নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

there is no truth but Allah

i want to live simple and die simple

আল মোমিন

i want to live simple and die simple

আল মোমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বি সি এস পরীক্ষা

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

আমার বি সি এস পরীক্ষা

October 10, 2013 at 1:30am

আমার বি সি এস পরীক্ষা

বি সি এস পরীক্ষা টা কে আমি কখনই গুরুত্বের সাথে নিতে পারি নাই ( আসলে আমি মনে হয় জিবনে কোন জিনিসই গুরুত্বের সাথে নিতে পারি নাই । ) । তাই স্বভাবতই প্রথমবার প্রিলি থিকাই বাদ ( সেবার আবার প্রথমবারে মতো নেগেটিভ মারকিং যোগ হয় আর আমি আমার স্বভাব-সুলভ উদাসীনতায় নেগেটিভ মার্কসের প্যাচটা না বুইঝা অতিরিক্ত উত্তর দাগাই । আমার মতে প্রিলি থেকে বাদ যাবার সেটা একটা বড় কারন হতে পারে ।)

প্রচেষ্টা ছিল না তাই আফসোস ও হইল না । এদিকে আমার রুমমেটের প্রিলি হইয়া গেল ( ২৮ তম ) । আমি আমার মতই ড্যাম-কেয়ার মুডে ঘুরতে লাগলাম । আর আমার রুমমেট গুটুর গুটুর কইরা রিটেন এর প্রিপারেশন নেয়। আমার পরিবর্তনের মধ্যে এই যে মাঝে মাঝে ওর গুতা খাইয়া প্রিলির বই একটু নাইরা – চাইরা দেখি । এদিকে ২৯ তম এর সার্কুলার দিয়া দেয় কিন্তু ফর্ম পুরনে ঝামেলা দেইখা আজ করব কাল করব করতে করতে অবশেষে ফর্ম জমা দেবার একেবারে শেষ দিকে ফর্ম জমা দেই ।

সেই ফর্ম নিয়া ও হয় আর এক কাহালু কাহিনী । সেই ফর্ম সহ( পুরনকৃত ) আমি আর আমার রুমমেট গিয়েছিলাম ছবি তুলতে । হলে ঢুকার সময় সি এন জির পিছনে রাইখা রুমে চইলা আসি । এদিকে ফর্ম পুরনের আছে আর মাত্র চার পাঁচ দিন । এখন উপায় । নতুন কইরা ফর্ম তুলতে গেলে লাইনে দাঁড়াইয়া ই একদিন শেষ হইয়া যাইব ( তখন অনলাইন ফর্ম ছিল না ) । উপায় ? হলের এক ছেলের কাছে একটা বাড়তি ফর্ম ছিল । সেইটা কিনলাম । পুরন করলাম । এবার ছবি এর জন্য নিউমার্কেটে গেলাম ছবির ডেভেলপড কপি তুলতে । কথায় কথায় জানলাম কে নাকি তাদের ফোন দিয়েছে যে তারা একটা ফাইল পেয়েছে । যার ভিতর এই স্টুডিও এর খাম ছিল এবং টেলিফোন নাম্বার ছিল । তাই তারা স্টুডিও তে ফোন দিয়েছে । স্টুডিও এর থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে তাদের ফোন দিলাম । তারা বলল - ফাইল তাদের কাছেই আছে , এসে যেন নিয়ে যাই ।

এবার আমরা পরলাম টেনশনে যে - ফাইল খারাপ লোকের হাতে পরে নাই তো ? ডেকে নিয়া যদি ছিনতাই করে । যাই হোক নানা কল্পনা –জল্পনা শেষে নির্ধারিত যায়গায় গেলাম । লোকটি আমাদের তার বাসায় ( রুমে )নিয়ে গেল । বিল্ডিং টা এমন যে- একটা সরু প্যসেজ এর দুই পাশে অনেকগুলো একক রুম । প্রত্যেক রুমে এক একটি পরিবার । রুমের ভিতর জুড়ে একটি খাট । খাটে চির মমতাময়ী এক নারী । সদ্য প্রসূতি । মা । পাশে নতুন শিশু । যত্ন আত্মি হল । মিষ্টি তো খেতেই হোল । বাবা ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন যে তিনি নিজে এসে আমাদের ফাইলটি ফিরিয়ে দিয়ে যেতে পারেননি বলে । তাদের ভাষ্য – ঢাকা মেডিক্যালে সন্তান জন্মের পর মাকে নিয়ে যে সি এন জি ভেহিকেলে তারা বাসায় আসেন তার পেছনে তারা ফাইলটি পান । ফাইলের কাগজ দেখেই তারা বুঝেন যে- যার ই হারাইসে সে খুব বিপদে পরবে এগুলো না পেলে । তাই স্টুডিও এর নাম্বারে তারা ফোন দেন । আর বাসায় আসার পরই মা একটু অসুস্থ্য হয়ে পরায় বাবা তাকে রেখে বাড়ির বাইরে যেতে সাহস করেন নাই ।

