নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

there is no truth but Allah

i want to live simple and die simple

আল মোমিন

i want to live simple and die simple

আল মোমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পঃ ক্রমশ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

এই গল্প(মালা) কারো কমন পরলে লেখক দায়ী নয়



[1.লোকমুখে চলা গল্পের কোন কপিরাইট হয় কিনা জানি না । আর আমি নিজেও এই লেখার কপিরাইট দাবি করছিনা .2.এই গল্পের পুর্ণ স্বাদ পাবার জন্য বাংলার সাথে সাথে কিন্চিত ইংরেজি ও হিন্দি ভাষা জানা থাকা প্রয়োজন । ]



কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পঃ ক্রমশ



(১)



এক বনে এক খরগোশ আর এক কচ্ছপ ছিলো । তাদের মাঝে বেশ ভাব ছিলো। তবে খরোগোশটা একটু অহংকারি আর অতি আত্মবিস্বাসী ছিলো। একদিন সে কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় আহ্বান জানালো । দৌড় যথাসময়ে শুরু হলো । খরগোশ দ্রুত দৌড়ে অনেক দুরে চলে গেলো । মাঝপথে গিয়ে খরগোশ ভাবলো কচ্ছপতো অনেক দূরে , একটু আরাম করে নেই । আরাম করতে গিয়ে সে গভীর ঘুমে চলে গেলো । আর কচ্ছপ কোথাও না থেমে আস্তে আস্তে দৌড়ের শেষ সীমায় পৌঁছে জয়ী হয়ে গেলো ।



ব্যাকগ্রাউন্ড সং - ১। ' যেতে যেতে পথে হলো দেরী '



২।ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু , পথে যদি পিছিয়ে পিছিয়ে পরি কভু ''



মোরাল -



১ ।ইংলিশ - এ। স্লো এন্ড স্টেডি উইনস দ্য রেস



বি। দেয়ার ইজ মেনি এ সিল্প বিটুইন দ্য কাপ এন্ড লিপ



২। হিন্দি - যো জিতা বো হী সিকান্দার



৩। অধিক আত্মবিশ্বাসে পতন ঘটতে পারে



৪। লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়া উচিত নয়।



৪।প্রতিপক্ষের শক্তিকে ছোট করে দেখতে নেই ।



৫। নিজের দুর্বলতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি



(২)



দিন যায় । খরগোশ আর কচ্ছপ আগের মতোই বন্ধু। তবে কচ্ছপ বুঝে দৌড়ে হারার কারনে খরগোশ কিছুটা মনোঃকস্টে আছে । তাই সে একদিন প্রস্তাব দেয় - চলো আবার দৌড়াই ! খরগোশ চারপায়ে খাড়া । আবার দৌড় শুরু হয় । খরগোশ আগের ভুল আর করে না । উসাইন বোল্টের গতিতে শেষ লাইনের ফিতা ছিঁড়ে ফেলে ।



ব্যাকগ্রাউন্ড সং - আজ মে উপর আসমা নিচে , আজ মে আগে যামানা হে পিছে…



মোরাল -



১। হিস্টোরী সামটাইম্ִস ডাজ নট রিপিট ইটসেল্ִফ !



২। আগে ছিলাম বোকা , হইলাম বুদ্ধিমান।



৩। বুদ্ধিমানরা সবসময় সঠিক কাজটাই করেন।



৪। নিজের ভুল থেকে যে শিক্ষা নেয় সেই প্রকৃত জ্ঞানী



৫। অনেক সময় নিজে হেরে বন্ধুকে জিতিয়ে দিয়ে ও সদ্ভাব টিকিয়ে রাখতে হয়।



৬। ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না।



(৩)



