নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার মানুষ গুলোকে নিয়ে "কবিতা লিখা"

ভালবাসার মানুষ গুলোকে নিয়ে "কবিতা লিখা"

মাসুদুর আর েখাকন

"সুন্দর একটি মানুষ চাই" "সুন্দর একটি মন এমন একটি মানুষ পেলে সপিবো জীবন।

মাসুদুর আর েখাকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অভিশাপ"

২৪ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

"ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে এ রকম অভিশাপ পেতে হবে।এটা আমি স্বপ্নে ও ভাবিনী। সে কথা মনে হলে মনে হলে এখনো আমার কষ্টে বুকটা ফেটে যায়।দূচোখে ঝড়ে বৃষ্টির ন্যায় অভিরাম বর্ষণ।আর মাঝে-মাঝে চাপা কান্নায় লুকিয়ে রাখি নিজের বুকটাকে।(বাস্তব কাহিনী)..........।এক দিন আমার ক্লাশমেট লিপির বিয়ে।অবশ্য ওর ছোট ভাই রুবেল ও আমার ক্লাশমেট।দুই ভাই বোন এক সাথে পড়াতে দু জনের সাথেই আমার ভাল রিলেশন।কিন্তু রুবেল হচ্ছে আমার স্টুডেন্ট লাইফের বেস্টফেন্ড।বন্দুর বোন তথা ক্লাশমেটের বিয়ে যেতেই হবে।গায়ে হলুদের দিন সন্ধায় আমরা সবাই অনেক ইনজয় করছিলাম।কিন্তু এ ফাঁকে ফাঁকে (নাহার)এর ফোন আসছিল আমার মোবাইলে।আমি একটু আঁড়ালে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করে বললাম,আমি একটু ব্যাস্ত আছি তোমার সাথে পড়ে কথা হবে।এই বলে ফোনটা আমি কেটে দিলাম।আবার আমরা ইনজয় শুরু করলাম।আমার মোবাইলটা চাইনিজ থাকাতে কখন যে চার্জ শেষ হয়ে গেছে,আমি একটু টের পাইনী।হয়তো এই সময় টুকুর মধ্যে(নাহার) আমাকে অনেক ট্রাই করেছে কিন্তু পাইনী। না পেয়ে হয়তো মনে-মনে ভেবেছে আমি ইচ্ছা করে ফোন বন্ধ করে রেখেছি।রুবেলদের বাড়ীতে বিদ্যুত না থাকাতে চলে গেলাম আমাদের বাড়ীতে,শুধু মাএ মোব্ইলটি চার্জ দেওয়ার জন্য।পরের দিন বরযাএী আসার সময় হয়ে গেছে, আকাশে মেঘের আহবান হয়তো বৃষ্টি হতে পারে। প্যানড়েলের ভিতরে বাড়ীর মেহমান দেয়।আপ্যায়ন করছি,এর মধ্যে আমার মোবাইলে ফোন আসলো।বাম হাত দিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে দেখি(নাহার)আমাকে ফোন করছে।তাই একটু দ্রত ফাকে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলতে লাগলাম (নাহার)এর সাথে,কথা বলার মাঝে, কখন যে বরযাএী এসে গেছে আমি একটুও বুঝতে পারীনি।আমাকে না পেয়ে রুবেল অনেক অস্থির।খুজতে খুজতে যখন প্যানডেলের পাশে এসে গেল,তখন দেখতে পেল আমি কারো সাথে কথা বলছি।তাই ও রাগ করে,দুষ্টুমির ছলে আমাকে থাপ্পর মারলো আর এই সুযোগে আমার হাত ফসকে মোবাইলটা মাটিতে পড়ে গেল।কি আর করা মাটি থেকে তুলে দেখি।মোবাইল এর স্কীন এ লাইট নেই,হয়তো রেভন কেটে গেছে, সাউন্ড ও হচ্ছে না।ফোন আসছে কিন্তু বুঝা যাচ্ছেনা কার ফোন।আর আমি সময় মত রিসিভ করতে পারছিনা সাউন্ড না থাকাতে,বিয়ের জামেলা শেষ,স্ট্রাডির চাপের কারনে পরের দিন দুপুরের খাবার খেয়ে ঢাকা চলে আসলাম।সন্ধা সাতটায় এক বন্ধুকে বললাম,চল গুলশান গিয়ে মোবাইলটা ঠিক করে নিয়ে আসি।বন্ধু আমাকে বললো আজ করতে হবে না কাল করিস।আজ রেস্ট কর,বন্ধুর অনিশ্চার কারনে আমিও বেশি একটা আগ্রহবোধ করলাম না।সে রাতেই ঘটলো এক বিশাল ঘটনা,বালিশ এর নীচে মোবাইল রেখে ঘুমিয়েছি,রাতে ভালমত ঘুম হয়নি,(নাহার)এর চিন্তায় না জানি সারা দিন,রাতে কত বার ফোন করেছে আমাকে,কিন্তু শেষরাতের দিকে একটু ঘুম-ঘুম আসাতে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম,সকাল আট টার দিকে হঠাৎ করে আমার মোবাইলে ফোন আসছে,আর সাউন্ড হচ্ছে,কি আর্শ্চয,কি ভাবে সম্ভব,হয়তো চায়নীজ ফোনটি থাকাতেই এই কাজটি হয়েছে।তারা তারি মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখি,(নাহার)এর ফোন, আহারে না জানি রাতে কতবার আমাকে ফোন করেছে,মেভি একশো বারতো হবেই।ফোনটা রিসিভ করে হ্যালো বলতেই (নাহার)এর কন্ঠ থেকে শুনতে পেলাম এক মহা ভাষন....।শয়তান,বেঈমান,আমি তোমাকে অভিশাপ দিলাম, তুমি কোন দিন সুখী হতে পারবে না,তুমি আমাকে ভালবাসনি,তুমি আমার সাথে ছলনা করছো,(নাহার)কথা শুনছি আর আমার দু চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে,ভলবাসার মানুষের কাছ থেকে সকাল-সকাল এই কথা গুলো শুনতে হবে,আমি কোন দিন ভাবিনী।আজ (নাহার) আমার নেই, সে আজ আমার থেকে অনেক দুরে।আর আমি আজও সুখী হতে পারীনি।কোন আনন্দ ক্ষন মু্র্হু্তে আমি হাসতে গিয়ে ও থমকে দাঁড়াই,থেমে যাই,হয়তো (নাহার)এর অভিশাপে আজ এই আমি..........তবুও আমি সব সময় বলি (নহার) যদি আমাকে মন থেকে অভিশাপ দিয়ে থাকে সেটা যেন আমি পাই।(নাহার)এর অভিশাপই এক দিন হয়তো আমার জীবনে সুখের আর্শিবাদ বয়ে আনবে।(নাহার তুমি যেখানে থাক,ভাল থেকো, তোমার জন্য আমার অনেক ভালবাসা......।শুভ কামনা......।(মাসুদূর রহমান(খোকন)...অরঙ্গবাদ,দোহার,ঢাকা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.