তো যাই হোক শেষ পর্যন্ত আগের ফর্মটাই জমা দিলাম । এবং এই বার আমি আর আমার রুমমেট দুই জন ই প্রিলি তে উতরে গেলাম । আর এদিকে আমার রুমমেট ২৮ তম এর রিটেন এ টিকে গেছে । একই সাথে ২৯তম লিখিত পরীক্ষা এর জন্য ও সে প্রস্তুতি নিচ্ছে । আর আমি এদিকে লিখিত পরীক্ষার বই ই কিনি নাই । ওর বই ই মাঝ খান দিয়া পার্ট কইরা কাইটা এক অংশ আমি পড়তাম আর এক অংশ ও পড়ত।ওর গুতাগুতিতে মাঝে মাঝে বই নিয়ে বসতে বাধ্য হচ্ছি । বলতে বাধ্য হচ্ছি – বেটার জ্বালায় ভালো না হলেও মোটামুটি কিছু পড়া হোল । কিন্তু ছোটবেলার তৈলাক্ত বাঁশ বানর , লসাগু , শতকরা , মুদ্রার নাম , প্রেসিডেন্ট , গাদা গাদা রচনা কাঁহাতক ভালো লাগে । তাই দশ মিনিট পড়ে আধা ঘণ্টা কুম্ভকর্ণের সাথে পাল্লা দিতাম । তবে রুমমেটের ধৈর্য ছিল । আমি শুয়ে থাকলেও ( ঘুমের ভান করে ) ও ব্যাটা সশব্দে পড়ে যেত । আর এতে আমার বেশ লাভ হয়েছিলো , কারন ওর মুখ থেকে শুনে শুনে শেখা অনেক জিনিস পরে পরীক্ষায় কাজে লেগেছিল ।

অবশেষে লিখিত পরীক্ষার তারিখ পেলাম । কিন্তু হলের নাম দেখে পরীক্ষা দেবার ইচ্ছা উবে গেল । মিরপুর বাংলা কলেজ ! অনেকের সিট পরেছে আমাদের হলের আশে পাশের দুইটি কলেজে , মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ আর আমাদের কিনা বক্সিবাজার থেকে যেতে হবে মিরপুর !

তবে ভাগ্য ভালো – আমার রুমমেটের ও এক ই কলজে সিট পড়লো । আসলে ও না থাকলে এতগুলা লিখিত পরীক্ষা আমি দিতেই পারতাম না । ঘুমের কাছে হার মানতাম । ( এর আগেও ঘুমের কারনে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মিস করার এবং আরেকটি পরীক্ষাতে আধা ঘণ্টা দেরিতে উপস্থিত হবার রেকর্ড আমার আছে )।

যাই হোক ব্যাটা ঠিক সাড়ে সাতটায় এলারম দিয়ে রাখত ( আমি হয়তো ঘুমাইতেই গেছি আড়াইটায় ! )। এরপর খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রেডি করে , এডমিট কার্ড ঠিকমত নিয়েছি কিনা তা দেখে , নাস্তা না করাইয়া ই আমাকে নিয়ে বাসে উঠত । বাসে আমি একটা চিকন ঘুম দিতাম । আর ব্যাটা পড়তো । নেমে নাস্তা করতাম । নাস্তা করে পরীক্ষা যেই কলেজে তার মাঠে যেতে যেতে নয়টা বাজত । পরীক্ষা শুরু হতে আরও এক ঘণ্টা বাকি ! ব্যাটা মাঠে গিয়ে অন্য পরীক্ষার্থীদের মতো পড়া শুরু করত । আর আমি ভরপেট নাস্তার ফলে শরীরে শুরু হওয়া প্যারাসিমপ্যাথেটিক একটিভিটিকে সিমপ্যাথি জানাতে একটা চাদর মাঠে বিছিয়ে শুয়ে পড়তাম ।শেষ ঘণ্টা পরলে হলে ঢুকতাম ।

