![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপ্লবের শুরু থেকেই বিল্পব বিষয়ক পোষ্টসমূহ এবং কর্মসূচীসমূহ লক্ষ্য করছি এবং পালনের চেষ্টা করছি। আন্দোলন বিষয়ক নিন্দুক এবং জামাত-শিবিরের অপপ্রচাররনা এবং আন্দোলনকে নিরপেক্ষ বুঝানোর বিষয়ে অধিকাংশ আন্দোলনকারী ব্লগার এবং ফেসবুক ইউজারকে খুব বেশি তৎপর বলে প্রতীয়মান। তারমানে আন্দোলনকরীরা ডিফেন্স করছে। ডিফেন্স করা বিপ্লবীদের কাজ হতে পারে না। প্রতিটি নতুন সৃষ্টি পুরনোকে ধ্বংশ করে গড়ে উঠে। নিচে একটি সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তাব করলাম। এই ভাবে অথবা আরও শক্তিশালী বিল্পবী বাহিনী গড়ে তুলুন না হয় জীবন নিয়ে এই পিকনিক পিকনিক খেলা বন্ধ করুন।
১। সারা দেশেই তরুন সমাজ নিজ নিজ পরিসরে শাহবাগের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কমর্সূচী পালন করছে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্বত:ফূতর্তা থাকলেও ভাষার স্বল্পতা চোখে পড়ার মত। ফলে দিনমজুর, শ্রমিক এবং রাজনীতি ও ইতিহাস বিমূখ যে মানুষেরা উৎসুক মনে আন্দোলনের সংস্পর্শে আসছেন তাদের যৌক্তিক ও মন:পূত প্রত্যয়ী করা যাচ্ছে না। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর একটা বক্তব্য মনে পড়ল “ আন্দোলন সফল করতে হলে সমাজের সকল শ্রেনীর অংশগ্রহন থাকতে হবে।“
প্রস্থাবনাঃ সামগ্রীক বিষয়বস্তু সহ একটি সাধারন বক্তৃতা ব্লগ বা ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তের আন্দোলনকারীদের সংগ্রহের আহ্বান করা যেতে পারে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং পরিনতি সম্পর্কেও বক্তব্য থাকবে সেখানে। কমর্সূচী চলাকালে তারা প্রদেয় বক্তব্য পাঠ করবে। এতে করে তথ্যগত বিচ্যুতি কমে আসবে এবং আন্দোলনের গতিধারা এবং বক্তব্য সবর্ত্র একই হবে। যে জোয়ার এখন এসেছে তা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবেনা। বতর্মান উদ্যোমকে কাজে লাগিয়ে মতাদর্শী বাড়াতে হবে। যা গত চল্লিশ বছর ধরে পরিকল্পিত ভাবে করছে জামায়াত।
২। দীর্ঘদিন আন্দোলন কমর্সূচী পালনের ক্ষেত্রে আগ্রহ একটি বড় বিষয়। দিন যত যাবে আগ্রহী সংখ্যা ততই হ্রাস পাবে।এমনকি আস্থার সংকটও দেখা দিতে পারে।
প্রস্তাবনাঃ শুরুতেই যতবেশী যোদ্ধাকে সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় করা যাবে তত আন্দোলন কাঠামো মজবুত হবে।প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকাগুলো হতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ন ইউনিট এবং সাংগঠনিক তৎপরতার সম্ভাব্য স্থান। ঘাতক-দালাল-রাজাকার ও তাদের পৃষ্টপোষকরা গত ৪১ বছর কিভাবে বাংলাদেশকে মুল চেতনা থেকে বিচ্যুত করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে তাদের নৃশংসতার বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সবর্সাধারনের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সকলের নিকট স্পষ্ট করতে হবে।
২য় ধাপ: সাংগঠনিক কাঠামো সুসংহত হলে প্রতিটি জেলায় মহাসমাবেশ আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি মহাসমাবেশে পাশ্ববর্তী জেলা সমুহ অংশ গ্রহন করবে। জাগরনের সেই মঞ্চে জেলাসমূহের সমমনা প্রথিতযশা মুক্তিযোদ্ধা,সমাজকর্মী,সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববর্গকে উপস্থিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই কর্মসুচী সফল করার জন্য আমার হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষ্যে এক লক্ষ যোদ্ধা দরকার যাদেরকে আমরা অস্ত্র হিসেবে দেব তথ্য-ভান্ডার।
