নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন হাতে হাত রেখে অন্যায়ের বিরোধে প‌্রতিবাদ করি

অন্যায়ের বিরোধে প‌্রতিবাদি হতে চাই

দূরবী৩২১

অন্যায়ের বিরোধে প‌্রতিবাদি হতে চাই

দূরবী৩২১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগে যেতে চাওয়ায় ছাত্রদের পেটালো ক্যামব্রিয়ান | জামাত শিবীরের আস্তানা গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

শাহবাগের গণজাগরণে শরিক হতে চাওয়ায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৪-১৫ জন শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নিয়েছে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়া হয়েছে এক ছাত্রকে। অন্যদেরও টিসি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্কুল সূত্র।



এ পরিস্থিতিতে জামায়াতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলটিতে আর না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



তারা জানান, গত বুধবার অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে শাহবাগ যাওয়ার আবেদন করার পরপরই তাদের বারিধারার জামালপুর টাওয়ারে স্কুল ও কলেজ শাখার সভাকক্ষে ডেকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।



শিক্ষার্থী পেটানোর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দাঁড় করায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা শুধু শাহবাগ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদনই করেনি, তারা শাহবাগের আন্দোলনে শরিক হতে অন্য ছাত্রদেরও প্রলুব্ধ করেছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে মনে করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্র্থীদের ওপর নির্যাতন চালায়।



এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত হোসেন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নম্বর-৭৬৯) করেছে। অন্য ছাত্রদের অভিভাবকরা এ ঘটনার প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানা গেছে।



নির্যাতিত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাহিম জানায়, তাকে শুধু অমানুষিক নির্যাতন করাই হয়নি, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি দেওয়া হয়েছে। এতে তার শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।



নির্যাতনের শিকার একাধিক ছাত্র বলে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে আবেদনপত্র নিয়ে অফিস কক্ষে যাওয়ার পরপরই পেটানোর পাশাপাশি তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট ভেঙে ফেলা হয়, যাতে ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে কাউকে না জানানো যায়।



নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ঘরে বসে টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে নতুন প্রজন্মের গণজোয়ারের দৃশ্য প্রতিদিন দেখছে। ওই গণজোয়ারে শরিক হওয়ার জন্য ক্যামব্রিয়ান কলেজের সব শিক্ষার্থীর পক্ষে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশের জন্য লিখিত আবেদন করে। এতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ খেপে যায়।



নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বেদম পেটানোর সময় বলা হয়, শাহবাগ যাওয়ার খায়েশ মিটিয়ে দেওয়া হবে।



অভিভাবকরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই পারে। তার অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার এখতিয়ার কলেজ কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তাই বলে এ জন্য তাদের পিটিয়ে আধমরা করার অধিকার তাদের নেই।



আরাফাত হোসেনের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্যামব্রিয়ান কলেজের এমন ন্যক্কারজনক আচরণে যুদ্ধাপরাধীর পক্ষের চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।



শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তরালে জামায়াতি পক্ষপাতিত্বের কথা জানলে কখনো সেখানে সন্তান ভর্তি করতেন না বলেও জানান এই অভিভাবক।



একাধিক ছাত্রের অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করতে চাওয়ার জন্য এ ধরনের ঘটনার শিকার হওয়া দেশে নজিরবিহীন। এরইমধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও পর্যায়ক্রমে টিসি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।



এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার দুই ছাত্রকে বেত দিয়ে মারার কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে অন্য শিক্ষার্থীদের জড়ো করছিল, যার প্রেক্ষিতে তাদের শাসন করা হয়েছে। কারণ এ প্রতিষ্ঠানে কোনো ঘটনা ঘটলে এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে।



কোনো ছাত্রকে বেত দিয়ে মারধোর করা আইনসঙ্গত কি না- সে প্রশ্ন তুললে চেয়ারম্যান বাশার নিরুত্তর থাকেন।



