![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী নিশ্চিত জামাতের দ্বারা ইমোশনালি এবং হোমোজিকালি ব্লাকমোইলড। তাঁকে হরতাল বহাল রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। আপসহীন নেত্রীকে তার নৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যূত করা হয়েছে। তিনি কয়েকবার বলেছেন এই হরতাল উইথড্রো করা সম্ভব না। তিনি চাইলেও পারবেন না। সাবেক দুইবারের প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে জামাত-শিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বাধ্য হচ্ছেন? জাতীয়তাবাদী সমাজ, কোথায় আপনারা?
প্রাসঙ্গকি অংশ তুলে ধরা হল:
হাসিনা: আগামী ২৮ তারিখ আসেন। আমরা আলোচনা করি।
খালেদা: না, আমি ২৮ তারিখ যেতে পারব না। আপনি যদি সত্যি আন্তরিক হন, ২৯ তারিখের পর ডেট দেন। আমি যাব।
হাসিনা: আপনি কালকে বললেন...
খালেদা: না, আমি কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। এখন সম্ভব না।
হাসিনা: আপনি নিজেই বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনার জন্য না ডাকলে হরতাল দেবেন।
খালেদা: আমি হরতাল দিয়ে ফেলেছি। আগে বলা উচিত ছিল।
হাসিনা: আপনি আপনার বক্তব্যটা আবার শোনেন।
খালেদা: হ্যাঁ, এখন আমি নিজে শুনলেও কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। সঙ্গে সঙ্গেই বলেছি, কর্মসূচিও চলবে, আলোচনাও চলবে।
হাসিনা: আপনি যেহেতু বললেন দুই দিনের মধ্যে..এর আগেই আমি ফোন করলাম। আপনি যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আমি ঠিক সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি আলোচনার জন্য।
খালেদা: আপনি যদি ৩০ তারিখে করতে চান। আমি রাজি আছি।
হাসিনা: আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করেন।
খালেদা: আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। আপনি সময়মতো আমাকে টেলিফোন করেননি। সে জন্য আমি দুঃখিত। কালকে যদি টেলিফোন করতেন পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।
হাসিনা: আপনি কালকেই তো আলটিমেটাম দিলেন। কালকে একটার দিকেই তো আপনাকে ফোন করেছি। তা-ও পাইনি।
খালেদা: ফোন না বাজলে তো আমার কিছু করার নেই। আমি তো বলেছিলাম নয়টার সময় নেতাদের ডাকব, কথা বলব, তখনো তো আমাকে ফোন দিলেন না।...
হাসিনা: আমার জরুরি মিটিং। কোনো মিটিংয়ে আমি দেরি করতে পছন্দ করি না। অলরেডি দেরি হয়ে গিয়েছিল।
খালেদা: আপনি যদি মনে করেন মিটিং বেশি ইমপরটেন্ট না এটা বেশি ইমপরটেন্ট।
হাসিনা: না সব মিটিং তো ইমপরটেন্টই। আমার কথা বলার পর আপনি ১২টার দিকে নেতাদের সঙ্গে বসে হরতালটা প্রত্যাহার করে নিতেন।
খালেদা: মিটিং থেকে বের হয়েও আপনি কথা বলতে পারতেন। তাহলে আমার তখন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।
হাসিনা: আপনি দয়া করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা: এককভাবে আমি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব?
হাসিনা: আপনি বলেন যে, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। সে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করছেন। সে কথা জনগণের সামনে বলেন।
খালেদা: না, সেটা তো হবে না। তাহলে আপনি বলবেন যে, আপনি নির্দলীয় সরকার মেনে নেবেন। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।
হাসিনা: তাহলে আলোচনার কি থাকে? আপা, আপনি কেন আলোচনার জন্যও শর্ত দিচ্ছেন?
