![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
কোথা থেকে তুমি এসেছো..?
আমাকে সত্যি বলো ।
আমি খুলে দেখেছি এক লক্ষ উপন্যাসের তাজা চরিত্র।
এরকম নেই।
আমি পাঠ করেছি কোরআন, গীতা, আর ত্রিপিটক।
এরকম ভাবে কিছুই নাড়িয়ে দেয় নি আমূল।
রবীন্দ্র নাথ-এর মিষ্টি গানের চরনে চরনে,
প্রতিটি সুরের রাগের চলনে,
জীবন বাবুর নীরব গভীর সবুজ শব্দে
অভিমানে ঘোরা ট্রামের চাকাতে,
পাই নি তোমাকে,
যেভাবে পেয়েছি
তোমাকে তোমার মাঝে।
কীভাবে ভালোবাসলে -তার থেকে আর বেশী ভালোবাসা যায় না..
কীভাবে কাছে আসলে..এ হৃদয় আর আরো বেশী কাছে চায় না !
কীভাবে ব্যকুল হলে, ব্যকুলতা গুলো
সমস্ত বকুল গাছে বকুল হয়ে ফোটে !
কীভাবে তোমাকে বুকে জড়িয়ে নিলে
এই নষ্ট পৃথিবী হয়ে যায় এক গোলাপের সরোবর !!
আমি তোমার ভেতরে এভাবে প্রবেশ করেছি
যেভাবে পারে না কোনো মামুলি পুরুষ !!
অক্সিজেন হয়ে তোমার নাকফুল ছুয়ে
আমি চলে গেছি তোমার ভেতর থেকে ভেতরে।
হয়ে গেছি তাই , ইতিহাসে পরমায়ু।
আমি তোমার রক্ত অনুতে
প্লাজমার বুকে গড়েছি নতুন আবাসন।
তুমি আমার ভেতরে গেঁথে দিয়েছো অদৃশ্য শেকড়।
সাইবেরিয়া হয়ে গোপনে আমার কোষে , তুলেছো কম্পন।
আমাকে পেরিয়ে আমি গিয়েছি পলকেই।
কাশফুলের শরীর থেকে
দেখতে দেখতে
বদলে গিয়েছি মেঘের তুলোতে।
তুমি আমাকে আলিঙ্গন করবার আগে
আমি বেঁচে ছিলাম দোয়েল পাখির শরীরে, হিজলের ডালে।
তুমি আমাকে কাঁদামাটি থেকে
শালুকের মতো কুড়িয়ে নিয়েছো।
ডিঙি নৌকায় ভাসতে ভাসতে
শাপলার মতো উঠিয়ে নিয়েছো।
তুমি আমার স্বপ্নের ভেতর থেকে স্বপ্ন খনন করে
জানিয়ে দিয়েছো -
আমি কী আশ্চর্য প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার !
আমি,
তোমার দু'ঠোটের কম্পনের দিকে
আলাদা করে তাকিয়ে দেখেছি
কিছু একটা বলতে গিয়ে
তুমি আমায় বলো নি বলো নি !
আমি তোমাকে একটি সন্ধ্যায় অন্যমনষ্ক হাঁটতে দেখেছি
এভাবে আর কোনো দেবীর প্রতিমা, দেখি দেখি নি।
আমি একটা ঝড়ে পড়া তারার মতো নদীর জলে ডুবে -
নিয়েছিলাম মেনে আমার আশ্চর্য-অন্ধকার।
কিন্তু, তখনও আমি জানি নি
সে ছিলো আমার তারা জীবনের রুপক সমাপ্তি !
নক্ষত্র- জীবনের সূচনা-সন্ধিক্ষণ !!
তুমি কখনো চেয়ো না আমার কাছে একটি আকাশ ।
কেননা, তোমার জন্য রেখেছি আমি একটি সম্পূর্ন পৃথিবী।
মাইক্রো-বাইয়োলজির পরিপূর্ন বিদ্যা আমার জানা নেই।
তবে জানি- আমার কোষে কোষে সেদিন শ্লোগানের মতো
ধ্বণিত হয়েছিলো-
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই।
সেই মোহময়,পবিত্র আহ্বান ছিলো
প্রাণের সঙ্গে প্রিয় কোন গানের মতোই অ-চ্ছিন্ন ।
আমি টুকটুকে সূর্যের বুক থেকে
নিতে চেয়েছিলাম একটু সিঁদুর।
পাহাড়ী পথের মতো তোমার সিঁথিতে
আঁকতে চেয়েছিলাম এক
অপ্রতিরোধ্য তিলক।
তোমার চোখে আমি দেখেছি প্রেম
এবং দেখেছি
যা কিছু যায় না দেখা
খালি চোখে, সখিতমা।
মানুষের নিয়মে অনেক ভাবতে ভাবতে মানুষেরা ভুল করে।
একটি ফুলের ঘ্রাণে প্রাণ উজাড় করতে এত ভাবনার অবকাশ কোথায় ?