শিক্ষার্থীদের শাহবাগ যেতে বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হলে অভিভাবকদের অনুমতি প্রয়োজন। তারা এ অনুমতি না নিয়েই শাহবাগ যাওয়ার জন্য জড়ো হতে থাকে।http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=9eec65366fce025d49148a80c52cfed3&nttl=14022013174028



জামাত শিবীরের আস্তানা গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও

সহযোদ্বা হিসাবে আমার পাশে থাকার অনুরোধ রইলো Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: জামাত শিবীরের আস্তানা গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও ++++++++++++++

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: কোন সাহসে ছাত্রদের পেটায় কতৃপক্ষ? স্কুলে ছাত্র ছাত্রী পেটানো তো বহু আগেই নিষিদ্ধ্ব।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

বলাক০৪ বলেছেন: ক্যামব্রিয়ানকে পিটান।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মুসাফির৭৫৮৪ বলেছেন: ওরে কানশা বরাবর থাবর :-B

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

প্রগতিশীল ইকবাল বলেছেন: Good job cambrian.................

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

ইছামী বলেছেন: দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ক্যামব্রিয়ান কলেজ সম্পর্কিত : আমার ছোট ভাই যে কিনা ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের সাথে সত্য ঘটনার অসংগতি গুলো খুব সংক্ষেপে তুলে ধরছি। আশা করি স্বাধীন ব্লগাররা বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। সাথে একটি ছবিও পাঠালাম।
১. নির্যাতিত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাহিম-এর বরাত দিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বাস্তবে সাহিম নামে অস্টম শ্রেণিতে ক্যামব্রিয়ানের কোনো শিক্ষার্থী নাই।
২. সকাল ১০টার দিকে আবেদন পত্র নিয়ে অফিস কক্ষে যাওয়ার কথা প্রকাশিত হলেও ঘটনা ঘটেছে ৭.৫০ মিনিটে।
৩. ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে মোবাইল আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যা ভর্তি ফরম ও বিভিন্ন নোটিশে উল্লেখ করা আছে। কেউ মোবাইল নিয়ে আসলে তা বাজেয়াপ্ত করা বা নিজ হাতে ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
৪. ১৪-১৫ জন শিক্ষাথীকে পিটিয়ে আহত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে শাসন করা হয়েছে তিনজনকে। একজন ক্লাসে নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা ও অন্য ডিস্টার্ব করার কারণে, ২য় জনকে বার বার নোটিশ করা সত্ত্বেও চুল না কাটার কারণে এবং ৩য় জনকে কলেজ এর ব্যাগ না আনা এবং ব্যাগে বই না এনে জিন্সের প্যান্ট নিয়ে আসার কারণে। (সংযুক্তি) অন্য আরেকজনকে মোবাইল ফোন আনা এবং তা ভেঙ্গে ফেলার কথা বলা হলেও না ভাঙ্গার কারণে।
৫. ঘটনাস্থল বারিধারার জামালপুর টাওয়ারে অবস্থিত স্কুল ও কলেজ শাখার সভাকক্ষের কথা বলা হলেও বাস্তবে এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। উল্লেখ্য জামালপুর টাওয়ারে প্রি-স্কুল হতে পঞ্চম শ্রেণি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। হাই স্কুল সেকশনের কোনো ক্লাস হয়না।
৬. প্রতিষ্ঠান থেকে শাহবাগের না যাওয়ার ব্যাপারে কোনো নোটিশ বা নির্দেশনা দেয়া হয়নি। প্রতিদিনই ছুটির পর ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক শাহবাগের গণজাগরণের প্রজন্ম চত্বরে উপস্থিত হয়। এবং উক্ত আন্দোলনের সাথে একাত্ত্বতা ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। বাস্তবে কাউকে বহিস্কার করা হয়নি বা এ রকম কোনো নোটিশ অদ্যাবধি দেয়া হয়নি।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

ইছামী বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.