খালেদা: আমি কিছুই করতে চাই না। আপনি নির্দলীয় সরকারে রাজি হলে বলেন, না হলে আপনি ৩০ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি করব। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। ২৯ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি আলোচনা করব।
হাসিনা: আমি ২৮ তারিখে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আসেন।
খালেদা: আমি ২৮ তারিখে যেতে পারব না। হরতালের মধ্যে আমি কোথাও যাই না।
হাসিনা: কাদেরকে আনবেন বলেন। আপনি ২৮ তারিখে আসেন।
খালেদা জিয়া: ২৮ তারিখে আমি যাব না। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে রাজি থাকেন ...।
শেখ হাসিনা: ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকেন।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
আখিলিস বলেছেন: যে ভাষায় খালেদা জিয়া কথা বললো তা অন্ত:ত কোন ভদ্র কূটনৈতিক বাচনভংগী না। আর নিজেই আল্টিমেটাম দিল ৪৮ ঘন্টার কিন্তু শেখ হাসিনা ২০ ঘন্টার মধ্যে ফোন করার পরেও উনি হরতাল চালিয়ে গেলেন - মিথ্যাবাদী মোনাফেক একেই বলে। ইস্যু ভিন্ন হতেই পারে কিন্তু তাই বলে নুন্যতম ভদ্রতাবোধ কথার ভেতর থাকবে না কেন? অথচ, শেখ হাসিনা যে যথেষ্ঠ ভদ্রভাবে এবং ঠান্ডা মাথায় কথা বলল, তা শুধুমাত্র বয়রা না হলে সবাই স্বীকার করবে । এইজন্যই মুরুব্বিরা আগে বিয়ের সময় মেয়ের চেহারার চেয়ে বংশপরিচয়কে বেশী গুরুত্ব দিতেন । কে মাইনাস আর কে প্লাস তা সময়ই বলে দিবে, তবে খালেদার আসল চেহারা যে প্রকাশিত, তা আর ঢাকার উপায় নেই।
@ আবুশিথি: ডাইনি কে? যে আলোচনার দাওয়াত দিল সে নাকি শর্তমানার পরেও হরতাল চালিয়ে ১৭ জন মানুষের মৃত্যুর আর শতশত মানুষ কে আহত-পংগু করলো সে ? তবে আপনার ভাষাতেই প্রকাশ যে আপনার নেত্রী কি মানষিকতার অধিকারিনী ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
শিপন মোল্লা বলেছেন: আপনি সঠিক ভাবে বলেন নি যাইহোক ডাইনীটাকে যেভাবে খালেদা জিয়া ধরছিল, এর চেয়ে ভালো আর ধরা যায় না। একেই বলে সত্যিকারের আপোষহীন। ১৫ কোটি মানুষের কথা খালেদা জিয়া একাই বলে দিয়েছে।
অজস্র অভিবাদন খালাদে জিয়াকে।
খালেদা জিয়া বলেছে, নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আলোচনা হলে সে গণভবনে যাবেন। আর হাসিনা বলছেন সব দলকে এক এক করে ডাকছে সর্বদলীয় সরকারের জন্য। তাই খালেদা জিয়াকেও ডাকছে। আপনি পরিস্কার বুঝে দেখেন, এটা একটা বড় ট্রাপ কি না? খালেদা জিয়া তো নিশ্চয়ই হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে যাবেন না। খালেদা জিয়া যা বলছে যা করছে তা সঠিকই করছে।
গণভবনে যাওয়ার মত কোনা কারন সৃষ্টি হয়নি এখন পর্যন্ত। আরো মাইর লাগবে। সেটার ব্যবস্থা করা উচিত জাতীয়তাবাদীদের।
টেলিফোন আলাপ থেকে বোঝা গেছে হাসিনা ভয়ানক নার্ভাস।
কারন দু’টা:
[১] ৩/৪ বার বলেছেন- ওয়ান ইলেভেন আতঙ্কের কথা।
[২] খালেদা জিয়াকে বলছেন, আপনি বিদেশীদের (কূটনীতিক) ধরেছেন। অর্থাৎ চাপে কাজ হচ্ছে।
হাসিনার নিজের ওপর কোনো কনফিডেন্স নাই। যতই চেষ্টা করুক না কেনো, সে এক তরফা নির্বাচন করতে পারবে না, শিওর। সমস্যা হবে মিলিটারী আর ডিপ্লোমেট থেকে। মোটকথা, She is gone!
আপনি ভাল থাকুন।