একবার কচ্ছপ জিতলো , একবার খরগোশ - সমান সমান । আবার দুজন ভালো বন্ধু । কিন্তু ওই যে আত্ম-অহংকার আর অতিরিক্ত-আত্মবিশ্বাস । কয়েকদিন পর সেটা আবার উস্কে উঠলো । মাঝে মাঝে খরগোশ কচ্ছপকে খোঁচা দিতে লাগলো - দোস্ত , তুমি একবার জিতে গেছো ঝড়ে বকে । আমি চান্স দিসিলাম বইলা । আমারে আর কিন্তু হারাইতে পারবানা। কচ্ছপ শক্ত খোলশের ভিতর মুখ লুকিয়ে চুপচাপ শুনে । কিন্তু কাহাতক ! একদিন ভাবলো - নাহ , আমার খরগোশ বন্ধু তো অহংকারে আকাশে উইঠা যাইবো । ওরে একটু নামানোর ব্যবস্থা করি । সে খরগোশকে বললো - আচ্ছা তুমি আর এক বার আমার সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করবা ? নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের এই সুযোগ কি আর ছাড়া যায় ! আবারো খরগোশ চারপায়ে খাড়া ।



কচ্ছপ বললো - তবে আমার একটা শর্ত আছে । খরগোশ তখন সব শর্তে রাজী । তাড়াতাড়ি বললো( পাছে কচ্ছপ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে!) - বলো তোমার কী শর্ত ।



কচ্ছপ বললো - দৌড়ের শুরু এবং শেষ কোথায় হবে এটা আমি ঠিক করবো।



খরগোশ - ফুঃ এই কথা ! করো , করো । ওইটা দিয়া তো আর আমার গতি কমাইতে পারবানা।



কচ্ছপ - সে দেখা যাবে । শোন এতোদিন আমরা বনের মাঝ থেকে উত্তর মাথা পর্যন্ত দৌড়েছি । কাল আমরা দৌড়াবো বনের মাঝ হতে সোজা দক্ষিণ প্রান্ত পেরিয়ে আরো কিছু দূরে একটা বাজার আছে সেখান পর্যন্ত ।



খরগোশ বললো - হুম , সামান্য একটু বেশি দৌড়াতে হবে । সে কিছু না , আমি রাজি



পরদিন সময়্মতো দৌড় শুরু হলো । খরগোশ নিজের রেকর্ড নিজেই ভাংগার জন্য আরো জোড়ে ছুটলো । ওই তো বনের শেষ প্রান্ত ! আর একটু পরেই খরগোশ সেটা ও পেরিয়ে গেলো ! কিন্তু পেরিয়েই বেকুব বনে গেলো।



এদিকে কচ্ছপ যত দ্রুত তার পক্ষে সম্ভব ততটা দ্রুত হেঁটে বনের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে এসে দেখে - খরগোশ বনের প্রান্তের একটু পরেই যে সরু অথচ গভীর নদি আছে তার কিনারে গোমড়া মুখে বসে আছে (ব্যাপার হলো খরগোশ কোনদিন বনের এই দিকটায় আসে নাই । তাই সে জানতো না যে বনের দক্ষিণ প্রান্ত আর বাজারের মধ্যে একটা নদি আছে। কচ্ছপ এটা জেনেই খরগোশকে ফাঁদে ফেলে) ।



কচ্ছপ - '' ঢেউ জানা এক নদীর কাছে গভীর কিছু শেখার আছে---- ' এই গান গাইতে গাইতে সাঁতরে নদি পার হয়ে বাজারে গিয়ে আবার ফিরে এসে খরগোশকে বললো - যেহেতু তোমার আগেই আমি বাজারে গিয়েছি সেহেতু আমি জয়ী হয়েছি।



( ব্যাকগ্রাউন্ড সং - 1.আ দেখে য্যারা কিস্ִমে কিতনা হে দাম 2.আমি কান্দি নদি কিনারায় , বেলা বয়ে যায় , মনের দুঃখ মনে রয়ে যায় 3.দুনিয়ামে লোগকো ধোকা কাভি হ যাতা হে 4.আগে চলে দাসি - বান্দি পিছে সখিনা)।