তা প্রস্তুতি যত লবডঙ্কাই হোক আর মুখের চাপা যত ছোটই হোক কলমের চাপা নেহায়েত ছোট ছিল না । তাই প্রশ্ন যতই উদ্ভট আর আনকমন হোক কলমের মুখে তুবড়ি ছুটাতে কসুর করলাম না । খাতার জন্য টাকা দিসি না ! তাই যতটা পারলাম সাদা খাতা কলঙ্কিত কইরা আসলাম ( গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে কি হবে ? – এই থিম এখানে প্রযোজ্য না ) । অবশ্য পরীক্ষার উত্তর সব লিখা শেষ হইয়া যাবার পর ও অযথা অনেকে হলে বইসা কলমের মাথা চিবায় নয় ইতি উতি তাকায় – সেই দলের আমি না । তাই বাংলা দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব পরীক্ষায়ই সময় শেষ হবার দশ পনের মিনিট আগেই হল থেকে বেরিয়ে গিয়েছি [ বাংলা দ্বিতীয় পত্রে মাশাল্লাহ ভাসায় দিসি । প্রথমে শুরু করসিলাম রচনা । তায় বিষয় ছিল – মুক্তিযুদ্ধ ! এ যেন পাগলকে সাঁকো নাড়তে নিষেধ করা । একি লিখে শেষ করা যায় ! তাও তিন ঘণ্টায় ! তাও শুরু করলাম – সেই বাংলা-বিহার-উরিষ্যা থিকা শুরু কইরা তুফান মেইল চালাইয়া সবে – বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণে আইসি “রক্ত যখন দিয়েছি ...” , হঠাৎ ঘড়ির দিকে চোখ পইরা নিজের রক্তই হিম হইয়া গেল । প্রায় ৪২ মিনিট পার হইয়া গেসে ! অথচ প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য বরাদ্দ প্রায় তিরিশ মিনিট । আয় হায় অন্য আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় খেয়ে ফেলেছি । কি হবে এখন । সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব তো ? এই টেনশনে ২৫ পৃষ্ঠা ধরে ফেনিয়ে তোলা বাংলার মুক্তিযুদ্ধকে পরবর্তী চার পৃষ্ঠায় ই খতম কইরা দিলাম ( পুরাই আগা মোটা গোড়া চিকন অবস্থা ) ] । বের হবার আগে অবশ্য সবার দিকে “কি এত লিখেন ? এত লিখার কি আছে” – এই লুক দিতে ভুলি নাই ।( পরীক্ষা শেষ তো বসে বসে কি আঙ্গুল চুষব ? ) ।

ইংরেজি পরীক্ষায় বের হয়েছিলাম দেড় ঘণ্টা আগে ! জী , ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে বড় বড় কোন লিখা নাই , সব – প্রিপজিশন , ট্রান্সলেশন এই সব ছোট-খাট জিনিষ । হাত চালাইয়া লিখলে এক ঘণ্টায় ই শেষ করা যায় । তবু কিছু মানুষ কেন তিন ঘণ্টা বইসা থাকে এবং কেন বইসা থাকে তা আমার কাছে রহস্য। বের হইয়া অবশ্য একটু বিপদেই পরসিলাম । অপেক্ষমাণ গারজিয়ানদের জেরার মুখে পরলাম –কেন এত আগে বের হইসি ? একজন তো প্রায় রাগ ই করে বসল । আর দুই একজন ভাবে চক্করে বুঝাইল – বাপু , তুমার পরীক্ষা নিশ্চিত বেশি সুবিধার হয় নাই নইলে অন্যরা এখনো বের হয় নাই , তুমি বাইর হইস ক্যা । আমি কোনমতে পার হইয়া মাঠে গিয়া ঘুম ।

যাই হোক - চাপার জোরে হোক আর খাতার ভারেই হোক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া গেলাম ।( বি সি এস এর খাতা নাকি দেখা হয় না রোল কইরা নাকি দূরে ছুইরা মারা হয় খাতার ভারে যেইটা যত দূরে যায় সেই দূরত্ব হিসাবে নাম্বার দেয়া হয় । যারটা যত দূরে যাবে তারটা তত বেশি নাম্বার পাবে । একজন চিন্তাশীল লোক আমারে এইটা কইসিল ।দুঃখের বিষয় আমার স্মৃতি-শক্তি কম হওয়ায় তার নাম ও চেহারা আমি ভুইলা গেছি ।)

