাচ লাগে। ভাল মানুষ দিয়া পিশাচ মারা যায় না।" একটু পিশাচ হওয়ার চেষ্টা করলাম।


হা হা ভাইয়া এই কথা কোন গল্পে বলেছিলো??

তুমি দেখছি বাংলা সাহিত্যের আঁধার!!!!


বাংলায় অনার্স করেছিলে নাকি ভাইয়া???


তুমি পিচাশ হবার চেরেষ্টা চালাইয়াছো কিন্তু তুমি সাহসী পিচাশ আবার ভালোই গিয়ানী পিচাশও দেখা যাচ্ছে।

সাধে কি আমি তোমার ফ্যান হয়ে পড়েছি ভাইয়ু!!!


তোমার কমেন্ট পড়ে পড়ে যদিও কারো একটু গিয়ান অর্জন বাড়ে আমার মত তাহলেই তোমার জ্ঞান দান একটু হলেও সার্থক হবে....

দারুন বলেছো ভাইয়া...... কমেন্ট ব্যান বলে তাকে কেউ কিছু বললে যদি সেই লোকেরই দোষ হয় তবে মরা মানুষের নামে বললে সে কি ভূত হয়ে ঘাড় মটকাবে???


আল্লাহ করে সৈয়দ শামসুল হকের ভূত ভাইয়ার ঘাড়ে এসে বসুক। তারপর ভাইয়াকে দিয়ে আরেকটা পোস্ট লিখাক । হা হা হা

২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: শায়মা আপু, আমিও আপনার ফ্যান। আপনি কমেন্ট করলে কেন জানি খুব আনন্দ লাগে।

এই সংলাপটি হুমায়ূন আহমেদের একটা টিভি নাটকের, নাটকের নাম ‘পিশাচ মকবুল’। এই লিংক থেকে নাটকটা দেখে নিতে পারেন: https://www.youtube.com/watch?v=G5Y1fs5f10M
নাটকের শেষ সংলাপ এই্টা, গায়ে কাঁটা দিয়া উঠবে যখন দেখবেন।

আপনার ভাইয়ু বাংলায় পড়ে নাই, ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা করা মানুষ। যদিও এখন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্মমেকিং পড়াই। ইংরেজি সাহিত্যের ধারে কাছেও নাই।

আর বাকী যা বললেন তা আপনার বিনয়। জ্ঞান টেন কিছু নাই আমার, সবার আমি ছাত্র।

সৈয়দ শামসুল হক এসে এর ঘাড় মটকানো ছাড়া আর কোন উপায় তো দেখতেছি না।

আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যিই ভালো লাগে, দুই/তিনবার করে পড়ি।

ভালো থাকবেন।

৩৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হক একজন উঁচু মানের সাহিত্যিক। শুধু তাই নন তার লেখা আমার ভালো লাগে। বক্তা হিসেবে ও উনি অসাধারণ। তাই বিনম্র শ্রদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক। এখানে একটা বিষয় না বলে পারছিনা। সেটা হলো আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতে গর্ববোধ করি। স্বপ্রণোদিত হয়েই লিখি। এই যে স্বপ্রণোদনা এটা কিন্তু ঐশ্বরিক। মানে স্রষ্টার অনুমোদনে লিখি। এটা আমি বলতে পারি। কাউকে হেয় করে নিজেকে বড় মনে করা অসুস্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। এমন মন মানসিকতা কে ধিক্কার জানাই। ভালো কাজের প্রশংসা করা চাই। তবেই তো ভালো কাজ উৎসাহিত হবে। উৎকর্ষতা লাভ করবে বাংলা সাহিত্য। কলম খুব শক্তিশালী। তলোয়ারের চেয়েও তা অনেক শক্তিশালী। শুধু রাজপথে রক্ত দিয়ে আন্দোলন করে মুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি। আমাদের পূর্ব সুরি কলমযোদ্ধা তাদেরও ব্যাপক অবদান আমাদের স্বাধীনতার পটভূমিকায় ও মুক্তিযুদ্ধে। এসব কলম যুদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই


আপনাকেও ধন্যবাদ বিষয় টি আমাদের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য। সুন্দর লিখেছেন। +

২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সেলিম ভাই, কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার প্রোফাইল পিক হিসাবে যার ছবি ব্যবহার করেছেন, তিনি আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ।

৩৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

শায়মা বলেছেন: আহা ভাইয়া তাই নাকি?