একটি তৃষ্ণার্ত পাখির স্বচ্ছ ঝিলে পান করতে এত ভাবনার অবকাশ কোথায় ?
একটি জন্মের মুহূর্তে চিতকার করে জানান দেবে একটি শিশু নিজের অস্তিত্ব
-----এতো ভাবনার অবকাশ কোথায় ?
যা হয় ,
প্রাকৃতিক ভাবে হয় ।
অনেক কিছুই শত চেষ্টায়
ঠেকিয়ে রাখার নয়।
অনেক কিছুই - চেষ্টা করেও
যায় না পাওয়া জয়।
অভিমানে কত কাল ধরে নীরবে কাঁদো-
তোমাকে কেউ কি সত্যি বোঝে নি ?
কোথা থেকে তুমি এসেছো..
আমাকে সত্যি বলো ?
এখনো কিন্তু কিছুই বলো নি।
না বলে যদি , বলার থেকে অধিক বলা যায়
বলার তবে কী আর প্রয়োজন ?
এসো তোমাকে করি পাঠ , পবিত্র অন্তরে
খুলে দাও তোমার বদ্ধ তালা , মন।
ফুলের বিছানা হয়ে যাক এই পুরোটা নীলিমা..
তুলির আচড়ে এঁকে দেই আমি মেঘের ঠিকানা।
তোমাকে কি ছুয়ে যাচ্ছে না এই ব্যর্থ শব্দ ফুল ?
তুমি কি এসেছো
নজরুল আর সুকান্তর সুকঠিন বাস্তবতা থেকে ?
এসো তোমার বাস্তবতাকে, আমি নতুন স্বপ্নে
বিবর্তিত করে দেই ।
তোমাকে যোগ্য করে তুলি
করে তুলি এক অসম্ভবের সমান।
আমার শান্ত দীঘির মতো হৃদয়ে...
সমুদ্র -সমান বিপুল তরঙ্গে উতলা করে দিয়ে ..
তুমি, কোথায় লুকিয়ে রইলে আমার অবাক জোছনা ?
তোমাকে আলিঙ্গন করার পর থেকে
আমি হয়ে আছি বুকে সমুদ্র বয়ে বেড়ানো এক অবাক পাথর !!
আমার সাম্রাজ্যের সব মণি মানিক্য হয়ে গেছে যেনো ধুলোর সমান।
তোমাকে আমি উড়তে দেই , কোথায় পাবো এতো বড় আর বিশাল আসমান ?
আমি একটা
নুড়ি পাথরের মতো
সবার অলক্ষ্যে
পথিকের পায়ে গড়াগড়ি খাচ্ছি।
আমি একটা গুল্মলতার মতো নিজের ভেতরে
লুকিয়ে যাচ্ছি।
আমাকে আরো একবার আলিঙ্গন করে বলো...
আর কোনো দিন
আর কোনো দিন
আর কোনো দিন
তুমি হারিয়ে যাবে না।
সজোরে চেপে রাখো তোমার স্বপ্ন স্বপ্ন ওমে
তোমার বাহু-বন্ধনে আমি ছড়াই সলজ্জ প্রেম
কাম-ঘ্রান।
দেবদারু বন সটান দাড়িয়ে
ছুঁতে চাক নীলাকাশ।
কথার ভেতরে কথাকে লুকিয়ে
খুঁজে ফিরি আশ্বাস।
বাতাস যেভাবে বিলি কাঁটে তোমার চুলে
সেভাবে আমার শরীরে বোলাও তোমার জাদুকরী আঙুল। !!
একটা একটা করে ফুল হয়ে যাক..
এই জীবনের যত ভুল।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩
নিমা বলেছেন: তুমি আমাকে কাঁদামাটি থেকে
শালুকের মতো কুড়িয়ে নিয়েছো।
ডিঙি নৌকায় ভাসতে ভাসতে
শাপলার মতো উঠিয়ে নিয়েছো।
তুমি আমার স্বপ্নের ভেতর থেকে স্বপ্ন খনন করে
জানিয়ে দিয়েছো -
আমি কী আশ্চর্য প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার !
শব্দ গুলো অসাধারন
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৮
তামজি বলেছেন: সুনেডর
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৫
ৃৃৃশান্ত বলেছেন: কবিতাটা পড়ার পর লগ ইন না করে থাকতে পালাম না। মেয়েলি ঢংয়ে বলতে ইচ্ছে করছে
অঅঅঅঅঅঅঅঅনেনেনেনেনেনেনেনেনেকককককককককক সুন্দর.........।
বললাম।
+++ প্রিয়তে।
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৪
হাম্বা বলেছেন: ব্লগে মনে হয় এই ১ম এতকড় কবিতার পুরোটা পড়লাম
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৫
দেহপূজা বলেছেন: ওরে বাবা! এই না হলে কবিতা? অনেক সুন্দর, অনেক।