৩। জেলাসমূহে মহাসমাবেশ বা নিয়মিত কমর্সূচী পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজন সঠিক সমন্বয়। এই সমন্বয়ের জন্য আমাদের পূবর্সূরীদের আরও একবার সবার্ত্বক সংগ্রাম করতে হবে।
প্রস্তাবনা: আমরা বয়সে তরুন। আমাদের পূবর্সূরীরা ৫২, ৭১, ৮৯, ৯২ দেখেছে। তাদের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। অতীতের ভূলের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই প্রয়োজন তাদের নিবিড় দিক-নিদের্শনা। ভাষাআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গনঅদ্ভুত্থান এর নায়কদের সম্মিলিত ভাবে এই আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড, ঘাতক দালাল নিমূর্ল কমিটির মত সংগঠন আমাদের এই জাগরনের জন্য অগ্রজরা তৈরী করে রেখেছেন। এখন প্রয়োজন সুদক্ষ সমন্বয় এবং সঠিক কমর্পরিকল্পনা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাবটি একটু সংকোচ নিয়ে বলছি “ যদিও বিপ্লবীরা নামের বা সুনামের পাগল নয় তবুও নিজ অগোচরের হীনমন্যতা কাউকে যেন পরশ্রীকাতর, দ্বীধাবিভক্ত বা বিপথে পরিচালিত না করে তা নিজেকে নিজে শেখাতে হবে।এই সংগ্রামে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে, আমাদের প্রজন্মের বিশেষায়ন হবে , পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তা নির্ধারিত হবে। হীনমন্যতা ও দ্বীধার দেয়াল যেন কখনই সবর্গ্রাসী না হয়।
দেশপরিচালনার দায়িত্বে আছেন সয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশপ্রেম, দেশত্ববোধ এবং প্রগতির যে রক্ত তার শরীরে বইছে তার উপর আস্থা আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার কারনেই রাখতে পারি। সিদ্ধান্ত গ্রহনে তিনি অনেক বেশি পরিপক্ক। পরিবার, ইতিহাস, দেশ তাকে যে শিক্ষা দিয়েছে তার সমকক্ষ এই বাংলায় এই চেতনার কেউ নেই। বাবার অসমাপ্ত গুরুত্বপূর্ন এই দায়িত্ব পালনে তিনিও বাবার মতই বলিষ্ঠ হবেন এই আশা করা রাজনীতির কোন যুক্তিতেই বাড়াবাড়ি নয়।
বিস্তারিত:
লিংক
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২২
মাসুমডুয়েট বলেছেন: দয়াকরে সারা দেশের অন্দোলনকারীদের সমন্বয় করুন। তাদের রোডম্যাপ দেখান। অনেক স্থানেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
মাসুমডুয়েট বলেছেন: সারা দেশে জামাত-শিবির সংঘবদ্ধ ভাবে তাদের জাত চেনাচ্ছে আর আমরা বিচ্ছিন্ন ভাবে তাদের প্রতিহত করার ব্যর্থ চেষ্টা করছি। দেশব্যাপী গন-জাগরনের স্থায়ী কাঠামো গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। শক্ত সাংগঠনিক কাঠামো ব্যতীত বিপ্লব সফল হবে কিভাবে?
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
মাসুমডুয়েট বলেছেন: নিজের লেখা এই পোষ্ট দেখে আজ নিজের কান্না পাচ্ছে। কি নির্মম ভাবে সত্য হল শংকাগুলো!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৮
মাসুমডুয়েট বলেছেন: গাজীপুরে গত ১৪/০২/১৩ তারখ রাতে শাহবাগ থেকে ফেরার পথে ঢাকা প্রকৗশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে জামাত-শিবির।