এবার ভাইবা । নো চিন্তা ডু ফুর্তি । কারন ভাইবাতে কি জিগ্যেস করবো তার কোন মাম্মি-ড্যাডি নাই । তাই প্রস্তুতির কোন দরকার নাই ( আমার থিউরি ) । তাছাড়া আমি চয়েস দিসি – জেনারেল ক্যাডার । তাই মেডিকেল এর কেউ আমার ভাইবা বোর্ডে থাকবেনা । সুতরাং , মেডিকেল সংক্রান্ত পড়াশোনার ও বালাই থাকল না । ( এম্নিতে ভাইবা এর ব্যাপারে আমার একটা ব্যখ্যাতিত দুঃসাহস কাজ করত সবসময় । মেডিক্যালেও সবাই যখন খোঁজ করত লং ভাইবা তে রফিক স্যার না কাসেম স্যার আমি তা কখনো করিনাই । আসলে ঘটির মধ্যে পানি ই তো এক হাত এখন রফিক স্যার হাতাক আর কাসেম স্যার হাতাক এক হাতের বেশি আর কি পাইব । ন্যাংটার

নাই বাটপারের ভয় – এই আর কি ) ।

তো যাই হোক এই দীর্ঘ লালিত দুঃসাহস নিয়া চইলা গেলাম ভাইবা দিতে। ( আমার রুমমেট ততদিনে ২৮তম ভাইবায় পাশ , তাই ২৯ তম এর ভাইবায় বসে নাই । তবে আমার সাথে আসসে )। গিয়া দেখি আমার মত আরও ১৯৯ জন ফাঁসী-কাষ্ঠের আসামী সুস্বাদু দিল্লি কা লাড্ডু খাবার জন্য হা করে বসে আছে ।

বোর্ড করে ৮-১০ জন করে এক এক বোর্ডে নিয়া যাওয়া হল । শুনেছিলাম এবার আধা ঘণ্টা সময় লাগবে ভিতরে ঢুকতে । কিন্তু রুমের সামনে যেতে না যেতেই আমার নম্বর ডেকে কাগজ রেডি করে এক লোক দ্রুত আমাকে ভাইবা রুমে ঠেলে দিল । আমি ই প্রথম ক্যান্ডিডেট !

এতটা দ্রুততা আশা করি নাই । তাই বেশ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । আর শুরুতেই অপ্রস্তুত হয়ে যাওয়া যে ভাইবা এর জন্য কত ক্ষতিকর তা ওইদিন ভালো করে বুঝলাম । সালাম দিয়ে বসতেই বসতেই শুরু হয়ে গেল অপ্রস্তুতের দ্বিতীয় অধ্যায় । প্রধান প্রশ্নকর্তা ( সরাসরি সামনে ডেস্কের ওপাশে ) বলে বসলেন আপনার কি পরীক্ষা দেবার বয়স আছে । মনে তো হয় না । লে হালুয়া । তাইলে এত কষ্ট কইরা ফর্ম পুরন কইরা , লিখিত পরীক্ষায় টিকা আসলাম কেন। পরে আমার কাগজপত্র নিয়া অনেক যোগ- বিয়োগ কইরা কাগজের উপর লাল কালিতে কী সব লেইখা আবার কাইটা শেষে কইল – নাহ , ঠিক আছে ! ( আমি তো ততক্ষনে ঠিক নাই ) ।

এবার ভাইবা শুরু ।কিন্তু প্রথম প্রশ্নেই আমি নাই । দ্বিতীয় প্রশ্ন মেডিক্যাল রিলেটেড ( যেহেতু আমি ডাক্তার তাই ডাক্তারের উপর ডাক্তারি ফলানোর এ সুযোগ ছাড়া যায় ? ) - “মানুষের চোখের পাতা পরতে কত সময় লাগে ?” শুইনা আমার নিজেরই – “পড়েনা চোখের পলক হইয়া” গেল ।

