![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আপনার মতোই সাধারণ.....
নিঝুম দ্বীপ! নাম শুনলেই অজানা এক শিহরণে কেপে ওঠে মন! চারদিকে সমুদ্র, নদীর মোহনা, কেওড়া বন আর সহস্র হরিণের অভয়াশ্রম এই নিঝুম অরন্য! সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনতে পাবেন অসংখ্য পাখির কলতান। নির্মল সূর্যোদয়। দুপুরের সোনারোদে বনের ভেতরের রূপ দেখে বিহবল হতে হবে যে কোন পর্যটককে। হঠাৎ হয়তো দেখবেন গাছের ফাঁকে একচিলতে সোনালি ঝিলিক! হরিন! ওদের মায়াবী চোখ দেখে মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবেন। যখন সম্বিৎ ফিরবে, তখন কিছুই নেই! এ যেন প্রকৃতির সাথে লুকোচুরি! এখানে বিকেল আসে মায়াবী রূপ নিয়ে। সন্ধায় দূর ‘কবিরার চর’রের উপর দিয়ে সূর্য যখন অস্ত যাবে, সেই দৃশ্য নিশ্চিত ভাবেই আপনার দেখা শ্রেষ্ঠ সূর্যাস্ত হবে! এখানে রাত নামে আরও বিপুল সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্য নিয়ে। বনের উপর দিয়ে থালার মত পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে আপনার দেহ-মন জুড়িয়ে দেবে। সেই দৃশ্য স্বর্গীয়, সেই অনুভুতি অপার্থিব!
নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান।ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরে এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করা হয়।মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চুর মুরি- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০০০ একরের দ্বীপ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো লোকবসতি ছিলো না, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানি বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে আখ্যায়িত করা হয়।
নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২,০০০। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি।এছাড়াও শীতের মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথির পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপে বিশাল এলাকা পলিমাটির চর। জোয়ারের পানিতে ডুবে এবং ভাটা পড়লে শুঁকোয়। এই স্থানগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বসবাস। জোয়ারের পানিতে বয়ে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এদের একমাত্র খাবার।এছাড়াও রয়েছে প্রায় ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম এবং ২১ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।
বিস্তারিত
https://www.facebook.com/BDTour.info
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে লিংকটি সরিয়ে নিন।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
ফোনেটিক বলেছেন: নিঝুম দ্বীপ - Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৯
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