![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুজিবনগর সরকার সম্পর্কতি বেশ কিছু লেখা পড়ে মুজিবনগরে শপথ নেওয়া অন্তবর্তী সরকার, গঠন প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। আরো তথ্যের খোঁজে বিকেলে পড়াশোনার চেষ্টা করলাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের এমন কিছু তথ্য পেলাম যার প্রতিটি আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। অবাক হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধােদের সাহসিকতার গল্পে গর্বে বুক ভরে উঠেছে। হানাদার ও তাদের দোসরদের অত্যাচার ও নির্যাতনের গল্পে অতংকিত হয়েছি।
মে ১০, ১৯৭১ । খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার চোখনগর। ভারতীয় সীমান্তবর্তী ভদ্রা নদীর পাড়ের সুন্দর একটি গ্রাম। ঐ সময়ে ফরিদপুর, খুলনা সহ দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল পাকিস্তানী হায়েনারা। যদিও চোখ নগর ছিল শান্ত, নির্মল ও কর্মমূখর। সীমান্ত পার হয়ে ভারতে শরনার্থী শিবিরে যা্ওয়ার অপেক্ষায় এই গ্রামে আশ্রয় নেন প্রায় দশ হাজার বাঙালী। দুপুরের দিকে সীমান্ত পার হওয়ার কথা ছিল মানুষগুলোর।
সাড়ে আটটার দিকে হঠাত করে দুইটি ট্রাক অপেক্ষমান ভাগ্যহারা, নিরস্ত্র, অন্নহীন মানুষগুলোর খুব কাছাকাছি এসে থামে। থমকে যায় কোলাহল। পরবর্তী দুই ঘন্টায় কেবল এল.এমজি, এস.এম.জি এবং অটো রাইফেলের একটানা স্ফুলিঙ্গ, শব্দ আর হতভাগা মানুষগুলোর অর্তনাদে আকাশ, বাতাস ভারী হয়ে উঠে। গুলি শেষ হয়ে গেলে হায়েনার দল ট্রাক থেকে নেমে বেয়নেট চার্জ করে অবশিষ্ট মানুষগুলোকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ট্রাক চলে যায়।
মায়ের কোলে শিশু, পিতার কোলে মেয়ে, স্বামীর বুকে মাথা রেখে স্ত্রী অপার ভালবাসায় মৃত্যুর সময় পরস্পরকে আগলে রাখার সৌভাগ্যটুকু জুটল!! হালকা মেটো রংএর ভদ্র্যা নদীর পানি পরবর্তী কয়েক দিন নিজের রং হারিয়ে লাল রঙ ধারন করে। চোখনগরের সবুজ ও লাল হয়ে রয় অনেক অনেক দিন। চোখনগর নামটি কে রেখেছিল? চোখনগর কিভাবে দেখেছিল এই নৃশংসতা?
বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে চিরতরে বিলীন করে দেওয়ার জন্য নিরস্ত্র বাঙালী নিধনের জন্য পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ২,৭১,৯৭১( দুই লক্ষ একাত্তর হাজার নয়শত একাত্তর) জন সেনাসদস্য( হায়েনা) মোতায়ন করে। যদি্ও ১৬ডিসেম্বর ১৯৭১, আত্নসমর্পনের সময় মাত্র ৭৯,০০০ পাকিস্তানী হায়েনা বেঁচে ফিরেছিল।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! পরবর্তী গল্পগুলোও এমন। লিখতে ইচ্ছে করছে না। সামরিক পোষাক পরিহিত দোপায়া প্রানীগুলোও নাকি মানুষ ছিল। তারা আমাদের ভালই চাইতো। যাদের সন্মান রক্ষা, নাম রক্ষার জন্য এই রক্ত ভেঁজা মাটিতেই জন্ম নেওয়া মানুষরা এখনও চেষ্টা করে!! আমরা সমর্থনও করি! ৭১ এর মত এখনও তারা ধর্ম রক্ষা করতে চায়! ....!!
নিজেকেও অপরাধী মনে হয়। এমন অত্নত্যাগের উপর দাড়িয়ে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবী করে, নিজেরাই আজ নিজেদের রক্ত ঝড়িয়ে উল্লাস করছি!
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
©somewhere in net ltd.