আমি – স্যার পারছি না, স্যার ।

অন্য স্যার – আচ্ছা , বলেন তো মানুষের শরীরে হাড্ডির ওজন কত ।

আবার হিরন্ময় নিরবতা ও নতি স্বীকার ।

এরকম আরও দুই তিনটি মেডিক্যাল সঙ্ক্রান্ত বেসিক (!) প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারলাম না ।

বুঝলাম জীবনের সবচেয়ে দুঃস্বপ্নের ভাইবা শুরু হয়েছে ।

প্রধান স্যার – কি ব্যাপার , আপনি তো মেডিক্যাল এর বেসিক ( ! ) প্রশ্নের উত্তর ই পারছেন না । তাহলে আপনাকে কি জিগ্যেস করি ।

এবার শুরু হইল আমার দ্বিতীয় চয়েস নিয়ে (যা ছিল- ফরেন ) খুচা খুচি । পৃথিবীর কয়টা দেশে

বাংলাদেশ- এর হাই কমিশন আছে , এর ইলাবরেশন কি ওর এব্রিবিয়েশন কি । ভরা কলসি নাকি বাজে কম । আমার মাথা তখন নিরেট পাথর । তাই বাজা-বাজি একদম বন্ধ করে দিলাম ।

এর পর এর চয়েস এর সাবজেক্ট ইনকাম ট্যাক্স এ মোটেও যুইত করতে পারলাম না ।

আমি মনে মনে নিজেই মানে মানে কেটে পরার তালে আছি । এমন সময় দেবদূত এক স্যার বলে বসলেন – আচ্ছা মক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার কি জানা আছে ? আয়া হায় আবার পাগলকে সাঁকো নাড়তে নিষেধ করে ! শুরু করলাম রানিং কমেন্ট্রি । স্যার কয় – থামেন, থামেন খালি মুল তারিখ গুলা বলেন ।

এরপর আরও দুই একটা প্রশ্নে হালে পানি পাইলাম । কিন্তু বোর্ড থিকা বের হইয়া সার্বিক বিচারে কিছুতেই নিজেকে উত্তীর্ণদের তালিকায় দেখতে পাইলাম না।

পরে (৩০ তম এর ফর্ম পুরন করে মনে হয়) ২৫ দিন এর জন্য তাবলিগে চলে যাই । তাবলিগে থাকা অবস্থায় ই আমার রুমমেট ও বন্ধু আমাকে ফোনে জানায় যে আমি ভাইবাতে টিকে গেছি ।

দুঃখের বিষয় তাবলিগের ওই সফরে ই শেষ দিকে জানতে পারি – আমার এত দিনের সাহায্যকারি , রুমমেট ও বন্ধু রাশেদুল ইসলাম (রাসেল) আর নেই । ২৮তম বি সি এস এ যেখানে তার পোস্টিং হয়েছিলো সেই কর্মস্থল হতে কাজ শেষে ফেরার পথে তাকে বহনকারি ব্যাতারি-চালিত অটো-রিকশাটি বাসের সাথে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় । ঘটনাস্থলেই তৎক্ষণাৎ

সে মারা যায়।

আমি তাবলিগের সফরে থাকায় তার জানাজায় যেতে পারি নাই । পরে আমি আর আমার আরেক বন্ধু আহমেদ আরিফ বিল্লাহ ( দুঃখের বিষয় সেও আজ মৃত ) দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছি । অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছি।

শ্বান্তনার কথা একটাই- তার সাথে থাকা লোক জানিয়েছে সে আল্লাহর জিকির করতে করতে তন্দ্রায় চলে গিয়েছিল , এই অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটে এবং সে কোন কথা না বলেই তৎক্ষণাৎ মারা যায় ।আশা করি আল্লাহ তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদায় রাখবেন ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন ।
আর শেষের দিকে পড়ে খুবই মর্মাহত হলাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উনাদের জান্নাতবাসী করুন।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হে রজিউন ।

মন খুব বেশী খারাপ হল ভাই । মাঝ পর্যন্ত এসেই ঠিক করেছিলাম বলবো আপনার রুমমেটদের মতো মানুষ পাওয়া জীবনে কষ্ট । শেষ করে একটা ধাক্কা খেলাম । আল্লাহ্‌ ওনাদের বেহেশত নসিব করুন । আমিন ।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হে রজিউন । আল্লাহ্‌ ওনাদের জান্নাত নসিব করুন ।

মনটা খারাপ হয়ে গেলো শেষে এসে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.