মোরাল -



১। ইংলিশ এ)ঠু মাচ প্রাইড গোথ বেফোর ডেস্ট্রাকশন



বি) এভরি থিং ইস ফেয়ার ইন লাভ , ওয়ার এন্ড রেস ।



সি) লুক বিফোর ইউ লিপ



২। উস্তাদের মাইর শেইষ রাইতে



চিকন অনুসিধান্ত -



১। ছোট হরফে লিখা 'কন্ডিশনস এপ্লাইড (শর্ত প্রযোজ্য ) লিখা গুলা পড়া খুব জরুরী ( বিশেষতঃ মোবাইল কোম্পানীর ক্ষেত্রে।



২। এর পরের বার গুগোল ম্যাপ সংগে রাখুন



৩। কলিকালে কাউরে বিশ্বাস নাই



কি ভায়েরা হাপায় গেসেন ? খরগোশের মতো একটু বিশ্রাম লইবেন ? না লইলে আগান



(৪)



খরগোশ নিজের ভুল বোঝে । বুঝে কচ্ছপ তার কত ভালো বন্ধু । তাদের সুন্দর বন্ধুত্ব এগিয়ে চলে । কিন্তু গরিবের কপালে সুখ সয় না ! তাদের এই সুখ দেখে বনের কিছু দান্দাল পশুর পশমে আগুন জ্বলে , ভাবে কেমনে কিভাবে ওদের জব্দ করা যায় ! খেঁকশিয়াল খ্যাক খ্যাক করে বাঘ রাজার কানে এটা ওটা লাগায় , বাদুর কিচ কিচ করে বদনাম গায় । একদিন বাঘ রাজা খুব ক্ষেপে যায় । বলে - নেকড়ের দল ! যা ঘার ধরে ওদের এখানে নিয়ে আস ! সাবাড় করি আজ। উত্তর দিক থেকে নেকড়ের পাল ধেয়ে আসে । সবজান্তা এবং পরের দুঃখে কাতর ব্যঙমা পাখি থেকে এ খবর পেয়ে যায় কচ্ছপ আর খরগোশ । কিন্তু পালাবে কোথায় ! খরগোশ অবশ্য দ্রুত দৌড়ে বনের দক্ষিন প্রান্তে চলে যেতে পারে , কিন্তু সেখানে গিয়ে তো নদির জন্য আটকে পরতে হবে । তাছাড়া বন্ধু কচ্ছপকে বিপদে ফেলে যায় বা কি করে! কি করা যায় ! মাথায় কিছু আসে না , এদিকে সময় চলে যাচ্ছে ! হঠাৎ কচ্ছপের বহু দিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া দুইটা ' মেন্টোস্ִ এর প্যাকেটের কথা মনে পড়লো । একটা খুলে নিজে মুখে পুরলো , আরেকটা খরগোশের মুখে দিলো । অমনি খরগোশ ' ইউরেকা' বলে চিৎকার দিয়া উঠলো । কচ্ছপ বিরক্ত হয়ে বললো - আছি বিপদের মধ্যে ! আর এই সময় তুমার রেখা , শ্রীদেবীর কথা মনে পরলো । আজিব ! খরগোশ - আরে রেখা না 'ইউরেকা ' মানে 'পাইছি ' । শুন তুমি আমার পিঠে চইড়া বস । আমি উড়াল দেই । এভাবে কচ্ছপকে পিঠে নিয়ে নেকড়ে আসার আগেই ওরা দুজন দক্ষিণ দিকের নদির কিনারে পৌঁছে গেলো। খরগোশ - এই বার আমি তুমার পিঠে চড়ি আর তুমি আমারে নিয়া সাঁতরাইয়া ওই পাড়ে চইলা যাও । ওই পাড়ে নতুন বনে নতুন রাজার আন্ডারে থাকুম , কেউ ডিস্টাব দিবো না। কচ্ছপ খরগোশলে পিঠে নিয়ে সাঁতরে ওপারে চলে গেলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নতুন বনে তারা ভালোই আছে । থিম - খ্যাচ মি ইফ ইউ খ্যান ব্যাকগ্রাউন্ড সং- ১। আজ ঘর ছেড়েছি দুজনে শুদু প্রেমের ই কারনে , ঘরে ফিরবো না না , ২। ইয়ে দোস্তি হাম নেহী তোরেংগে , তোরেংগে দাম আগার ৩। লেট দেম সে উই আর ক্রেযি , হোয়াট ডু থে নো ? পুট ইয়োর আর্মস এরাউন্ড মে বেবী, ডোন্ট এভার লেট গো (নাথিং গানা স্টাপ আস নাউ) ৪। চাল উড় যা রে পান্ছি , কি আব ইয়ে দেস হুয়া বেগানা