তাইলে রোজ রোজ এসে একটা করে কমেন্ট দিয়ে যাবো।

আমি আনন্দপ্রিয় মানুষ আর তাই অনেকেই হয়ত আনন্দ পায় আমার কর্মকান্ডে কিন্তু যারা পাঁজির পা ঝাাঁড়া শয়তানের লাঠি মানুষ তারা বলে ঢং দেখে আর বাঁচিনা। :P

তাতে অবশ্য আমার কিচ্ছু যায় আসে না।

আমার তাতে আরও বেশি আনন্দ লাগে। হিংসুটে আর পাঁজি মানুষকে শাস্তি দেবার এটাও এক পন্থা! :P

যাইহোক তুমি বাংলায় না পড়লেও ইংরেজী সাহিত্যে তো পড়েছো তাই এত সাহিত্য বিশারদ এইবার বুঝেছি।

আর সাহিত্য পড়া তো দূরের কথা সাহিত্য ও সাহিত্যকের স না জেনেও যদি কেউ লাগতে আসে লাগার জন্য তাহাকে বলা হয় অবার্চীন বালক। নাহ তবুও হলো না অবার্চীন বুড়া বালক! :P

আমিও অনেক ফিল্ম মেকিং করি......

তবে আমার মনে যা আসে তাই দিয়ে করি। জীবনে নাচ ছাড়া আর কোথাও কিছুই শিখিনি তবুও করি । যা মনে চায় তাই.....

বিশ্বাস না হয় আমার পোস্ট ঘুরে দেখো কত ফিল্ম বানিয়েছি আমি অং বং চং। আর এই অং বং কাজের জন্য আমার স্কুল আমাকে বিখ্যাত বানিয়ে দিয়েছে। এখন নানা স্কুলেই আমার পাপেট শো এবং আমার গল্প বলা করানো হয়।

আমি এখন স্টোরী টেলার হয়ে গেছি এই করোনায় হা হা

অনেক ভালো থেকো ভাইয়ামনি। অনেক অনেক ভালোবাসা।

২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ওয়াও শায়মা আপু। আপনার অং বং চং কাজ তো খুব সুন্দর হইছে! আপনি খুব ভালো গল্প বলেন। আপনি ছবি নিয়েও অনেক কিছু জানেন।

পাপেট নিয়া আমার একটা কাজ আছে, এক ব্রিটিশ গায়কের জন্য মিউজিক ভিডিও বানাইছিলাম, সেটা করছিলাম পাপেট দিয়া। এই লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন কাজটা: Click This Link

আপনার সাথে ভবিষ্যতে কখনো সুযোগ হলে একটা ভিজুয়াল কাজ করবো।

অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেন।

৩৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।

এবারের অনলাইন পাপেট শো পুরাই ওয়ার্ক ফ্রম এন্ড হোম এলোন ম্যুভি বানিয়ে দিয়েছে জীবনটা।

একা একা ভয়েস দিয়েছি ছেলে মেয়ে বুড়া বুড়ি কুকুর বিড়াল সব গুলারই। তবে হঠাৎ মাথায় খেলেছিলো এক আইডিয়া। ভয়েস চেঞ্জার এপস দিয়ে একেক জনের একেক ভয়েস। বানাতে গিয়ে সময়াভাবে সব পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও দিতে হলো। তবে আবার একটা ব্যাপার আছে আমার নিজের কাজ জীবনেও ১০০ পছন্দ হয় না। মনে হয় আরও ভালো হত। :(

কি আর করা এটাই মানসিক রোগ আমার। :(

এখন গিয়ে তোমার লিঙ্কটা দেখি। :)

৪০| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
পাপেট দিয়ে গানটা দেখলাম আর শুনলাম।
আর এইবার তোমার ডাবল ফ্যান হয়ে গেলাম।

খুঊঊঊঊঊঊউ বি সুন্দর হয়েছে......... :)

আরেকজনকে লিঙ্কটা পাঠিয়ে দিলাম।

মনটা খারাপ হলো যদিও...... সেটা নিয়ে কোনো দিন লিখতে পারি পরিচিত বা অপরিচিত নামে। :)

২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সরি শায়মা আপু, আজকে সারাদিন ব্লগে ঢুকি নাই। আমার ভার্সিটিতে সেমিস্টারের শেষ দিক চলতেছে, ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। তাই আপনারে রিপ্লাই দিতে দেরি হইলো।

কেন, আপনার মন কেন খারাপ হইলো? আমার পাপেটের ভিডিও দেখে?

আহা আপনি যদি লেখেন সেইটা নিয়া, তাইলে তো খুউউউউউ ভালো হবে। আই এম ইগারলি ওয়েটিং।

আপনার একা একা পাপেট শো বানানোর কথা শুনে খুব মজা লাগলো। অনেক পরিশ্রমের কাজ করলেন আপনি, ওয়ান ওমেন আর্মি। কাজটাও খুব ভাল হইছে ফাইনালি। তবে ‍সত্যিকারের সৃজনশীল মানুষ নিজের কাজ নিয়া কখনোই ১০০ভাগ সন্তুষ্ট হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.