মোরাল-



১। ইংলিশ - এ) টু হেডস আর বেটার দ্যন ওয়ান বি) ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড , ডিভাইডেড উই ফল চ) ফাইট অর ফ্লাইট



দ) আ ড্রাউনিং ম্যান ক্যাচেস এট আ স্ট্র ( হিন্দি ভার্সন - যাব তাক হে জান ! )



২। কার্টুন - হোয়েন ইয়োর পাওয়ারস কম্বাইন , আই ক্যাপ্টেন প্লানেট ব্লা ব্লা ব্লা



৩। বিপদে বন্ধুর পরিচয়



৪ হিন্দী সিনেমার কূটনামির প্রভাব শুধু বংগ-ললনা না , বনের পশুদের উপর ও পরসে ।



৫। মেন্টোস খাও দিমাগ কা বাত্তি জ্বালাও



অই মিয়ারা আরো চান !



শখ মিটে নাই ?



কইলাম তো শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওরা সুখেই আসে । ওগো উপরে আবার নতুন কইরা বালা-মুসিবত আনতে চান কেন ?



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা পড়ে বেশ মজা পাইলাম :)

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

adder69 বলেছেন: ** ফাইট অর ফ্লাইট **

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

ভারসাম্য বলেছেন: চমৎকার বস! আমি কিন্তু আপনার একজন ফ্যান। বাট সব লেখায় কমেন্ট করার সুযোগ হয়ে ওঠেনা। আর প্লাস দেওয়ারতো চান্সই দেয়না সামু ইদানীং।

আপনি কি মনপুরা আছেন এখন?

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

আল মোমিন বলেছেন: প্রথমেই সবাইকে ধন্যবাদ , কমেন্ট করার জন্য । ক্ষমা চাইছি অনেক দেরিতে উত্তর দেবার জন্য । আমি আসলে সেই অর্থে ব্লগার না । মাঝে মাঝে সামান্য কিছু শেয়ার করি । এতো টুকুই ।
এখনো মনপুরা তেই আছি । দ্বায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে । তাই নেটে ঢুকার সময় পাই না। স্যার চলে যাওয়ায় (বদলী) এখন আমি মনপুরার একমাত্র সরকারি ( এবং বেসরকারি !) ডাক্তার ( পাশ করা) , গত ৪৫ দিন ধরে ২৪ ঘন্টা ক্লিনিকাল এবং গত ৩ দিন ধরে দাপ্তরিক কাজ ও করতে হচ্ছে । রোজার ঈদের পরের দিন এসেছি । কোরবানী ঈদে বাড়ি যেতে পারবো কিনা জানি না ! ( অন্য ধর্মের ডাক্তার ঈদের ডিউটি তে না দিলে বাসায় ই যেতে পারবো না !)

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: এই গল্পের পরে আরোও লম্বা কাহিনী আছে। এটাকে আমি অন্যভাবে লিখেছিলাম।

আপনারটাও চমৎকার হয়েছে।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১১

আল মোমিন বলেছেন: তাই নাকি ! আপনার তার লিন্ক দেন। পরবনে পরে

৭| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৩১

সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: অস্থির হইছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.